২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুদক অত্যাচারী মেশিন ছাড়া কিছুই নয় : রিজভী

অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি
বিএনপি
রুহুল কবির রিজভী - ফাইল ছবি

দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) সরকারের আজ্ঞাবাহী আখ্যা দিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দুদক অত্যাচারী মেশিন ছাড়া আর কিছুই নয়।

তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশে গতকাল ১০৯২ দিন পর কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন জাহালম নামের একজন পাটকল শ্রমিক। নির্দোষ জাহালম এতদিন কারাগারে ছিলেন শুধু আওয়ামী সরকারের ক্ষমতা-আশ্রিত দুদকের রাজনৈতিক ভূমিকার কারণে। বর্তমান দুর্নীতি দমন কমিশনে আসীন ঊর্র্ধ্বতন কর্মকর্তারা সরকারের প্রতিহিংসা বাস্তবায়নের অত্যাচারী মেশিন ছাড়া আর কিছুই নয়। সেজন্য দুদক বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে দমন করতে গিয়ে বেপরোয়া অনাচারে লিপ্ত থেকে মনুষ্যত্বহীনতার ডালপালা বিস্তার করেছে। আর এতে নির্দোষ-নিরীহ-নিরাপরাধ মানুষও দুদক এর দায়ের করা মিথ্যা মামলার অমানবিকতার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না।

আজ সোমবার দুপুরে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।

তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘ভুয়া ভোটের সরকারের চাহিদা মেটাতে গণতান্ত্রিক শক্তিকে পরাধীনতার শৃঙ্খলে বন্দী করতে দুর্নীতি দমন কমিশন উ™£ান্ত উগ্রতা নিয়ে কাজ করছে। আর সেটির নির্মম শিকার হয়েছেন দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং অসংখ্য নেতৃবৃন্দ। এই ধরনের নির্বিচারে মামলার ধারাবাহিকতায় প্রকৃত অপরাধীকে বাদ দিয়ে নিরীহ যুবক জাহালম আটকিয়ে থাকে কারাগারে।’

রিজভী বলেন, ‘এই দুদক সরকারের প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে অন্যায়ভাবে সাজা দিয়েছে। আইনী নিয়ম-কানুন কিছুই না মেনেই এ মামলা সাজিয়েছে। বিরোধী শক্তিকে দমন করতে আওয়ামী অবৈধ গোষ্ঠীর একটি হাতিয়ার হলো বর্তমান দুর্নীতি দমন কমিশন।’

এ দুদক আওয়ামী লীগ সরকারের ১০ বছরের ‘মেগা দুর্নীতি’র কেশাগ্র স্পর্শ করতে পারেনি বলে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, যদি করতেই পারতো তবে এ সরকারের অনেক মন্ত্রী-উপদেষ্টা এবং নেতারা যাদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ তারা আজকে প্রবল প্রতাপে দেশব্যাপী দাপিয়ে বেড়াতে পারতো না। দেশের বাইরে বেগম পল্লী ও সেকেন্ড হোম গড়ে উঠতো না। নিউইয়র্কে মন্ত্রীর পুত্রের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট থাকতো না। সাবেক অর্থমন্ত্রী চার হাজার কোটি টাকা চুরিকে দুর্নীতি বলতে নারাজ হতেন না। এই দুদকের কারণেই দেশে ‘ক্রিমিনাল ইকোনমি’র আশকারা পেয়ে পত্র-পল্লবে বিশাল বৃক্ষে পরিণত হয়েছে। জাহালমের দীর্ঘদিন কারাভোগের ঘটনায় দুদকের ভূমিকা নজীরবিহীন ভাবে ন্যাক্কারজনক। এই ঘটনায় দেশে একটি ‘ক্রিমিনাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের’ ছবিই ভেসে ওঠে।


আরো সংবাদ



premium cement