যে কারণে নির্বাচন করতে চান না কাদের সিদ্দিকী
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৮ নভেম্বর ২০১৮, ০৯:৩৪
ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘আমি নির্বাচনই করতে চাই না। তবে সারা দেশ ঘুরে শেখ হাসিনাকে দেখাতে চাই উনি তলাফাটা নৌকা নিয়ে কতদূর যেতে পারেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা একাই বঙ্গবন্ধুর কন্যা নন আমিও বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক পুত্র। আমার গায়ে বঙ্গবন্ধুর রক্ত না থাকলেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ রয়েছে।
গতকাল শনিবার বিকেলে ‘ভোট ডাকাতি দিবস’ পালন উপলক্ষে সখীপুরে নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাদের সিদ্দিকী এ কথা বলেন।
১৯৯৯ সালের ১৫ নভেম্বর টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনের উপনির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ নিয়ে প্রতিবছর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ভোট ডাকাতি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে এত বড় কারাগার নেই যেখানে খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা যায়। যে টাকা তছরুপ হয়নি সেই ২ কোটি টাকার জন্য যে বিচারক খালেদার জেল দিয়েছেন, তারও একদিন বিচার হবে। আমিই ওই বিচারকের বিরুদ্ধে মামলা করব। আগামী নির্বাচন হবে অবরুদ্ধ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার নির্বাচন।’
কাদের সিদ্দিকী আরো বলেন, ‘অনেক কথা শুনেছি, শেষ পর্যন্ত রাজাকারের খেতাব পেয়েছি। তাই গত ছয় বছর আমি শহীদ মিনার, স্মৃতিসৌধ ও গণভবনে যাইনি। কিন্তু ’৭৫-এর প্রতিরোধযোদ্ধাদের মিলনমেলার বিষয়ে কথা বলতে গণভবনে যাওয়ার জন্য নয়বার ফোন করে ব্যর্থ হয়েছি। পরে চিঠিও লিখেছি, কিন্তু জবাব পাইনি। আগামী ৩০ ডিসেম্বরের পর ওনাকেই (শেখ হাসিনা) আমার কাছে চিঠি লিখতে হবে।’
সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবীবুর রহমান তালুকদার, জেলা সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সহসভাপতি আবদুল হালিম সরকার, মীর জুলফিকার শামীম প্রমুখ। এ ছাড়া স্থানীয় বিএনপি নেতা ও দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী শেখ মোহাম্মদ হাবীব, বাসাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলামও সভায় বক্তব্য দেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা