২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

প্রধানমন্ত্রীকে ‘কওমী জননী’ ঘোষণাকারী কে এই মুফতি রুহুল আমীন

নড়ােইল সদর ও কালিয়ায় গণসংযোগ করছেন মুফতি রুহুল আমিন। - ছবি: সংগৃহীত

আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন দেশের অন্যতম শীর্ষ আলেম, গোপালগঞ্জের গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার মহাপরিচালক মুফতি রুহুল আমিন। এ লক্ষ্যে তিনি নির্বাচনী এলাকা (সদর-কালিয়ায়) গণসংযোগ করছেন।

এলাকাবাসী ও স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা জানান, মুফতি রুহুল আমীনের আগমন উপলক্ষে এলাকায় শোডাউন করছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। কয়েকশ মোটর সাইকেল ও গাড়ি নিয়ে তারা নতুন এই প্রার্থীকে এলাকায় স্বাগত জানান। এরপর এলাকায় তিনি গণসংযোগ করেন।

গণসংযোগে মুফতি রুহুল আমীন স্থানীয় জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করছি। তিনি আমাকে এলাকায় কাজ করতে বলেছেন। আশা করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে আপনাদের খাদেম হিসেবে নির্বাচিত করবেন।

মুফতি রুহুল আমিন ‘ছদর সাহেব’ খ্যাত আল্লামা শামছুল হক ফরিদপুরী রহ.-এর ছেলে। জাতীয় পর্যায়ে তার ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। ২০০৮ সালে মহাজোট ক্ষমতায় আসার আগ থেকেই তিনি আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছেন। তা ছাড়া তার গোপালগঞ্জে তার কর্মস্থল থাকার কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে তার সুসম্পর্ক রয়েছে বলে তার অনুসারীরা জানান। কওমী আলেম-উলামার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কওমি মাদরাসার সনদের যে স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার এর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার মহাপরিচালক মুফতি রুহুল আমীন।

 

আরো পড়ুন : শেখ হাসিনার নতুন উপাধি ‘কওমী জননী’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ০৪ নভেম্বর ২০১৮, ১২:১৪


দেশের কওমী মাদরাসার আলেমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘কওমী জননী’ উপাধিতে ভূষিত করেছে।

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘শোকরানা মাহফিল’ থেকে এ উপাধী দেয়া হয়। শোকরানা মাহফিলে সারা দেশ থেকে কওমী মাদরাসার ছাত্র ও আলেমরা উপস্থিত হয়েছেন। সকাল ৯টায় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে মাহফিল শুরু হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভাপতিত্ব করছেন হেফাজতে ইসলামের আমির ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক মাওলানা শাহ আহমদ শফী।

 


আরো পড়ুন : শোকরানা মাহফিলের মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী
নয়া দিগন্ত অনলাইন , ০৪ নভেম্বর ২০১৮, ১১:০২


কওমী আলেমদের উদ্দ্যেগে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘শোকরানা মাহফিল’ শুরু হয়েছে। সকাল ৯টায় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়।

কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের উদ্যোগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘শোকরানা মাহফিল’ শুরু হয়েছে। আজ রোববার সকাল ৯টায় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে মাহফিল শুরু হয়। এর আগে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত কওমী মাদরাসার আলেম ও ছাত্ররা মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উপস্থিত হন।


এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভাপতিত্ব করছেন হেফাজতে ইসলামের আমির ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক মাওলানা শাহ আহমদ শফী।

শোকরানা মাহফিলের সভাপতি মাওলানা শাহ আহমদ শফী ১০:৪৫ মিনিটে মঞ্চে উপস্থিত হন। এর কিছুক্ষণ পরই মাহফিলের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত হন। এরপর প্রধানমন্ত্রী আহমাদ শফীর সাথে কুশল বিনিময় করেন। এছাড়া সরকারের শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল ও নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান উপস্থিত আছেন।

কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির স্বীকৃতি দিয়ে সংসদে আইন পাস হওয়ায় এই ‘শোকরানা মাহফিল’-এর আয়োজন করা হয়েছে।

ঢাকাসহ সারা দেশের কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বাস, ট্রেন, লঞ্চে করে ভোর থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে রওনা দিয়েছেন। রাজধানীর মিরপুর, ফার্মগেট, মোহাম্মদপুর, গুলিস্তান, শাহবাগসহ বিভিন্ন জায়গায় মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শোকরানা মাহফিলে অংশ নিতে যেতে দেখা গেছে। টিএসসি ও মাজারগেট দিয়ে মাহফিল স্থানে প্রবেশ করছেন সারা দেশ থেকে আসা বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান উপলক্ষে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। থানা পুলিশ, মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), সাদা পোশাকের গোয়েন্দা পুলিশ ছাড়াও আয়োজক আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবীরা নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর চারপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও এপিবিএনের সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। শাহবাগ ও টিএসসি মোড়ে প্রস্তুত রাখা হয়েছে পুলিশের সাঁজোয়া যান। ইউনিফর্মের পাশাপাশি সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।

শাহবাগ, মৎস্য ভবন, হাইকোর্টের সামনের এলাকা, দোয়েল চত্বর, টিএসসি থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রতিটি প্রবেশপথে সতর্ক অবস্থা দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। এ ছাড়া প্রতিটি প্রবেশপথে বসানো হয়েছে আর্চওয়ে। মেটাল ডিটেক্টর ও হাতে তল্লাশির মধ্য দিয়ে সভাস্থলে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।

অনুষ্ঠানের কারণে রাজধানীর শাহবাগ মোড়, মৎস্য ভবন, দোয়েল চত্বর এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে সব ধরনের যানবাহন প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে ভেতরে সীমিত আকারে যান চলাচল করছে।


আরো সংবাদ



premium cement