২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে যাবে কি না, প্রশ্ন কূটনীতিকদের 

বেগম খালেদা জিয়া - ফাইল ছবি

ঢাকায় অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপি ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সমন্বয়ে নব্গঠিত রাজনৈতিক জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। এই সাক্ষাতে কূটনীতিকরা ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের কাছে জানতে চেয়েছেন, জাতীয় নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্ট জয়ী হলে পরবর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন। এ প্রশ্নের উত্তরে ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ড. কামাল হোসেন জানিয়েছেন, সংসদীয় সরকার ব্যবস্থায় নির্বাচিত সংসদ সদস্যরাই সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী কে হবেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে গুলশানে হোটেল লেকশোরে এই বৈঠকের পর বৈঠকে উপস্থিত ঐক্যফ্রন্টের একাধিক নেতা এসব কথা জানিয়েছেন। এদিন, বিকেল ৩টার দিকে কূটনীতিকদের সাথে বৈঠকে বসে ঐক্যফ্রন্ট। প্রায় ঘণ্টাখানেক চলে এই বৈঠক।


বৈঠকে শেষে ঐক্যফ্রন্টের একাধিক নেতা গণমাধ্যমকে বলেন, কূটনীতিকদের কাছে মূলত ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবি ও ১১ দফা লক্ষ্য তুলে ধরা হয়েছে। এসময় কূটনীতিকরা ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের কাছে কিছু কিছু বিষয় জানতে চান। সেসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ড. কামাল হোসেন।

ঐক্যফ্রন্টের নেতারা জানান, ঐক্যফ্রন্টের কাছে কূটনীতিকদের প্রধান প্রশ্ন ছিল, তারা আগামী সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আসতে পারলে তাদের সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? এ প্রশ্নের উত্তরে ড. কামাল হোসেন বলেন, আমাদের দেশে সংসদীয় পদ্ধতিতে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরাই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী কে হবেন। আমরা ক্ষমতায় এলেও সেভাবেই প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার দেওয়া হবে কাউকে।

বৈঠকে কূটনীতিকরা আরও জানতে জানতে চান, নবগঠিত এই জোটের মূল নেতা কে? এ প্রশ্নের উত্তরে ড. কামাল তাদের বলেন, এখানে কোনো একক নেতৃত্ব নেই। যৌথভাবেই এই জোট পরিচালিত হচ্ছে।

রাজপথের বিরোধী দল বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। তিনি কারাগারে থাকলে ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে যাবে কি না— সেটাও জানতে চান কূটনীতিকরা। এ প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল কূটনীতিকদের জানিয়েছেন, দেশে বর্তমানে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই। সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হলে তারা অবশ্যই নির্বাচনে যাবেন।

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটে থাকা জামায়াতে ইসলামী এবং ঐক্যফ্রন্টে স্থান না পাওয়া সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিকল্পধারা নিয়েও ঐক্যফ্রন্টের স্পষ্ট অবস্থান জানতে চান কূটনীতিকরা। এ প্রসঙ্গে ড. কামালের উত্তর ছিল, এরই মধ্যে এ বিষয়ে গণমাধ্যমে ঐক্যফ্রন্টের বক্তব্য উঠে এসেছে। এর বাইরে তারা আর কোনো মন্তব্য করতে চান না।

জানা গেছে, প্রায় ৫৫ মিনিটের বৈঠকের পর ঐক্যফ্রন্টের লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেন কূটনীতিকরা। পরে কূটনীতিকদের সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতাদের ব্যক্তি পর্যায়েও আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে বৈঠক নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। এখনই বলার সময় হয়নি।

পরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, আমরা বিদেশিদের সঙ্গে ৭ দফা ও ১১ লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা করেছি। এসব দাবি আমরা তাদের কাছে তুলে ধরেছি।

ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে কূটনীতিকরা কী বলেছেন— জানতে চাইলে বিএনপির ড. মঈন বলেন, তারা কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে বা কী ভাবছে, সেটা তারাই বলতে পারেন। আপনারা তাদের কাছ থেকেই জেনে নিতে পারেন।

জানতে চাইলে গণফোরামের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক বলেন, কূটনীতিকদের কাছে আমাদের সাত দফা ও ১১ লক্ষ্য তুলে ধরাই ছিল এই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য। তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান বৈঠক শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বলেন, আমাদের দাবি লক্ষ্য তাদের কাছে তুলে ধরেছি। আশা করি, ভালো ফিডব্যাক পাব। আমরা আশাবাদী। একই কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরুও।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, কাতার, অস্ট্রেলিয়া, চীন, সুইজারল্যান্ড, তুরস্ক ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ ৩০টি দেশের কূটনীতিকরা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম অংশীদার বিএনপির শীর্ষ অনেক নেতাকর্মীও উপস্থিত ছিলেন এই বৈঠকে। তাদের মধ্যে রয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর; দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান; ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, আব্দুল মান্নান; জমির উদ্দিন সরকার, সেলিমা রহমান, আব্দুল্লাহ আল নোমান, বরকত উল্লাহ বুলু, খন্দকার মাহবুব হোসেনসহ অন্যরা।

অন্যদিকে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, সহসভাপতি তানিয়া রব, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন; নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহসহ অন্যরা।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফায় যা আছে :

১. অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে সরকারের পদত্যাগ, জাতীয় সংসদ বাতিল, সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির  মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার নিশ্চিত করতে হবে।

২. গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করার নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে।

৩. বাক, ব্যক্তি, সংবাদপত্র, টেলিভিশন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সব  রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশের স্বাধীনতা এবং নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।

৪. কোটা সংস্কার আন্দোলন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, সাংবাদিকদের আন্দোলন এবং সামাজিক গণমাধ্যমে স্বাধীন মত প্রকাশের অভিযোগে ছাত্রছাত্রী, সাংবাদিকসহ সবার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মুক্তির নিশ্চয়তা দিতে হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সব কালো আইন বাতিল করতে হবে।

৫. নির্বাচনের ১০ দিন আগে থেকে নির্বাচনের পর সরকার গঠন পর্যন্ত ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত ও নিয়ন্ত্রণের পূর্ণ ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত করতে হবে।

৬. নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে দেশি ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং সম্পূর্ণ নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণে ভোট কেন্দ্র, পোলিং বুথ, ভোট গণনাস্থল ও কন্ট্রোল রুমে তাদের প্রবেশে কোনো প্রকার বিধি-নিষেধ আরোপ না করা। নির্বাচনের সময়ে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর যেকোনো ধরনের নিয়ন্ত্রণ বন্ধ করতে হবে।

৭. নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তারিখ থেকে নির্বাচনের ফলাফল চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত চলমান সব রাজনৈতিক মামলা স্থগিত রাখা ও কোনো ধরনের নতুন মামলা না দেওয়ার নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে। 

১১ দফায় লক্ষ্যে যা আছে :

১. মহান মুক্তিসংগ্রামের চেতনা ভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিদ্যমান স্বেচ্ছাচারী শাসন ব্যবস্থার অবসান করে সুশাসন, ন্যায়ভিত্তিক, শোষণমুক্ত ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠন করা। এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক নির্বাহী ক্ষমতা অবসানকল্পে সংসদে, সরকারে, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আনয়নসহ প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরণ ও ন্যায়পাল নিয়োগ করা।

২. ৭০ অনুচ্ছেদসহ সংবিধানের যুগোপযোগী সংশোধন করা। জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করাসহ সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ, সৎ, যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগদানের জন্য সাংবিধানিক কমিশন ও সাংবিধানিক কোর্ট গঠন করা।

৩. বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও ক্ষমতা নিশ্চিত করা এবং স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিচারক নিয়োগের নীতিমালা প্রণয়ন ও সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করা।

৪. দুর্নীতি দমন কমিশনকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার নিশ্চিত করা, দুর্নীতিমুক্ত, দক্ষ ও জবাবদিহিতামূলক প্রশাসন গড়ে তুলে সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে দুর্নীতিকে কঠোর হস্তে দমন।

৫. দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধির পরিবেশ  সৃষ্টি, বেকারত্বের অবসান ও শিক্ষিত যুব সমাজের সৃজনশীলতাসহ রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নিয়োগদানের ক্ষেত্রে মেধাকে যোগ্যতা হিসেবে বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় কোটা সংস্কার করা।

৬. সকল নাগরিকের জান-মালের নিরাপত্তা ও মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করার বিধান করা, কৃষক শ্রমিক ও দরিদ্র জনগণের শিক্ষা, চিকিৎসা , বাসস্থান, ও পুষ্টি সরকারি অর্থায়নে সুনিশ্চিত করা এবং নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা।

৭. জনপ্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় সরকারসহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহকে দুর্নীতি ও দলীয়করণের কালো থাবা থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে এসব প্রতিষ্ঠানের সার্বিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন ও কাঠামোগত সংস্কার সাধন করা।

৮. রাষ্ট্রের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, জনগণের আর্থিক স্বচ্ছলতা ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ রাষ্ট্রের সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা, জাতীয় সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার, সুষম বণ্টন, ধনী দরিদ্রের বৈষম্য দূরীকরণ ও জনকল্যাণমুখী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা। নিম্ন আয়ের নাগরিকদের মানবিক জীবনমান নিশ্চিত করা এবং দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ বেতন-মজুরি কাঠামো নির্ধারণ করা।

৯. জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যমত্য গঠন এবং প্রতিশোধ, প্রতিহিংসা ও নেতিবাচক রাজনীতির বিপরীতে ইতিবাচক সৃজনশীল এবং কার্যকর ভারসাম্যের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করা। কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীকে বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে না দেওয়া।

১০. ‘সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব- কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়’, এই নীতির আলোকে জনস্বার্থ ও জাতীয় নিরাপত্তাকে সমুন্নত রেখে স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করা এবং প্রতিবেশী দেশসমূহের সঙ্গে পারস্পরিক সৎ প্রতিবেশীসুলভ বন্ধুত্ব ও সমতার ভিত্তিতে ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ ও বিনিয়োগ ইত্যাদির ক্ষেত্রে আন্তরিকতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার কার্যকর উদ্যোগ ও পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

১১. বিশ্বের সব নিপীড়িত মানুষের ন্যায়সঙ্গত অধিকার ও সংগ্রামের প্রতি পূর্ণসমর্থন, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের তাদের দেশে ফেরত ও পুনর্বাসনের কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার এবং দেশের সার্বভৌমত্ব ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা সুরক্ষার লক্ষ্যে প্রতিরক্ষা বাহিনীর আধুনিক প্রশিক্ষণ এবং দেশের সার্বভৌমত্ব, প্রযুক্তি ও সমর সম্ভারে সুসজ্জিত, সুসংগঠিত ও যুগোপযোগী করা।  


আরো সংবাদ



premium cement