২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভারত সফর সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত : অলি

ভারত সফর সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত : অলি - ছবি : সংগৃহীত

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির-এলডিপি সভাপতি কর্নেল অলি আহমদের ভারত সফর সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। কোনো রকম রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নিয়ে তিনি ভারত যাননি। তিনি আজমির শরিফ জেয়ারতের উদ্দেশ্যে ভারত গিয়েছেন এবং বর্তমানে সেখানেই অবস্থান করছেন।
বুধবার কর্নেল অলির বরাত দিয়ে তার প্রেস সেক্রেটারি স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল এসব কথা বলা হয়।

কর্নেল অলির ভারত সফরকে কেন্দ্র করে কিছু গণমাধ্যম যে খবর প্রকাশ করছে তা ভিত্তিহীন। তিনি ভারতের কোন ব্যক্তি, দল বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোনো রকম বৈঠক বা যোগাযোগ করেননি।
নির্বাচনকে সামনে রেখে যদি এলডিপির কেউ এধরনের মিথ্যা তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশ করে থাকেন তাহলে কর্নেল অলি আহমদ দেশে ফিরে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিবেন।

ভারত যাওয়ার আগে কর্নেল অলি আহমদ বি চৌধুরীর সঙ্গে জোট করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন জানিয়ে গণমাধ্যম যে সংবাদ পরিবেশন করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। কর্নেল অলি আহমদ স্পষ্ট জানিয়েছেন জোট গড়া তো দূরের কথা গত এক বছরে বি চৌধুরীর সঙ্গে তার কোনো কথাই হয়নি।

বিদেশ ঘুরে কোনো লাভ হবে না 

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, ভারত, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানের মতো উন্নত দেশে সংবিধানের আলোকে যেভাবে নির্বাচন হয়, আমাদের দেশেও সেভাবেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই নির্বাচনকালীন সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এবং নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সুতরাং জাতিসঙ্ঘ, যুক্তরাষ্ট্র এবং লন্ডন ঘুরে কোনো লাভ হবে না। সংবিধানের এক চুলও ব্যত্যয় হবে না। 

গতকাল মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান দুর্জয়। 

হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের পর পাকিস্তান প্রতিনিধিদলের ডেপুটি লিডার শাহ আজিজুর রহমানকে তার মন্ত্রিসভার প্রধানমন্ত্রী করেছিলেন এবং যারা মুক্তিযুদ্ধের বিপে অবস্থান নিয়েছিল তাদেরকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিলেন। তার এসব কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে তিনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। জিয়া মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের দোষর ছিলেন। তিনি বলেন, বিএনপিতে অনেক নেতা আছেন যারা মুসলিম লীগ ও জামায়াতে ইসলামীর পরবর্তী প্রজন্ম। আর বিএনপির জেলা ও উপজেলাপর্যায়ের অনেক নেতা আছেন যাদের পরিবার হয় মুসলিম লীগ ব্যাকগ্রাউন্ড অথবা পাকিস্তানি পক্ষ অবলম্বনকারী বিভিন্ন দলের ব্যাকগ্রাউন্ডের। আর কিছু আছে সুযোগসন্ধানী।

আরো পড়ুন :

শিগগিরই দেশে অনেক পরিবর্তন হবে : মওদুদ
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, আগামী এক মাসের মধ্যে দেশে অনেক পরিবর্তন আসবে। তিনি গতকাল এক সভায় বলেন, নির্বাচনের আর মাত্র এক মাস আছে। এই এক মাসের মধ্যে বাংলাদেশের অনেক কিছুতে পরিবর্তন আসবে। সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তারা যে নির্বাচনকালীন সরকারের কথা বলছে তা কল্পনাপ্রসূত ও তাদের নিজেদের বানানো। নির্বাচনকালীন সরকার বলতে সংবিধানে কিছু নেই। আসলে ওই নির্বাচনকালীন সরকারে তারাই থাকবে।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘ভোটাধিকার-ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার : বর্তমান বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার পরিষদ আয়োজিত এই সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, খালেদা ইয়াসমিন ও নিপুণ রায় চৌধুরী।

সভায় সভাপতিত্ব করেন মো: রফিকুল ইসলাম। দেশের বর্তমান সঙ্কট উত্তরণে সংবিধানের বাইরে গিয়েই নির্বাচকালীন নিদর্লীয় সরকার গঠনে জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টি হয়েছে মন্তব্য করে মওদুদ আহমদ বলেন, আওয়ামী লীগ ও ১৪ দল ছাড়া বাংলাদেশে সব রাজনৈতিক দল ঐকমত্যে পৌঁছেছে যে, একটা নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। এই নির্বাচন যদি সংবিধান থেকে বেরিয়ে এসে করা হয় তাতেও কোনো অসুবিধা নেই। সংবিধান কোনো বাধা নয়। কেননা, আমরা এই ব্যবস্থাকে আবার বৈধতা দিতে পারব আগামী সংসদে নির্বাচনের পর পরবর্তী সংশোধনী এনে।


আরো সংবাদ



premium cement