ট্রাম্প প্রশাসনের সোস্যাল মিডিয়া-সংক্রান্ত নিয়মকে চ্যালেঞ্জ করে বৃহস্পতিবার মামলা দায়ের করেছে দু’টি ডকুমেন্টারি ফিল্ম গ্রুপ। এই বছর গৃহীত ওই নতুন নীতিমালায় গত পঁাঁচ বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীর তথ্য প্রকাশ করতে বলা হয়েছে।
কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির নাইট ফার্স্ট অ্যামেন্ডমেন্ট ইনস্টিটিউট এবং নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি ল স্কুলের ব্রেনান সেন্টার ফর জাস্টিসের প্রতিনিধিত্বকারী যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দু’টি দল এই মামলায় যুক্তি দিয়েছে যে, কঠোর নজরদারি ভিসার আবেদনকারীদের সংবিধানিকভাবে সংরক্ষিত বাক ও সংগঠনের স্বাধীনতা খর্ব করে, তাদের যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ থেকে বিরত রাখে এবং মার্কিন দর্শকদের বিশ্বের অন্যান্য দেশের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সাথে জড়িত হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে।
মে মাসের শেষের দিকে গৃহীত নিয়মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা আবেদনকারীদের পূর্ববর্তী পাঁচ বছরের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ২০টি প্ল্যাটফর্মে থাকা সব তথ্য প্রকাশের শর্ত রয়েছে। টুইটার ইনক বলেছে, তারা মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরে সোস্যাল মিডিয়ার নিবন্ধনের শর্তাবলির জোরালো বিরোধিতা করে এবং প্রতিশোধ বা প্রতিহিংসার ভয় ছাড়াই মানুষের কথা বলার অধিকারকে সমর্থন করে। ওয়াশিংটনে মার্কিন দায়রা আদালতে দায়ের করা এই মামলায় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটির ভারপ্রাপ্ত সচিব চাদ ওল্ফের নাম রয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। ডিএইচএসও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, বার্ষিক ১৪ মিলিয়নেরও বেশি আবেদনকারী গ্রহণ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা