তার উপন্যাস চুরি করে নিজেদের বলে চালিয়ে দিচ্ছেÑ শুধুমাত্র এই বিশ্বাস থেকে জন্ম নেয়া ক্ষোভের কারণে প্রতিশোধ নিতে জাপানের কিয়োটো অ্যানিমেশন স্টুডিওতে আগুন ধরিয়ে দেন শিনজি আওবা। জাপানের সংবাদমাধ্যমগুলো শুক্রবার এ ধরনের খবর প্রকাশ করে।
কিয়োটো অ্যানিমেশন স্টুডিওতে বৃহস্পতিবার সকালে লাগা আগুনে ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে আরো ৩৬ জন, যাদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। জাপানে গত প্রায় দুই দশকের ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা।
ওই দিনই পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে শিনজি আওবাকে গ্রেফতার করে। আওবা নিজেও আগুনে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। হাসপাতালেই তাকে পুলিশ কাস্টডিতে রাখা হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে সরিয়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে।
অবশ্য আওবার অতীত অপরাধের ইতিহাস আছে। এর আগে ২০১২ সালে টোকিওর পূর্বাঞ্চলে একটি সুপারশপে ডাকাতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারাগারে যেতে হয়েছিল তাকে।
কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি সাবেক কয়েদিদের বসবাসের জন্য সরকারি ব্যবস্থায় তৈরি একটি হোমে থাকতেন। তাকে মনরোগের চিকিৎসাও নিতে হয়েছে বলে জানায় জাপানের জাতীয় সম্প্রচার মাধ্যম এনএইচকে।
স্টুডিওটির কাছে একটি পেট্রল স্টেশনের সিসি টিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ আওবাকে সন্দেহ করে। ওই ফুটেজে আওবাকে স্টুডিওতে আগুন লাগার কিছুক্ষণ আগে পেট্রল স্টেশন থেকে দুটি কন্টেইনারে পেট্রল ভরতে দেখা গেছে।
পুলিশের ভাষ্য, হামলাকারী কিয়োটো অ্যানিমেশন কোম্পানির স্টুডিও ভেঙে প্রবেশ করে চারদিকে তরল ছিটিয়ে দিয়েছিল। আগুন লাগানোর সময়েও তাকে চিৎকার করে বলতে শোনা গিয়েছিল, তোমরা মরো। আটক হওয়ার পর ৪১ বছরের আওবা পুলিশের কাছে দোষ স্বীকার করেছেন জানিয়ে কিয়োডো নিউজ জানায়, তার বিশ্বাস ওই স্টুডিও তার উপন্যাস চুরি করেছে। এ জন্য তিনি সেখানে আগুন ধরিয়ে দেন। যদিও পুলিশ এ বিষয় কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা