২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সুদানে চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে দুই পক্ষের আলোচনা

-

সুদানের বিক্ষোভকারী জোট ও ক্ষমতাসীন সেনাশাসকরা ক্ষমতার ভাগাভাগি বিষয়ে গত বুধবার যে চুক্তিতে সম্মত হয়েছেন, সে চুক্তির ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে গতকাল শুক্রবার ফের আলোচনায় বসেন উভয় পক্ষের নেতারা।
এর আগে সুদানের স্বৈরশাসক ওমর আল-বশিরের নাটকীয়ভাবে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার চার মাসের মধ্যে ক্ষমতা দখলকারী ট্রানজিশনাল মিলিটারি কাউন্সিল (টিএমসি) ও ফোর্সেস অব ফ্রিডম অ্যান্ড চেঞ্জ (এফএফসি) জোটের মধ্যে কয়েক দফা সমঝোতার ব্যর্থ চেষ্টা চালায় আফ্রিকান ইউনিয়ন।
অবশেষে, সামরিক বাহিনী এবং দেশটির আন্দোলনরত বিরোধীদলীয় কোয়ালিশন চলতি মাসের প্রথমার্ধে ক্ষমতা ভাগাভাগির মাধ্যমে দেশটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের ব্যাপারে একটি সমঝোতায় আসতে সক্ষম হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার উভয় অংশের নেতৃবৃন্দ ক্ষমতার ভাগাভাগি বিষয়ে একটি চুক্তি করে।
চুক্তি অনুযায়ী উভয় পক্ষ ১১ সদস্যের সমন্বয়ে একটি সার্বভৌম পরিষদ গঠনের ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। আগামী তিন বছর বা তার চেয়ে কিছুটা বেশি সময় নিজেদের মধ্যে শাসনক্ষমতা ভাগাভাগি করবে। বিরোধী দল এবং সামরিক বাহিনীর মধ্য থেকে পাঁচজন করে সদস্য নিয়ে রুলিং অথরিটি বা ক্ষমতাসীন সরকার অথবা কর্তৃপক্ষ গঠিত হবে। আর দুই পক্ষের মধ্যকার চুক্তি বা সম্মতির মাধ্যমে ষষ্ঠ বেসামরিক সদস্য নিয়োগ দেয়া হবে। অন্তর্বর্তী সময়ের প্রথম ২১ মাস সেনাবাহিনীর একজন জেনারেল সরকার পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন এবং পরবর্তী ১৮ মাস একজন বেসামরিক ব্যক্তি সরকারপ্রধান থাকবেন।
গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় উত্তরণের জন্য কিভাবে কাজ এগিয়ে নেয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা করতে উভয় পক্ষ শুক্রবার একত্র হয়। বৈঠকে সার্বভৌম পরিষদের কার্যক্রম ও ক্ষমতা নির্ধারণের বিষয়ে সাংবিধানিক উপায়ে আলোচনার মধ্যমে সমাধানে আসাই মূল লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।
এ দিকে আল জাজিরা জানিয়েছে, ক্ষমতার ভাগাভাগি বিষয়ে চলমান প্রক্রিয়া সমাধানে কয়েক দিন লেগে যেতে পারে। কারণ এখনো বেশ কিছু বিতর্কিত বিষয় রয়েছে, যা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। এর মধ্যে সেনা শাসকদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে শাসন পরিচালনায় যৌথ রুলিং অথরিটিতে সেনাবাহিনীর যে সদস্যরা কাজ করবেন তাদের ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিতে হবে। তবে এ বিষয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে বিক্ষোভকারী জোট। তাদের বক্তব্য যদি সেনা শাসকদের ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দেয়া হয় তাহলে বিক্ষোভকালীন হতাহতের ঘটনার তদন্তের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এ বিষয়ে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সন্দেহ ক্রমেই বেড়ে চলছে।
বিক্ষোভকারী জোট বলছে, যত দিন রুলিং অথরিটির সদস্যরা দায়িত্বে থাকবে যত দিন তাদের অস্থায়ী স্বাধীনতা দেয়া যেতে পারে। গত মাসে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি ও সেনা প্রতিনিধিদের মধ্যে সুদানের ক্ষমতা নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু গত ৩ জুন দেশটির রাজধানী খর্তুমে সেনা অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে বহু বিক্ষোভকারীর মৃত্যুতে আলোচনা ব্যর্থ হয়ে যায়। ঘটনার পরদিন নীল নদ থেকে ৪০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল। মূলত ওই ঘটনার পর থেকে সেনা শাসকদের ব্যাপারে বিক্ষোভকারী জোটের অবিশ্বাস আরো তীব্র হয়। বিরোধী দলের সমর্থক চিকিৎসকরা দাবি করেন, সেনাবাহিনীর হামলায় ১২৮ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। যদিও সরকার ৪৬ জনের মৃত্যুর কথা স্বীকার করে।


আরো সংবাদ



premium cement
কলকাতার রাস্তায় চাকরি হারানো শিক্ষকরা শিল্পী-সাংবাদিক দ্বন্দ্ব নিয়ে এলো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত যশোর কারাগারে হাজতিদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ব্যাপক আতঙ্ক চিকিৎসার জন্য ঢাকা ছাড়লেন বিএনপি নেতা আমীর খসরু কুষ্টিয়াতে মসজিদ কমিটি নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫ চেয়ারম্যান তপন ও অজিত মেম্বারকে ধরিয়ে দিতে পারলে পুরস্কার ঘোষণা নারায়ণগঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় ১৪ ডাকাত সদস্য গ্রেফতার রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়াল যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশী শ্রমিকদের ভিসা সহজ করার আহ্বান প্রবাসী প্রতিমন্ত্রীর চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী না হয়ে অংশীদার হওয়া উচিত : শি জিনপিং ওকাব সভাপতি নজরুল ইসলাম, সম্পাদক জুলহাস আলম

সকল