চলতি মাসের শেষ দিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর দুই দেশের তিক্ত সম্পর্ক মেরামতে সহায়ক হবে বলে ইসলামাবাদ আশা করছে। কারণ, আফগান যুদ্ধ অবসানে পাকিস্তানের সহায়তা কামনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ২২ জুলাই হোয়াইট হাউজে খান ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন মুখোমুখি হবেন তখন তাদের আলোচনার মূল বিষয় হবে ১৮ বছর ধরে চলা আফগান সঙ্ঘাত। তালেবানের সাথে শান্তিচুক্তিতে পৌঁছার জন্য পাকিস্তানের সহায়তা চাইছে ওয়াশিংটন।
ইসলামাবাদে এক সেমিনারে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি বলেন, পাকিস্তান সরল বিশ্বাসে যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের মধ্যে আলোচনার ব্যবস্থা করেছে। এটা একটি যৌথ দায়িত্ব বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
কোরেশি বলেন, তাই দ্বিপক্ষীয় ইস্যু থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা, দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতা পর্যন্ত সব কিছুতে আফগানিস্তানের বৃহত্তর এনগেজমেন্টের জন্য কাজ করা সঙ্গত হবে।
খান ও ট্রাম্প দু’জনেই সেলিব্রেটি থেকে রাজনীতিবিদে পরিণত হয়েছেন। একসময় তাদের দু’জনের ভালোবাসার কাহিনীগুলো ছিল ট্যাবলয়েডের মুখরোচক খবর। এই কিছু দিন আগেও দু’জনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী একসময় এটাও বলেছিলেন যে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাথে বৈঠকে বসা হবে ‘তিক্ত বড়ি’ গেলার মতো। কিন্তু মঙ্গলবার কোরেশি বলেন, খানকে ট্রাম্পের আমন্ত্রণ জানানোর মধ্যে দুই পক্ষের মধ্যে সম্পর্কের গুরুত্বটি প্রতিফলিত হয়েছে।
২০১৭ সালে ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই ইসলামাবাদের সাথে ওয়াশিংটনের সম্পর্কে অশান্তি চলছে। মার্কিন নেতা প্রায়ই পাকিস্তানকে দোষারোপ করেন সন্ত্রাসীদের রাশ টেনে ধরতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য। সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে পাকিস্তানকে উল্লেখ করেন তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা