ভারতে ১৯৮৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী নিহত হওয়ার পর শিখবিরোধী দাঙ্গার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। গতকাল হাইকোর্ট এই রায় দিয়েছে। ১৯৮৪ সালে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী শিখ দেহরক্ষীর গুলিতে নিহত হওয়ার পরে শিখবিরোধী ভয়াবহ দাঙ্গার ঘটনায় ৩ হাজার ৩২৫ জন নিহত হয়েছিলেন। এর মধ্যে কেবল দিল্লিতেই ২ হাজার ৭৩৩ জন নিহত হন। অন্যরা হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে নিহত হন।
সজ্জন কুমারকে দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, সহিংসতা সৃষ্টি ও দাঙ্গায় উসকানির ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এর আগে ১৯৮৪ সালের শিখ দাঙ্গা মামলায় ২০১৩ সালে কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমারকে নিম্ন আদালত নিরপরাধ বলে রেহাই দিয়েছিল। কিন্তু সাবেক কংগ্রেস নেতা বলবান খাকর, ক্যাপ্টেন ভাগমল, গিরিধারী লাল এবং অন্য দু’জনকে নিম্ন আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছিল। বলবান খোকর, ক্যাপ্টেন ভাগমল, গিরিধারী লালকে আদালত সেই সময় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। এছাড়া মহেন্দ্র যাদব ও কিষাণ খোকরকে তিন বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। নিম্ন আদালতের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সাজাপ্রাপ্তরা। এছাড়া সিবিআই ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে সজ্জন কুমারকে রেহাই দেয়ার বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। গতকাল দিল্লি হাইকোর্টের ওই রায়কে বিজেপি, আম আদমি পার্টি ও অকালি দলের পক্ষ থেকে স্বাগত জানানো হয়েছে। বিজেপি নেতা অরুণ জটলিসহ অন্যরা দিল্লি হাইকোর্টের ওই রায়কে হাতিয়ার করে কংগ্রেসের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা