১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলকদ ১৪৪৫
`


ওয়ানঝুকে না ছাড়লে কানাডাকে চরম পরিণতি ভোগের হুমকি চীনের

-

টেলিকম জায়ান্ট হুয়াওয়ের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) ওয়ানঝুকে অবিলম্বে মুক্তি না দিলে কানাডাকে চরম পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুমকি দিয়েছে চীন। একই সাথে এ ঘটনাকে ‘চরম নোংরামি’ বলে মন্তব্য করেছে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত ১ ডিসেম্বর কানাডার ভ্যাঙ্কুবারে হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠাতার কন্যা ও প্রতিষ্ঠানটির সিএফও মেং ওয়ানঝু গ্রেফতার হন। গত বুধবার তার গ্রেফতারের বিষয়টি প্রকাশ করা হয়। শুক্রবার কানাডার আদালতে তার জামিন শুনানি হয়। এতে অভিযোগ করা হয়, মেং যুক্তরাষ্ট্রের ইরান নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করেছেন। তাকে যুক্তরাষ্ট্রে কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শনিবার বিবৃতিতে চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী লি ইউচেং বেইজিংয়ে নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত মেংকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানিয়ে এ হুঁশিয়ারি জানান। ‘তীব্র প্রতিবাদ’ জানানোর জন্য রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকেও পাঠানো হয়। রাষ্ট্রদূত জন ম্যাককালামকে বলা হয়েছে, মেংকে অটোয়া দ্রুত মুক্তি না দিলে এর জন্য কানাডাকে চরম পরিণতি ভোগ করতে হবে। এ ব্যাপারে কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। তবে শুক্রবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড জানিয়েছেন, চীনের সাথে কানাডার সম্পর্ক অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মেং কনসুলার সুবিধা পাবেন বলে বেইজিংয়ে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত চীনকে নিশ্চিত করেছে।
মেংকে গ্রেফতারের বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, গত শনিবার ভাঙ্কুভারে বিমান পরিবর্তনের সময় মেংকে গ্রেফতারের বিষয়টি তার অধিকারের মারাত্মক লঙ্ঘন। অযৌক্তিকভাবে আইন লঙ্ঘন করে করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে যখন একটি টানাপড়েনের সম্পর্ক চলছে, ঠিক তখনই গ্রেফতার হন মেং ওয়ানঝু। যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যার্পণ অনুরোধে ১ ডিসেম্বর কানাডার ভাঙ্কুভার বিমানবন্দরে হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠাতার মেয়ে মেং ওয়ানঝুকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইরানে প্রযুক্তি বিক্রি করার অভিযোগ করা হচ্ছে। তিনি হংকং থেকে মেক্সিকো যাচ্ছিলেন। ভাঙ্কুভার বিমানবন্দরে তার যাত্রাবিরতি ছিল।
দোষী সাব্যস্ত হলে যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে তার। হুয়াওয়ে বলেছে, মেং ওয়ানঝু অন্যায় কিছু করেছেন বলে তাদের জানা নেই। চীন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, মেং কোনো আইন লঙ্ঘন করেননি।

 


আরো সংবাদ



premium cement