১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলকদ ১৪৪৫
`


উপজেলা নির্বাচন : নালিতাবাড়ীতে দু’পক্ষের সংঘর্ষ

ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ভাংচুর, আহত ৬
-

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শুক্রবার বিকেলে নৌকার প্রার্থী মোশারফ হোসেনের সমর্থক ও বিদ্রোহী প্রার্থী মোকছেদুর রহমান লেবুর মোটসাইকেলের সমর্থকদের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইপক্ষের ছয়জন আহত হয়েছে। ভাংচুর করা হয়েছে ১২টি মোটরসাইকেল।

উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও দুই পক্ষের কর্মী-সমর্থকরা জানায়, দুপুরে রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের উত্তর কালাকুমায় মোটরসাইকেলের সমর্থক মো: জহুরুল হককে মোটরসাইকেলের কার্যালয় বন্ধ করতে এবং নির্বাচন করতে নিষেধ করেন নৌকা সমর্থকরা। এ সময় জহুরুল ও তার বোন জাহানারা বেগমের সাথে নৌকা সমর্থকদের বাক-বিতন্ডা হয়। বিকেলে ওই ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে ৫০-৬০ জন নৌকার সমর্থক জহুরুলদের মোটরসাইকেলের কার্যালয়, দোকান ও বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে। এসময় সবুজ মিয়া, জহুরুল ও জাহানারাকে মারধর করে নৌকা সমর্থকরা।

খবর পেয়ে মোটরসাইকেলের প্রার্থী মোকছেদুর রহমান লেবু ও তার সমর্থকরা ওই এলাকায় সড়কে মোটরসাইকেল রেখে ঘটনাস্থলে যান। এসময় সড়কে রেখে যাওয়া ৮টি মোটরসাইকেল নৌকার সমর্থকরা ভাংচুর করে। পরে এ নিয়ে দুই পক্ষের সমর্থকদের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে নৌকার তিন সমর্থক কালাকুমা গ্রামের ফরহাদ আলী, কুদরত আলী ও হাফিজুর রহমান মারধরের শিকার হন।

পরে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এদিকে কালাকুমার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যায় লেবুর সমর্থকরা তারাগঞ্জ উত্তর বাজারস্থ তার কার্যালয়ে সমবেত হয় ও শহীদ মিনার চত্বরে রাখা নৌকার প্রচারণার একটি মাইক্রোবাস ধাওয়া করে। একপর্যায়ে নৌকার প্রার্থী মোশারফ হোসেনের সমর্থকদের ৪টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। এতে শহরে আতংক ছড়িয়ে পড়ে ও দ্রুত শহরের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। পরে ইউএনও আরিফুর রহমান, এএসপি জাহাঙ্গীর আলম ও ওসি আবুল খায়েরসহ পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা উপস্থিত হলে পরিবেশে স্বাভাবিক হয়।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম জানান, আমরা মোটরসাইকেলের কার্যালয় ও বাড়ি-ঘর ভাংচুর করিনি, কাউকে মারধরও করিনি। মোটরসাইকেলের কর্মী-সর্মকরাই আমাদের নৌকার সমর্থকদের মারধর ও ৪টি মোটরসাইকেলে ভাংচুর করেছে।

নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল খায়ের বলেন, পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাবের উপস্থিতিতে কালাকুমা ও পৌর শহরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। মারধরের ঘটনায় এখনো কোনো মামলা করা হয়নি।

ইউএনও আরিফুর রহমান বলেন, দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এতে কালাকুমায় মোটরসাইকেলের ৮টি ও শহরের নৌকার পক্ষের ৪টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল