৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


চতুর্থ আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দরে রূপ লাভ করছে সৈয়দপুর

-

আন্তর্জাতিকমানে উন্নীত হওয়া ‘সৈয়দপুর বিমানবন্দর’ সম্প্রসারণের কাজ শুরু করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। সম্প্রসারণ কাজের জন্য ইতোমধ্যে জমির পরিমাপ নির্ধারণ করে নিশানা টানানো হয়েছে অন্তর্ভুক্ত এলাকায়। এখন চলছে ভূমি অধিগ্রহণের প্রস্তুতি।
নীলফামারী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি শাখা সূত্র জানায়, সম্প্রসারিত করার জন্য ৮৫২ একরেরও বেশি জমি অধিগ্রহণ করতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। অধিগ্রহণ করা হবে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলায় ৫৩৫একর এবং দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলায় ৩১৭ একর জমি। সম্প্রসারিত হওয়ার ফলে বর্তমান বিমানবন্দরের ৬ হাজার ফিট রানওয়ে বর্ধিত হয়ে হবে ১২ হাজার ফিটে। নতুন করে ট্যাক্সিওয়ে, অ্যাপ্রোন, প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল বিল্ডিং, কার্গো টার্মিনাল, বিল্ডিং কন্ট্রোল টাওয়ার, পাওয়ার হাউজ, পাম্প হাউজ, ফায়ার স্টেশন, প্রশাসনিক ভবন, অপারেশনাল ভবন, ভিআইপি ও ভিভিআইপি লাউঞ্জ, আবাসিক ভবন নির্মাণ, হ্যাঙ্গার, ভিডিওআর, ডিএমই, এনডিবি, আইএলএস, সিসিআর, এজিএল, রাডার স্টেশন, ওয়াটার সাপ্লাই ও ড্রেনেজ সিস্টেম, ওভারহেড ওয়াটার ট্যাংক, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, এমটি ভবন, কারপার্ক, অ্যাপ্রোচ সড়ক, ইন্টারনাল সড়ক এবং পেরিফেরাল পেট্রোল সড়ক নির্মাণ করা হবে।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, নতুন টার্মিনাল ভবন এবং দুটি উড়োজাহাজ পার্কিংয়ের নির্মাণকাজ শুরু হয়ে গেছে ইতোমধ্যে। বর্তমানে ৬ হাজার ফিটের রানওয়ের পরিবর্তে ১২ হাজারে উন্নীত হওয়ায় দেশের বৃহৎ রানওয়েতে পরিণত হচ্ছে সৈয়দপুর বিমানবন্দর।
সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার কমোডর মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে চতুর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে তৈরি করা হচ্ছে। সরকার এটিকে আঞ্চলিক হাব হিসেবে গড়ে তুলতে চায়।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বুলবুল জানান, সৈয়দপুর বিমানবন্দর সম্প্রসারণ কাজের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ বিষয়ে শনিবার বিকেলে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হক।
নীলফামারী জেলা প্রশাসক বেগম নাজিয়া শিরিন জানান, আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দরে উন্নীত হওয়ার ফলে পাশের দেশ ভারত, নেপাল ও ভুটানের সাথে ব্যবসা ও পর্যটন শিল্পের প্রসার ঘটবে এবং উত্তরবঙ্গসহ দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়বে।
সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক শাহিন আহমেদ জানান, ১৯৭৯ সালে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে ১৩৪.৩০ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয় সৈয়দপুর বিমানবন্দর। এখান থেকে বাংলাদেশ বিমান, নভোএয়ার, ইউএসবাংলা, রিজেন্ট এয়ারওয়েজের ৮টি উড়োজাহাজ নিয়মিত আসা-যাওয়া করছে ঢাকা-সৈয়দপুর রুটে। তিনি বলেন, সম্প্রসারণের কাজ ২০২০ সালের মধ্যে দৃশ্যমান হবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও নীলফামারী-১ আসনের সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার বলেন, উত্তরাঞ্চলের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু কন্যা যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সৈয়দপুর বিমানবন্দর তার একটি জ্বলন্ত উদাহরণ।


আরো সংবাদ



premium cement