২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ফতুল্লায় হালিম হত্যার রায়ে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

-

নারায়ণগঞ্জে ফতুল্লার উত্তর নরসিংহপুর এলাকার ওয়ার্কশপ মালিক আবদুল হালিমকে (৩০) বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার অভিযোগে চারজনকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। একই সাথে হত্যার পর লাশ গুম চেষ্টার অভিযোগে একই সাথে আরো ৭ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়েছে। অর্থদণ্ডের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে আরো ৬ মাস করে কারাভোগ করতে হবে তাদের।
হত্যাকাণ্ডের চার বছর পর গতকাল দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আনিছুর রহমান এ আদেশ দেন।
নিহত আবদুল হালিম ফতুল্লার উত্তর নরসিংহপুর এলাকার আফসার উদ্দিনের ছেলে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো ইকবাল হোসেন (৩০), সোহাগ (৩০), সাদেকুর রহমান (৩৮) ও বাবু কাজী (৩৫)। তাদের সবার বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার মুসলিমনগর এলাকায়। হত্যার অভিযোগে চারজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে রায়ের আদেশে বলা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময়ে দণ্ডপ্রাপ্তরা পলাতক ছিলেন। এ মামলায় তিন আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।
খালাসপ্রাপ্ত তিন আসামি হলো আবুল হোসেন, মেহেদী ও মোক্তার হোসেন। রায় ঘোষণার সময় এদের তিনজনই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
নারায়ণগঞ্জ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, কয়লা ব্যবসার জন্য চুক্তি ভিত্তিতে আবদুল হালিমের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা নিয়েছিল ইকবাল। পরে দীর্ঘ দিন সেই টাকার ব্যবসায়িক লাভ কিংবা টাকা না দিয়ে উল্টো টালবাহনা করছিল ইকবাল। এসব কারণেই সৃষ্ট বিরোধের জের ধরে ২০১৪ সালের ১৬ আগস্ট সন্ধ্যায় আবদুল হালিমকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় ইকবাল। সেখানে ছাদে প্রথমে ইকবাল হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে অচেতন করে হালিমকে। তারপর ধারালো দেশী অস্ত্র দিয়ে কেটে পাঁচ টকুরো করে লাশ গুম করে ফেলে। ঘটনার পরদিন হালিমের ছোট ভাই শামীম উদ্দিন বাদি হয়ে ইকবালের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত কয়েক জনকে আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় প্রথমে সাদেকুর রহমান গ্রেফতার হলে তার দেয়া তথ্যে ফতুল্লার কাশিপুর এলাকায় আবদুল হালিমের বস্তাবন্দী অবস্থায় হাত-পা বিহীন লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সাদেকুর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। ২৫ জনের মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
নিহতের বাবা আফসার উদ্দিন বলেন, ‘এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। যে তিনজনকে খালাস দেয়া হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।’


আরো সংবাদ



premium cement