২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ডায়াবেটিক রেটিনোপেথি টেস্টে আইসিডিডিআরবিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

- সগৃহীত

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইজ ফর অল পিএলসি, কানাডার ডায়গনসিস ইনকরপোরেশনের সহযোগিতায় বাংলাদেশে রেটিনোপ্যাথি ডায়াবেটিস শনাক্ত করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার শুরু করেছে। কমপিউটার এসিস্টেড রেটিনা এনালাইসিস (সিএআরএ) ভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ফ্লেয়ার মঙ্গলবার থেকে মহাখালীর আইসিডিডিআরবি ডায়গনস্টিক সেন্টারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ শুরু করবে। ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ডায়াবেটিক রেটিনোপেথি একটি অন্যতম জটিল রোগ। রোগটি হলে বায়াবেটিক রোগী স্থায়ীভাবে অন্ধ হয়ে যেতে পারে যদি প্রাথমিক অবস্থায় রোগটি শনাক্ত না করা যায়।

এই প্রযুক্তির সাহায্যে এক সঙ্গে অনেক রোগীর ডায়গনসিস করা যাবে। ইন্টারনেটের সাহায্যে এই প্রযুক্তি কানাডার মূল কোম্পানির সাথে যুক্ত, যেখান থেকে সব ধরনের সহায়তা পাওয়া নেবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগে রেটিনার ডায়াবেটিস পরীক্ষার এই পদ্ধতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফুড অ্যান্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ), কানডার হেলথ কানাডা এবং ইউরোপিয় ইউনিয়নের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কর্তৃক অনুমোদিত।
আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশনের হিসেবে বাংলাদেশে ৫ কোটি ৯০ লাখ ডায়াবেটিক রোগী রয়েছে। এদের মধ্যে ৩ কোটি ৯০ লাখ জানে না তাদের ডায়াবেটিসে ভুগছে। এছাড়া ডায়াবেটিস রোগীদের ১ কোটি ৮০ লাখ রোগী অর্থাৎ মোট ডায়াবেটিকের ২৭ শতাংশ ডায়াবেটিক রেটিনোপেথিতে ভুগছে।
আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিক ফেডারেশন বলছে ২০৪৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশের বিশ্বের শীর্ষ ১০ ডায়াবেটিক প্রবণ দেশের একটি হবে। তখন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হবে ১৩ তোটি ৭০ লাখ। নতুন এক প্রযুক্তির ব্যবহার দ্রুত, নির্ভুল এবং সুক্ষ্ণভাবে ডায়াবেটিক রেটিনোপেথি শনাক্ত করতে পারবে।
আইসিডিডিআরবির ল্যাবরেটরি সায়েন্স অ্যান্ড সার্ভিসের সিনিয়র পরিচালক ড. নিয়াজ আহমেদ বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ডায়াবেটিক রোগীর রেটিনার অসুস্থতা নির্ণয়ে রোগীরা উপকৃত হবে এবং রোগটি নির্ণয়ের মাধ্যমে ডায়াবেটিক রেটিনোপেথি রোধ করা সম্ভব হবে।
প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত আইসিডিডিআরবিতে ডায়াবেটিক রেটিনোপেথি টেস্ট করা যাবে।


আরো সংবাদ



premium cement