২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অধ্যাপক ডা: হাদীর একাদশ মৃত্যুবার্ষিকী মঙ্গলবার

ডা: এম এ হাদী - ফাইল ছবি

খ্যাতনামা চিকিৎসক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক ভিসি ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের (বিএমএ) দুই বারের নির্বাচিত সভাপতি অধ্যাপক ডা: এম এ হাদী’র একাদশ মৃত্যু বার্ষিকী মঙ্গলবার। ২০০৭ সালের ১৬ অক্টোবর ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ৬৮ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন তিনি।

অধ্যাপক ডা: এম এ হাদী ১৯৪১ সালের ৩১ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও থানার শিলাশী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা মৌলভী মো: আসমত আলী ছিলেন একজন সফল ব্যবসায়ী।

অধ্যাপক এম এ হাদী ১৯৬৪ সালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হতে এমবিবিএস, ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন্স হতে সার্জারিতে এফসিপিএস, ১৯৯৩ সালে ইন্টারন্যাশনাল কলেজ অব সার্জন্স হতে ইউরোলজিতে এফআইসিএস, ১৯৯৫ সালে এডিনবার্গের রয়েল কলেজ অব ফিজিসিয়ান্স হতে এফআরসিপি অর্জন করেন। এছাড়াও ১৯৯৯ ও ২০০৫ সালে পাকিস্তানের কলেজ অব ফিজিসিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন্স ও রয়েল কলেজ অব ফিজিসিয়ান্স অ্যান্ড সার্জনস হতে সার্জারিতে এফসিপিএস ও এফআরসিএস ডিগ্রি অর্জন করেন।

অধ্যাপক হাদী ১৯৮৭ হতে ১৯৯৮ পর্যন্ত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ও একই সাথে কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অবসর গ্রহণের পর ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) আহবায়ক এবং পরে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিএসএমএমইউ’র ভিসির দায়িত্ব গ্রহণ করেন ২০০১ সালে। তিনি এ প্রতিষ্ঠানের জনবল, বিভাগ, শয্যা সংখ্যা, বহিঃ ও আন্তঃবিভাগীয় সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করেন। একটি পুর্ণাঙ্গ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করার জন্য বিএসএমএমইউকে তিনি ঢেলে সাজানোর কাজটি করেন।

বিএসএমএমইউ’র প্রতিটি বিভাগে শিক্ষার্থীর আসন সংখ্যা ৪ হতে ১০ জনে উন্নীত করেন তিনি। সরকারী-বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই সমান সংখ্যায় ছাত্র ভর্তি করেন। তিনি কোলরেক্টাল, প্লাস্টিক সার্জারি, ইমারজেন্সি হৃদরোগ ও ইমারজেন্সি অর্থপেডিকস্ বিভাগ চালুসহ প্রতিটি বিভাগে সুপার স্পেশালাইজড ইউনিট চালুর ব্যবস্থা করেন এবং দেশ-বিদেশে অবস্থানরত অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের এই প্রতিষ্ঠানে যোগদানে উৎসাহিত করেন এবং নিয়োগ দেন ।

তাঁর প্রচেষ্টাতেই বিএসএমএমইউ-এ পুর্নাঙ্গ দুটি ক্যাথল্যাব চালু ও হার্ট ভাল্ব প্রতিস্থাপন অপারেশনসহ সকল প্রকার হার্টের অপারেশনের সুযোগ সম্বলিত পুর্নাঙ্গ কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগ চালু হয়। ২০০৬ সালে অধ্যাপক হাদী ভিসি’র পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবার জন্য রাজনীতিতে যোগ দেন।

অধ্যাপক হাদীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএসএমএমইউ’র ড্যাবের চিকিৎসকেরা মঙ্গলবার বাদ জোহর কুরআনখানি ও দোয়ার আয়োজন করেছে। এতে অধ্যাপক হাদীর রুহের মাগফিরাত কামনা ও একই সাথে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য দোয়া করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement