২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চাঁদে নামার আগেই বিধ্বস্ত ইসরাইলি মহাকাশযান

বেরেশিট বিধ্বস্ত হওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণকক্ষে প্রকল্প-সংশ্লিষ্টরা (ইনসেটে বেরেশিট) - ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদে মহাকাশযান অবতরণ করাতে চেয়েছিল ইসরাইল। কিন্তু তাদের সেই মিশন পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। চাঁদে পা রাখার আগেই গতকাল বৃহস্পতিবার ইসরাইলের পাঠানো মহাকাশযানটি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়।

ইসরাইলের হলেও মূলত ব্যক্তিগত অর্থায়নেই পরিচালিত হয়েছিল চাঁদে মহাকাশযান পাঠানোর এ মিশন। এই মিশনের উদ্দেশ্য ছিল চন্দ্র-পৃষ্ঠের ছবি তোলা এবং বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা। এ প্রকল্পে ১০ কোটি ডলার খরচ করা হয়েছিল। মূলত ভবিষ্যতে স্বল্প খরচে মহাকাশযান পরিচালনা করার জন্য এ পরীক্ষা চালানো হয়েছিল।

ইসরাইল অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজের স্পেস বিষয়ক জিএম অফার দোরোন বলেন, আমরা এক্ষত্রে ব্যর্থ হয়েছি। অপ্রত্যাশিতভাবে সফলভাবে অবতরণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বেরেশিট নামের ইসরাইলি মহাকাশযানটির মূল ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় তা ঠিকভাবে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করতে পারেনি। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, চাঁদের পৃষ্ঠে বেরেশিট সফট-ল্যান্ডিয়ের চেষ্টা করেছিল। তবে কিছু টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে শেষ পর্যন্ত তা আর সম্ভব হয়নি এবং এক পর্যায়ে সেটি বিধ্বস্ত হয়।

প্রকল্পটির প্রধান সমন্বয়কারী মরিস কান বেরেশিট বিধ্বস্ত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা এতে ব্যর্থ হয়েছি। তবে আমরা চেষ্টা করেছিলাম।

বেরেশিট বিধ্বস্ত হওয়ার বিষয়টিও সরাসরি পর্যবেক্ষণ করছিলেন এ প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্টরা। মহাকাশযান ধ্বংসের বিষয়টি দেখে অনেকেই অশ্রুসজল হয়ে পড়েন। তেল আবিবের কাছে অবস্থিত নিয়ন্ত্রণকক্ষে বসে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছিলেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও। তিনি প্রকল্পের সাথে যুক্ত সবাইকে সান্ত¦না দিয়ে বলেন, তোমরা যেহেতু প্রথমবার সফল হওনি, আবার চেষ্টা করো।

ইসরাইল আশা করছিল, বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদে মহাকাশযান অবতরণ করাবে তারা। কিন্তু মিশনটি ব্যর্থ হওয়ায় তাদের অপেক্ষা আরো দীর্ঘ হলো।

প্রসঙ্গত, এখন পর্যন্ত সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন সফলতার সঙ্গে চাঁদে মহাকাশযান পাঠাতে সক্ষম হয়েছে। দেশগুলো সরকারি ব্যবস্থাপনায় এসব মিশন পরিচালনা করে। অন্যদিকে ইসরাইল ব্যক্তিগত ব্যবস্থাপনায় এ উদ্যোগ নিয়েছিল।

 

আরো পড়ুন : ট্রাম্প-পুতিনের সহায়তায় ক্ষমতায় টিকে থাকলেন নেতানিয়াহু
নয়া দিগন্ত অনলাইন, ১২ এপ্রিল ২০১৯, ১২:১১

মার্কিন ও রুশ প্রেসিডেন্টের নতুন সমর্থনে উজ্জীবিত ইসরাইলের দুর্নীতিগ্রস্ত প্রধানমন্ত্রী সাধারণ নির্বাচনে ক্ষমতায় থাকার জন্য পার্লামেন্টে প্রয়োজনীয়সংখ্যক আসন লাভে সক্ষম হয়েছেন। গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রতিদ্বন্দ্বী বেনি গানতজ তার বিরুদ্ধে ব্যাপক চ্যালেঞ্জ গড়ে তুলতে সক্ষম হন। ফলে নির্বাচন অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়। তবে নেতানিয়াহু পরবর্তী সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক আসন লাভে সক্ষম হয়েছেন।

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ঘুষ গ্রহণের মামলা থাকা সত্ত্বেও বিশ্বের দুই প্রধান শক্তিধর দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া উভয়েই তার প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে। নেতানিয়াহু তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিষয়ে জনগণের দৃষ্টি অন্যত্র ফেরাতে পররাষ্ট্রসংক্রান্ত বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দেন। প্রথমত তিনি ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইরানি হুমকিকে বড় করে দেখান।

নির্বাচনের প্রাথমিক অবস্থা দেখে মনে হয়েছিল তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এ নির্বাচনে কেউই সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক আসন পাবেন না; কিন্তু প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেল যে, নেতানিয়াহু সরকার গঠনের দরকারি আসন লাভে সক্ষম হয়েছেন, ইসরাইলি টেলিভিশনের খবরে এ কথা বলা হয়েছে।

নেতানিয়াহুর লিকুদ ও গানতজের ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট দল উভয়ে নেসেটের ৩৫টি করে আসন পেয়েছে। শুক্রবার চূড়ান্ত ফলাফলে নেতানিয়াহু ও তার উগ্র ডান মিত্ররা ৬৫টি আসন পাবেন আর গানতজ ও তার মিত্ররা পাবেন ৫৫টি আসন। এর ফলে নেতানিয়াহু ইসরাইলের দীর্ঘতম প্রধানমন্ত্রী হবেন। তিনি সরকার গঠন নিয়ে ইতোমধ্যে মিত্রদের সাথে আলোচনা শুরু করেছেন। দুর্নীতির নানা অভিযোগ ও মামলা থাকা সত্ত্বেও নেতানিয়াহু সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভে সক্ষম হয়েছেন।

ট্রাম্প মার্কিন দূতাবাস জেরুসালেমে স্থানান্তর করে ও গোলান মালভূমির ওপর সিরিয়ার স্বার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি দিয়ে যেমন নেতানিয়াহুকে টিকে থাকতে সহায়তা করেছেন তেমনি পুতিনও তাকে ক্ষমতায় বহাল থাকতে সহায়তা করেছেন। পুতিন ২০১৫ সাল থেকে নেতানিয়াহুর সাথে ১১ দফা সাক্ষাৎ করেছেন।


আরো সংবাদ



premium cement