০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫
`


লেখক ঠকাচ্ছেন প্রকাশকরা

-

কিছু প্রকাশকের কাছে নিয়মিত ঠকছেন লেখকরা। ফলে প্রকাশকরা প্রকাশনাকে পেশা হিসেবে নিতে পারলেও লেখকরা তা পারছেন না। মেলায় প্রতি বছর বিপুলসংখ্যক নতুন বই আসছে। বিক্রিও হচ্ছে কোটি কোটি টাকার। তারপরও কেন পেশাদার লেখক তৈরি হচ্ছে না এমন প্রশ্নে প্রকাশকদের ফাঁকিঝুঁকির বিষয়টা সহজেই ধরা পড়ে।
একাধিক নতুন লেখক জানান, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রকাশকরা তাদেরকে লেখক সম্মানি কিংবা রয়্যালটি দিচ্ছেন না। তাদের মতে, দেশের ৯৫ শতাংশ লেখকই তাদের প্রাপ্য সম্মানী থেকে বঞ্চিত হন। আবার লেখকরা সম্মানী পান না বলেই সক্ষম লেখকরা লেখালেখিতে আগ্রহী হন না। ফলে সম্ভাবনাময় অনেক লেখকের মনোবল ভেঙে যায়। যার কারণে পেশাদারিত্বের চিন্তা থেকে তারা সরে আসেন।
নবীনরা জানান, প্রকাশকরা তাদের মতো লেখকদের বই এমনি এমনি ছাপতে চান না। এতে লেখকদের অর্থ কন্ট্রিবিউট করতে হয়। যার অর্ধেক দিয়ে বই ছাপিয়ে বাকিটা আগাম মুনাফা হিসেবে রেখে দেয়া হয়। তাদের মতে, এর বাইরে লেখককেই বই বিক্রিরও দায়িত্ব দেন প্রকাশকরা। পরিচিত লোক দিয়ে নিজের বই কিনাতে বলেন। আর লেখক বই আনতে গেলে প্রকাশক ২৫ পার্সেন্ট কমিশনে লেখকের কাছে বই বিক্রি করেন।
লেখকদের অভিযোগ, নিজেদের টাকা দিয়ে বই ছাপার পরও ‘আপনার বই চলে না’ এমন বাহানায় প্রকাশকরা তাদের হয়রানি করেন। এর মধ্যে কোনো লেখক যদি তার বই ফেরত ও বিক্রির হিসেব বুঝে নিতে চান তবে তাকে বিক্রির টাকা দেয়া দূরের কথা, নিজের টাকায় ছাপানো বইগুলোও ফেরত দেয়া হয় না। যার কারণে বিরক্ত ও হতাশা থেকে অনেকে সাহিত্য অঙ্গন থেকে ঝরে পড়েন।
গতকাল মেলায় ছিল শিশুপ্রহর। মেলা চলে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। সকাল ১১টায় অমর একুশে উদ্যাপনের অংশ হিসেবে শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি ও সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশু-কিশোরদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর এমপি। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির সচিব (ভারপ্রাপ্ত) অপরেশ কুমার ব্যানার্জী, অমর একুশে গ্রন্থমেলার সদস্য-সচিব ড. জালাল আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান নূর এমপি বলেন, প্রতিটি শিশুর ভেতরেই সৃষ্টিশীল প্রতিভা লুকিয়ে আছে। অভিভাবকদের দায়িত্ব হবে শিশুর এই প্রতিভা বিকাশের জন্য সুন্দর ও অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা।
বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হয় শামসুজ্জামান খান সম্পাদিত বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ : বহুমাত্রিক বিশ্লেষণ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ পাঠ করেন মফিদুল হক। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ড. সোনিয়া নিশাত আমিন, গোলাম কুদ্দুছ এবং মামুন সিদ্দিকী। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি।
আলোচকবৃন্দ বলেন, বাঙালির অধিকারের প্রশ্নে আজীবন আপসহীন বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে স্বাধীনতার মূলমন্ত্র উচ্চারিত হয়েছিল। শিল্প ও সংস্কৃতির নানা উপাদান সমৃদ্ধ এই অসাধারণ ভাষণ শুধু বাঙালি নয়, বিশ্বের যেকোনো ভাষার মানুষকে রোমাঞ্চিত করে। এই ভাষণে বঙ্গবন্ধু তার সামগ্রিক রাজনৈতিক দর্শনকে তুলে ধরেন। ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হয় হাজার বছরের নিষ্পেষণ ও বঞ্চনার শিকার বাঙালি জাতির প্রতিবাদী উচ্চারণ। বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণ জাতি গঠনের কাজে চিরদিন আমাদের উজ্জীবিত করে যাবে।
লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন সলিমুল্লাহ খান, আহমাদ মোস্তফা কামাল, সাখাওয়াত টিপু এবং চঞ্চল আশরাফ। কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ করেন কবি অসীম সাহা, মুহাম্মদ সামাদ, মাশুক চৌধুরী, ফরিদ কবির, সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল, মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক, পিয়াস মজিদ এবং আলতাফ শাহনেওয়াজ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছিল মো: আনোয়ার হোসেনের পরিচালনায় ‘আরশিনগর বাউল সঙ্ঘ’-এর শিল্পীবৃন্দের পরিবেশনা। সঙ্গীত পরিবেশন করেন সমীর বাউল, দেলোয়ার হোসেন বয়াতী, সুধীর মণ্ডল, শ্যামল কুমার পাল, রাতুল শাহ, আঁখি আলম, বিমল বাউল। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন সঞ্জয় কুমার দাস (তবলা), মো: মামুন (বাঁশি), মো: আজিজুর রহমান (কি-বোর্ড), মো: খোকন ( দোতারা), এবং আবদুস সোবহান (বাংলা ঢোল)।
আজ মেলা চলবে বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে মুর্শিদা বিন্তে রহমান রচিত স্বাধীনতার পথে বঙ্গবন্ধু : পরিপ্রেক্ষিত ১৯৭০-এর নির্বাচন শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ পাঠ করবেন মুস্তাফিজ শফি। আলোচনায় অংশ নেবেন আখতার হুসেন, মাহবুব সাদিক এবং আলম খোরশেদ। সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক মো: আখতারুজ্জামান। সন্ধ্যায় রয়েছে কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ, আবৃত্তি এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
গতকাল নতুন বই এসেছে ২৪২টি। মেলায় এসেছে দ্য ইউনিভার্সেল একাডেমি থেকে প্রকাশিত ‘পূর্ব বাংলার বাম ও কমিউনিস্ট আন্দোলন ১৪৭- ১৯৭১ সাফল্য ব্যর্থতা’। লেখক প্রফেসর ডক্টর মাহবুব উল্লাহ। ‘মহান দেশপ্রেমিকের সোনালী স্বপ্নের ইতিহাস’ ও বিশ্বসেরা কবিদের ভালোবাসার শ্রেষ্ঠ কবিতা। বই দুু’টির লেখক শামিমরুমি টিটন। প্রকাশনায় দ্য অ্যাটলাস পাবলিশিং হাউস। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব : দার্শনিক ভাবনা’। বইটির লেখক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মো: নূরুজ্জামান, প্রকাশক : জাতীয় সাহিত্য প্রকাশ। সুরাইয়া ফারজানা হাসান অনূদিত ‘গাবরিয়েল গার্সিয়া মার্কেস নির্বাসিত জীবনের গল্প’। বইটির প্রকাশক ‘সময় প্রকাশন’। এ বি এম নুরুল হকের দক্ষ ও উন্নত জীবন গড়ার লক্ষে বই ‘সফলতার সীমা নাই, ব্যর্থতাই শেষ নয়’। প্রকাশ করেছে ‘ধ্রুবতারা’।


আরো সংবাদ



premium cement
বাংলাদেশ-সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে ইউরিয়া সার কারখানার সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন আগামী ২ বছর উন্নয়নশীল এশীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৪.৯ শতাংশ থাকার আশা এডিবি প্রেসিডেন্টের চুয়াডাঙ্গায় আগুনে পুড়ে পানবরজ ছাই মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ, রিমান্ডে নেয়া হবে : ডিবি বৃহস্পতিবার সারা দেশের স্কুল-কলেজ বন্ধ ভূরুঙ্গামারীতে চিকিৎসকের কপাল ফাটিয়ে দিলেন ইউপি সদস্য ‘পঞ্চপল্লীর ঘটনা পাশবিক, এমন যেন আর না ঘটে’ টি২০ বিশ্বকাপের পিচ পৌঁছেছে নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া কমলাপুর স্টেশনে ট্রেন থেকে লাশ উদ্ধার মোরেলগঞ্জে বৃদ্ধের ফাঁস লাগানো লাশ উদ্ধার

সকল