২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ববির প্রশাসনিক পদ ছাড়লেন প্রক্টরসহ ৫০ শিক্ষক

-

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পদত্যাগ দাবিতে বিশ^বিদ্যালয়ের ৫০ শিক্ষক ও কর্মকর্তা তাদের প্রশাসনিক পদ ত্যাগের কথা ঘোষণা করেছেন। গত বুধবার সন্ধ্যায় বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির জরুরি সভা শেষে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
পদত্যাগের ঘোষণা দানকারীদের মধ্যে বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, টিএসসির পরিচালক, প্রক্টর, প্রভোস্ট, লাইব্রেরিয়ান ও পরিবহন পুলের ম্যানেজার রয়েছেন। তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বরিশাল বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: আবু জাফর মিয়া জানান, ভিসির অপসারণ দাবিতে শিক্ষার্থীরা টানা এক মাস আন্দোলনের পর বুধবার থেকে আমরণ অনশন শুরু করেছেন। তাই এই মুহূর্তে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক হিসেবে আমাদের কী করণীয় সে বিষয়টি নিয়ে আমরা শিক্ষক সমিতির জরুরি সভা করেছি।
সভায় বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা শিক্ষক ও কর্মকর্তারা সর্বসম্মতিক্রমে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সে অনুযায়ী ভিসির পদত্যাগের দাবিতে সভা শেষে ৫০ জন শিক্ষক ও কর্মকর্তা তাদের প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। সামনে এ সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন, ভিসির অপসারণের জন্য আমরা গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি। এর মধ্যে ভিসিকে অপসারণ না করায় শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষকরাও অনশনে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে জরুরি সভায়।
সে অনুযায়ী গতকাল দুপুর থেকে শিক্ষার্থীদের সাথে অনশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সহসভাপতি কায়ছার আহম্মেদ জয়, সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মিয়াসহ অন্যান্য শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থী জহিরুল ইসলাম জানান, তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ অনশন কর্মসূচি চলবে। তিনি বলেন, কয়েকজন শিক্ষার্থীকে এরই মধ্যে স্যালাইন দিতে হয়েছে, তবে দাবি আদায়ের অনড় মনোবল নিয়ে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করা বেশির ভাগ শিক্ষার্থী স্বাভাবিক অবস্থাতে রয়েছেন।
শিক্ষার্থী তনুশ্রী ভট্টাচার্য বলেন, গত ২৬ মার্চ থেকে শুরু হওয়া আন্দোলনের এক মাস পূর্ণ করে আমরা আমরণ পালন শুরু করেছি। ভিসির অপসারণ নয়তো পূর্ণ মেয়াদে ছুটিতে যাওয়ার দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। শিক্ষক সমিতির সহসভাপতি কায়ছার আহম্মেদ জয় বলেন, শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে তারাও শিক্ষার্থীদের সাথে অনশনে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি আরো বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ভিসি বলেছিলেন ৫ শতাংশ শিক্ষক-শিক্ষার্থী আন্দোলনে যোগদান করেনি। তাই তিনি শিক্ষার্থীদের ক্লাসে যাওয়ার আহ্বান জানালে কোনো শিক্ষার্থী ক্লাসে যাওয়ার জন্য আসেননি। তাহলে সত্য কি দাঁড়াল। ভিসি চতুরতার সাথে আমাদের সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন কিন্তু প্রকৃত বিষয় হলো, তিনি নিজেই বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নামাতে বাধ্য করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মিয়া জানান, শিক্ষক সমিতির আহ্বানে সারা দিয়ে এ পর্যন্ত ৫০ জন শিক্ষক তাদের প্রশাসনিক পদ থেকে সরে দাঁড়াতে সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন এবং এরই মধ্যে সরে দাঁড়িয়েছেন।


আরো সংবাদ



premium cement