মেক্সিকোর মধ্যাঞ্চলীয় হিদালগো রাজ্যে জ্বালানি পাইপলাইন বিস্ফোরণ থেকে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৬৬ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরো অন্তত ৭৬ জন দগ্ধ হয়েছেন। মেক্সিকো শহর থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত লাহুয়েলিলপান শহরে এই পাইপলাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, গত শুক্রবার রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সরবরাহ কোম্পানি পেমেক্সের কারখানার পাশে ওই পাইপলাইন ভেঙে তেল চুরি করতে যায় দুর্বৃত্তরা। তখনই সেটি বিস্ফোরিত হয়। বিকট শব্দে বিস্ফোরণের পর পুরো শহরের আকাশে আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যায়। হিদালগো রাজ্যের গভর্নর ওমর ফায়াদ হেলিকপ্টারে করে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে তিনি বলেন, অন্তত ৩০০ জন স্থানীয় বাসিন্দা একটি পাইপলাইন থেকে তেল চুরির চেষ্টা করছিল।
সে সময় পাইপলাইন বিস্ফোরণ ঘটলে আগুনে পুড়ে ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আরো অনেকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তবে দুর্ঘটনাস্থলের মূল কেন্দ্রে তখনো প্রবেশ করতে না পারায় হতাহতের সঠিক তথ্য জানানো সম্ভব হচ্ছে না। এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে ফায়াদ বলেন, আমি জনগণকে জ্বালানি চুরির মতো কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। এটা যেমন অনৈতিক-বেআইনি, তেমনি আপনার জীবন ও পরিবারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মেক্সিকোতে পাইপলাইন থেকে এভাবে তেল চুরি একটি স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। মেক্সিকোতে প্রতি বছর ব্যাপক মাত্রায় জ্বালানি তেল চুরি হয়, যার আর্থিক মূল্য ৩০০ কোটি ডলারেরও বেশি। সে জন্য সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছেন। তেল চুরি বন্ধ করতে সেখানে বিশাল বাজেটের একটি কর্মসূচি হাতে নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
মেক্সিকোর রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোলিয়াম কোম্পানি পেমেক্স অতীতেও বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে। সর্বশেষ ২০১৩ সালে মেক্সিকো সিটিতে কোম্পানিটির সদর দফতরে বিস্ফোরণে অন্তত ৩৭ জন এবং ২০১২ সালে এর একটি গ্যাস ফ্যাসিলিটিতে আগুন লেগে আরো ২৬ জন নিহত হয়েছিলেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা