তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় গ্রেফতারকৃত মডেল ও অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদকে গত রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিউ সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে গতকাল দুপুরে তাকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গোয়েন্দা সংস্থা ডিবির কর্মকর্তারা নিয়ে যান।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত রাত সোয়া ১০টায় গোয়েন্দা সংস্থা ডিবির সহকারী সাব ইন্সপেক্টর আবু বক্কর সিদ্দিক কাজী নওশাবা আহমেদকে জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাগজপত্রসহ কর্তব্যরত মেডিক্যাল অফিসারের কাছে গেলে তাকে নিউরো সার্জারি ওয়ার্ডে রেফার করেন। নিউরো সার্জারি বিভাগের ইউনিট-৩ এর প্রফেসর ডাক্তার শাফিকুল ইসলামের অধীন ইন্টার্নি চিকিৎসকেরা তার কাগজপত্র দেখে তাকে হাসপাতালের পুরনো ভবনের ২০৪ নম্বর ওয়ার্ডের ২০ নম্বর বেডে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। বর্তমানে তিনি পুলিশ প্রহরায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া গত রাতে হাসপাতালে কর্তব্যরত সাংবাদিকদের জানান, নওশাবার এমআরআই রিপোর্টে স্পাইনাল (মেরুদণ্ডের হাড়) সমস্যা ধরা পড়েছে। আর এই সমস্যার প্রসঙ্গে অভিনেত্রী নওশাবা পুলিশের কাছে বলেছেন, ছোট বেলায় খেলা করতে গিয়ে তিনি পড়ে গিয়েছিলেন। এরপর থেকে তার মাঝে মধ্যে মেরুদণ্ডের ব্যথাটি ওঠে। গতকালও তার ব্যথাটি আবার উঠেছে।
এর আগে বেলা ৩টায় নওশাবাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায় পুলিশ। এ সময় কর্তব্যরত মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার নাসের আহমেদ জানান, পুলিশ হেফাজতে অভিনেত্রী নওশাবাকে হাসপাতালে আনা হয়। তিনি আমাশয়, ডিসেন্ট্রিসহ কয়েকটি সমস্যায় ভুগছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। আমরা তাকে নতুন ভবনের মেডিসিন ওয়ার্ডে পাঠিয়েছি।
ওয়ার্ডের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো: জুয়েল আহসান সাংবাদিকদের জানান, তিনি রোগীকে দেখে এক সপ্তাহের ওষুধ লিখে দিয়েছেন এবং কয়েকটি পরীার জন্য বলেছেন।
এ দিকে বিডি নিউজ জানায়, নওশাবার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন জানালে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নুর তা নাকচ করে দিয়েছেন। চার দিন জিজ্ঞাসাবাদের পর গত শুক্রবার তাকে দ্বিতীয় দফায় ২ দিনের জন্য রিমান্ডে নেয়া হয়। গতকাল তাকে আদালতে নেয়া হলে অসুস্থ বোধ করায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। তার অনুপস্থিতিতে বিকেলে আদালতে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী।
উল্লেখ্য, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘গুজব’ ছড়ানোর অভিযোগে তাকে আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গ্রেফতার করেন। পরে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডে নেয়া হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা