২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি নিয়ে ছাত্রলীগের টানা হেঁচড়া

- ফাইল ছবি

ছাত্রলীগের শরণখোলা সরকারি কলেজ শাখার কতিপয় নেতাকর্মীর উচ্ছৃংখল আচরণ, চাঁদা দাবী ও কলেজের আভ্যন্তরীণ কাজে বাধা দেয়ায় ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যসহ অন্যান্যদের ছবি অবমাননার নাটক সাজানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিতর্কিত পোস্ট দিয়ে কলেজের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগ উঠেছে ওই নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

এদিকে, কলেজ শাখা ছাত্রলীগে এসব অছাত্র অনুপ্রবেশকারীরা বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে বলে উপজেলা আওয়ামী লীগ দাবী করেছে।

জানা যায়, রমজান মাসের শেষের দিকে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের শরণখোলা কলেজ শাখার কতিপয় নেতাকর্মী শরণখোলা সরকারি কলেজের মসজিদের ভিতরে এসি ব্যবহার করে ঘন্টার পর ঘন্টা অবস্থান করে জায়নামাজ মাথার নিচে দিয়ে ঘুমান এবং কেউ কেউ ফেসবুক ব্যবহার করে থাকেন। এসব কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দিলে অধ্যক্ষ নুরুল আলম ফকিরের বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত হয় ওই নেতাকর্মীরা।

প্রথমে অধ্যক্ষকে জব্দ করতে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভর্তি সংক্রান্ত আবেদন ও রেজিস্ট্রেশন ফি বাড়তি আদায় করা হয় বলে অভিযোগ তোলে। পরে বিষয়টি সত্য নয় নিশ্চিত হন ছাত্র নেতৃবৃন্দ। এতে সুবিধা করতে না পেরে ভিন্ন পথ বেছে নেয় তারা। উপজেলা নির্বাচনের পূর্বে নির্বাচন কমিশনের এবং শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ক্লিন ক্যাম্পাস গড়তে কলেজে টানানো নেতাকর্মীদের ব্যানার অপসারণ করে ভবনের বারান্দায় জমা রাখেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।

ব্যানারে নেতাকর্মীদের ছবির পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেন ও সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগের ছবি ছিল। অধ্যক্ষকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসাতে ঈদের ছুটির ফাঁকে কে বা কারা ওই ব্যানারগুলি পার্শ্ববর্তী ডোবায় ফেলে ছবি তুলে জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রীকে অবমাননা করা হয়েছে বলে তা ফেসবুকে পোস্ট করে চক্রটি বিভ্রান্তি ছড়ায়।

এ বিষয়ে অধ্যক্ষ নূরুল আলম ফকির জানান, বিভিন্ন অন্যায় দাবী পূরণে বাধা দেয়ায় কলেজ শাখার আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম সাব্বির, যুগ্ম আহ্বায়ক সিয়াম বাবু, সাবেক সাধারন সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, ছাত্রদল নেতা গোলাম রাব্বিসহ অন্যান্যরা তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এরা কলেজের কেউ ছাত্র নয়।

তিনি বলেন, কলেজের মসজিদে ইফতার মাহফিলে বাধা দিয়ে তা পন্ড করা, কলেজের অফিসে এসে টাকা দাবী, বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি নিয়ে নাটক সাজিয়ে তাদেরকে অবমাননা করা ও ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট দিয়ে জাতীয় নেতা, কলেজ ও তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন আকন, সহ-সভাপতি আলহাজ্ব সাইফুল ইসলাম খোকন, সাধারন সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক সাব্বির আহম্মেদ মুক্তা, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম কালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মধু জানান, এরা ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারী।

জানা গেছে, ওই ছাত্রনেতারা নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিল করতে জাতির জনক ও তার কন্যা শেখ হাসিনার ছবি নিয়ে নাটক সাজিয়ে জাতীয় নেতাদের সম্মানহানী এবং দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাস কলেজের কাগজপত্র দেখে জানান, শিক্ষার্থীদের আবেদন ও রেজিস্ট্রেশনে কোন বাড়তি টাকা আদায় করা হয়নি।


আরো সংবাদ



premium cement