২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার হয়ে পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে গিয়ে কলেজছাত্র আটক

অপরাধ
নুরুজ্জামান জামু ও রেজওয়ান রনি - ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সরকারি কালিগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য ও কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নুরুজ্জামান জামু। তার রেজিস্ট্রেশন নম্বর: ১৮০১০৮৮৩০৪৬।

কিন্তু শুক্রবার অনুষ্ঠিত বাউবি প্রথম বর্ষের বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষায় ছবি বদল করে নুরুজ্জামান জামুর পরিবর্তে পরীক্ষা দিতে যান কালিগঞ্জ সরকারি কলেজের ডিগ্রী দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের দেয়া গ্রামের ইমান আলী গাজীর ছেলে রিপন আহমেদ ওরফে রেজওয়ান রনি (২০)।

পরীক্ষা চলাকালে অসদুপায় অবলম্বন ও মোবাইল রাখার অপরাধে রিপন আহমেদকে বহিষ্কারের উদ্যোগ নেন ওই কেন্দ্রে দায়িত্বরত কর্মকর্তা উপ-সহকারী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম।

কিন্তু প্রবেশপত্র পর্যবেক্ষণের এক পর্যায়ে তার প্রক্সি দেয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে। এরপর রিপন আহমেদ রনিকে থানায় সোপর্দ করেন ওই কর্মকর্তা।

পরে রাত ৯টার দিকে কেন্দ্র সচিব আলহাজ্ব ওয়াজেদ আলী বাদী হয়ে রনিকে এক নম্বর ও জামুকে দুই নম্বর আসামি করে কালিগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নুরুজ্জামান জামু বলেন, আমি পরীক্ষার ফরম ফিলআপ করেছিলাম। কিন্তু পরীক্ষায় অংশ নেইনি।

তার পরিবর্তে অন্য একজন পরীক্ষা দেয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

নুরুজ্জামান জামু উপজেলা সদরের বাজারগ্রাম রহিমপুর গ্রামের জহুর আলী মোড়লের ছেলে ও উপজেলার মৌতলা কাঁচামাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি।

আরো পড়ুন :
রাবির ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে আসা সাবেক শিক্ষার্থীর কারাদণ্ড
রাবি সংবাদদাতা, ২৪ অক্টোবর ২০১৮
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দেয়ার সময় এক শিক্ষার্থীকে আটক করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাকে এক বছরের কারাদণ্ড ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বি-২ ইউনিটের পরীক্ষার চলাকালে তাকে আটক করে রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোসা: রানী খাতুনের ভ্রাম্যমাণ আদালতে এ দণ্ডাদেশ দেয়া হয়।

ওই শিক্ষার্থীর নাম মনসুর। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ২০১০-১১ সেশনের সাবেক শিক্ষার্থী ও রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মনিগ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ ঈসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনে বাণিজ্য অনুষদের অধীন অবাণিজ্য গ্রুপ বি-২ এর পরীক্ষা ছিল। আলামিন নামক এক ভর্তিচ্ছুর (রোল-৫৩২৬৫) হয়ে ছবি পরিবর্তন করে পরীক্ষা দিতে এসে ভবনের ৪২৫ রুমের ১২ নম্বর সিট থেকে কক্ষ পরিদর্শকের হাতে ধরা পড়েন মনসুর।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, পরীক্ষায় প্রক্সি দেয়ার বিষয়ে জানতে পেরে তাকে আটক করা হয়। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এবার প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে গিয়ে ধরা
পাথরঘাটা (বরগুনা) সংবাদদাতা, ১৮ নভেম্বর ২০১৮
বরগুনার পাথরঘাটায় চলমান প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অন্য একটি প্রতিষ্ঠানের হয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। রোববার প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার একটি কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র।

একই কেন্দ্রের ৯ জন শিক্ষার্থী স্থানীয় কেকে আজিজিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। শিক্ষাথীরা হলেন, রাকিব, আরিফুল ইসলাম, জাকারিয়া, সাজিনা, হাওয়া, রুমানা, সুমাইয়া, শাকিব, আরেকজনের নাম জানা যায়নি।

সরেজমিন উপজেলার বুজরুগপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, আজিজাবাদ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার ৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছেন। তারা সকলেই ওই মাদ্রাসা থেকে ২০১৮ সালে ইবতেদায়ী ও সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য রেজিষ্ট্রেশন করেছেন। যারা উপজেলার কেকে আজিজিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থী সাজিনা, রুমানা, জাকারিয়া ও রাকিব বলেন, কেকে আজিজিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম হায়দার সবুর, রাসেল ও হাজিফুর স্যারেরা বলছেন আমাদের এক কপি করে ছবি দিতে পরীক্ষা দিতে হবে। পরীক্ষা দিলে দৈনিক ১০০ টাকার নাস্তা করাবে। আমাদের যে এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করাবে তা আমরা জানিনা।

এদিকে বুজরুগপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব অঞ্জু রাণী বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, টিও স্যার, পরীক্ষা চলাকালীন আমাকে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে নিষেধ করেছেন। তাই আমি এ বিষয় কিছুই জানিনা।

পরীক্ষার্থী মো. জাকারিয়ার বাবা মো: রফিকুল ইসলাম রিপন বলেন, এটি দুঃখজনক। আমরা সন্তানদের পাঠাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখার জন্য। কিন্তু এই শিশুদেরকেই প্রথমে অনিয়ম দুর্নীতি শেখানো হচ্ছে।

বিষয়টি স্বীকার করে কেকে আজিজিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম হায়দার সবুর এড়িয়ে যান।

এ ব্যপারে পাথরঘাটা উপজেলা শিক্ষা অফিসার নগন্দ্রে নাথ সরকার বলেন, এ রকমের ঘটনা আপনাদের কাছেই শুনিছি। এখন পর্যন্ত পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে জানায়নি।

এবিষয় পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হুমায়ুন কবির বলেন, আমি সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ডেকেছি। যাচাই বাছাই চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ট্রাম্পের বিচার নিয়ে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট চুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত আমদানি ব্যয় কমাতে দক্ষিণাঞ্চলের সূর্যমুখী তেলের আবাদ পাকুন্দিয়ায় গানের আসরে মারামারি, কলেজছাত্র নিহত আবারো হার পাকিস্তানের, শেষ সিরিজ জয়ের স্বপ্ন পাটকেলঘাটায় অগ্নিকাণ্ডে ৩ দোকান পুড়ে ছাই ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু দোয়ারাবাজারে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা : স্বামীর আমৃত্যু কারাদণ্ড

সকল