২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সড়ক পরিবহন আইন মন্ত্রিসভার অনুমোদন

দুর্ঘটনা
ফাইল ছবি - সংগৃহীত

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যেই আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ এর খসড়া।

আজ সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে এই অনুমোদনের কথা জানান।

রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়নের দাবিতে রাজধানী জুড়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে চূড়ান্ত অনুমোদন পেল আইনটি। দেড় বছর আগে খসড়াটি নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা।

খসড়া আইন অনুযায়ী, গাড়ি চালানোর সময় কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না। গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে সর্বোচ্চ এক মাসের কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ডের বিধান রয়েছে আইনে।

খসড়া আইন অনুযায়ী, সড়কের ফুটপাতের উপর দিয়ে কোনো ধরনের মোটরযান চালাচল করতে পারবে না। যদি করে, তবে তিন মাসের কারাদণ্ড বা ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হবে।

আগে গাড়ি চালকদের লেখাপড়ার বিষয়ে কিছু না থাকলেও নতুন আইন অনুযায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণি পাস হতে হবে।

কন্ডাক্টর বা চালকের সহযোগীকে কমপক্ষে লেখা ও পড়ার সক্ষমতা থাকতে হবে। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত তার লেখাপড়া থাকতে হবে।

যদি কেউ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালায়, তবে সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। কেউ এই অপরাধ করলে, তাকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করা যাবে। এক্ষেত্রে বর্তমানে ৩ মাসের কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।

চালকের সহকারীর লাইসেন্স লাগবে। কন্ডাক্টারের লাইসেন্স না থাকলে এক মাসের কারাদণ্ড বা ২৫ হাজার টাকা জরিমানা হবে।

জাল ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহার করলে আগে শাস্তি ছিল সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানা। প্রস্তাবিত আইনে মূল শাস্তি কারাদণ্ড আগের মতোই আছে, জরিমানা ৩ লাখ টাকা করা হয়েছে।

ফিটনেস না থাকা মোটরযান চালালে আগে শাস্তি সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা রয়েছে। সেখানে এখন শাস্তি সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা জরিমানা। এ শাস্তি পাবে মূলত গাড়ির মালিক।

দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে দণ্ডবিধিতে যে শাস্তি রয়েছে, সেই শাস্তি প্রযোজ্য হবে। দুর্ঘটনার মাধ্যমে যদি ইচ্ছাকৃতভাবে নরহত্যা হয়, তবে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা প্রযোজ্য হবে। শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। হত্যা না হলে, ক্ষেত্রে ৩০৪ ধারা প্রযোজ্য হবে। সেক্ষেত্রে শাস্তি যাবজ্জীবন। বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণে দুর্ঘটনা হলে ৩০৪ এর (বি) অনুযায়ী ৩ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

গাড়ি ওজন সীমা অতিক্রম করলে সর্বোচ্চ ৩ বছরের কারাদণ্ড বা ৩ লাখ টাকা জরিমানা। এখানে মালিক ও ড্রাইভার দুই গ্রুপকেই যুক্ত করা হয়েছে, তারা দায়ী হবে।

বেপরোয়া গাড়ি চালানো, দুই গাড়িতে পাল্লা দেয়ার কারণে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে ৩ বছরের কারাদণ্ড বা ২৫ লাখ টাকা জরিমানা হবে।

বেপরোয়া গাড়ি চালানো এবং এতে দুর্ঘটনা না ঘটলেও ২ বছরের কারাদণ্ড বা ২ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে।

আরো পড়ুন :
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ : তিন কৌশলে এগোচ্ছে সরকার
জাকির হোসেন লিটন
নিরাপদ সড়কের দাবিতে চলমান আন্দোলন মোকাবেলায় চাপ, বোঝানো এবং দমন- এ তিন কৌশল নিয়ে এগোচ্ছে সরকার। অভিভাবক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে চাপ, স্কুল পর্যায়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বোঝানো এবং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ওপর দমন কৌশল প্রয়োগ করা হবে। এ ছাড়া মামলা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ও আতঙ্ক তৈরি করাদের ওপর। আওয়ামী লীগ ও সরকারের একাধিক সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।

সূত্রগুলো জানায়, কোটা আন্দোলনের পর সারা দেশে শিক্ষার্থীদের বর্তমান এ আন্দোলন নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে সরকার। বিশেষ করে আন্দোলনে দল-মত নির্বিশেষে সব শ্রেণী-পেশার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন সরকারকে বেশ চাপের মধ্যে ফেলেছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর দমনমূলক ব্যবস্থা নেয়া হলে আপামর জনগণ আরো ক্ষুব্ধ হয়ে উঠতে পারে, যা আগামী নির্বাচনে চরম নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় সরকারের নির্দেশে শুরুর দিকে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে কোনো রকম বাধা না দিয়ে বরং সহযোগিতামূলক আচরণ করে আসছিল প্রশাসন। খুদে শিক্ষার্থীদের হাতে সরকারের অনেক সিনিয়র মন্ত্রী এমপি, পুলিশ, র্যাবসহ প্রশাসনের সিনিয়র কর্মকর্তারা বিব্রত হলেও নীরবে হজম করে গেছেন তারা। বরং শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে চলমান আন্দোলনকে সমর্থনের প্রকাশ্য ঘোষণা দেন সরকারের নীতিনির্ধারকরা। প্রধানমন্ত্রীও শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি মেনে নেয়ার ঘোষণা দেন। তবে তাও কোনো কাজে আসেনি। শিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে আমলে না নিয়ে এখনো রাস্তায় রয়েছে। অবস্থা সামাল দিতে গিয়ে গত কয়েক দিন ধরে হিমশিম খাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সরকারের নীতিনির্ধারকেরা। গতকাল রোববার ও আগের দিন শনিবার পুলিশ এবং সরকারসমর্থিত নেতাকর্মীদের সাথে বিভিন্ন স্থানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়েছে শিক্ষার্থীরা।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় আশ্বস্ত হতে পারছে না এ জন্য যে, এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে ‘কোট প্রথা বাতিল’ ঘোষণা দিয়েও তা বাস্তবায়নে টালবাহানা করেছেন। পরে আদালতের দোহাই দিয়ে কোটা বাতিল সম্ভব নয় বলে ‘ইউটার্ন’ নেন তিনি। একইসাথে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতাদের ওপর চলেছে দমন-পীড়ন। সে জন্য নিরাপদ সড়ক আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় আস্থা রাখতে পারছে না খুদে শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের দাবিমতো নৌপরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খানের পদত্যাগেরও ঘোষণা আসেনি। সে জন্য রাস্তা থেকে সরছে না আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ, নৌপরিবহনমন্ত্রীর পদত্যাগ ও হামলকারীদের শাস্তি দাবিতে রাস্তায় নেমেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। গতকাল তাদের সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকার সমর্থক নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়।

অন্য দিকে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরও শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনকে পুঁজি করে রাজনৈতিক একটি গোষ্ঠী তৎপর হয়ে উঠেছে বলে দাবি সরকারের। বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াতের ইন্ধনে চলমান আন্দোলনে ছাত্রদল ও শিবির ঢুকে পড়েছে বলে দাবি করছেন সরকারের দায়িত্বশীলরা। তারা আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়েও হামলা করেছে বলে অভিযোগ করছেন ক্ষমতাসীনরা। বর্তমানে আন্দোলনকে রাজনৈতিক ও সরকারবিরোধী আন্দোলন হিসেবেই দেখছেন তারা। এ অবস্থায় আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ করতে একাধিক কৌশল নিয়ে এগোচ্ছে সরকার।

সরকারের একাধিক সূত্র জানায়, আন্দোলন থামানোর জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হবে। এর অংশ হিসেবে গতকাল বিকেলে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষদের সাথে মতবিনিময় করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। পরে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের সাথেও বসেন তিনি। আলোচনা কালে শিক্ষার্থীরা আজ সোমবার থেকে আন্দোলনে নামলে তার দায়িত্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিতে হবে বলে হুঁশিয়ার করে দেন মন্ত্রী। তিনি ‘শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে তাদের বোঝাতে হবে। প্রধান শিক্ষক হয়ে যদি শিক্ষার্থীদের বোঝাতে না পারেন তাহলে প্রধান শিক্ষক হয়েছেন কেন’, সেই প্রশ্ন রাখেন মন্ত্রী।

এভাবে সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের সাথে বসার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে জেলা ও উপজেলা কর্মকর্তাদের। যেকোনো উপায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সচল রাখতে চাপ দেয়া হবে তাদের। পাশাপাশি যেসব শিক্ষার্থী আন্দোলনে আছে তাদের অভিভাবকদের নানা মাধ্যমে চাপ প্রয়োগ করা হবে।

এ ছাড়া খুদে শিক্ষার্থীদের সাথেও মতবিনিময় করে বোঝাবেন প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ঐতিহাসিক বিজয় হয়েছে জানিয়ে চলমান আন্দোলনকে নাশকতার আন্দোলন হিসেবে বোঝানো হবে।

আর, বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন অব্যাহত রাখলে দমনের পথে যাবে সরকার। এ ক্ষেত্রে মামলা ও গ্রেফতারও করা হতে পারে অনেককে। এ পর্যায়ে প্রশাসনের সাথে মাঠে থাকবে ছাত্রলীগ ও যুবলীগসহ ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। গত দুই দিনে তাদের বেশ তৎপরতা দেখা গেছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে একাধিক সংঘর্ষে জড়িয়েছে তারা। এতে অনেকের আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

এ দিকে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি চলবে ফেসবুকে উসকানি দেয়া সাধারণ মানুষ এবং সরকারবিরোধী নেতাকর্মীদের দমনের কাজও। ইতোমধ্যেই মোবাইলে একটি কথোপকথনের জের ধরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে আইসিটি ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তল্লাশি হয়েছে রাজধানীতে তার বাসায়। তাকে যেকোনো সময় গ্রেফতার করা হতে পারে। ফেসবুক ও অনলাইনের মাধ্যমে কোনো শিক্ষার্থী যাতে কোথাও জড়ো হতে না পারে সে জন্য শনিবার রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী নওশাবা আহমেদকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। চট্টগ্রামে বিএনপির অঙ্গসংগঠন মহিলা দলের সিনিয়র সহসভানেত্রী এবং পটুয়াখালীতে এক প্রাথমিক শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজধানী ঢাকায় ২৮টি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পোর্টালের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ধরপাকড় অব্যাহত থাকবে। শুধু তা-ই নয়, চলমান আন্দোলনের খবর প্রকাশে ‘বাড়াবাড়ি’ করার অভিযোগে বেসরকারি দু’টি টেলিভিশন চ্যানেলকে রেড সিগন্যাল দিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের তিনজন নেতা আলাপকালে জানান, ‘চলমান আন্দোলনকে সরকার চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে এ আন্দোলন সরকারের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। সে জন্য যেকোনো উপায়ে তা দমন করতে চায় সরকার। এ ক্ষেত্রে নানা কৌশল নিয়ে এগোচ্ছেন নীতিনির্ধারকরা। এ ক্ষেত্রে যত কঠোর হতে হয় সরকার তাই হবে। আশা করি আমরা সফল হবো।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের চলমান আন্দোলনকে রাজনৈতিক আখ্যা দিয়ে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আমীর খসরুর বক্তব্যে প্রমাণ হয়েছে অরাজনৈতিক একটা আন্দোলনে বিএনপি রাজনৈতিক রঙ, রূপ দিতে চলেছে। এখন আর কোনো গোপন বিষয় নয় যে বিএনপি ও তার দোসররা একেকবার একেক আন্দোলনের ওপর ভর করছে। কোটা আন্দোলনে সুবিধা করতে না পেরে বিএনপি এখন কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়কের আন্দোলনে সওয়ার হয়েছে। আর আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা হলে আমরা কি চুমো খাবো?

অন্য দিকে বর্তমান পরিস্থিতি ধৈর্যের সীমা অতিক্রম করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না হুঁশিয়ারি দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, যারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। এরই মধ্যে কিছু ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বর্তমানে অন্য দিকে মোড় নিচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, প্রয়োজনে সরকার আরো কঠোর হবে।


আরো সংবাদ



premium cement