২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা

খালেদা জিয়ার আপিলের শুনানির সময় নির্ধারণ

বিএনপি
অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া এখন জেলে - ছবি : নয়া দিগন্ত

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আপিল আবেদনের শুনানি আগামী ৩ জুলাই নির্ধারণ করেছে আদালত।

আজ বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ তারিখ নির্ধারণ করেন।

এদিকে, খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা এ মামলায় শুনানির প্রস্তুতি জন্য সময় চান। অপরপক্ষে দুদকের আইনজীবী শুরু করার আবেদন জানালে আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে উপরোক্ত সময় নির্ধারণ করেন।

খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এজে মোহাম্মদ আলী ও জয়নুল আবেদীন। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম।

আদালত থেকে বের হয়ে মওদুদ আহমদ সাংবাদিকদের জানান, এ মামলায় দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেছে। আমরা এখনো পেপারবুক পাইনি। যে কারণে প্রস্তুতিও নিতে পারিনি। তাছাড়া আপিলের রায়ের লিখিত কপি পেতেও এক মাস সময় লেগে গেছে।

তিনি জানান, আমরা আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করবো। আশা করি আদালত আমাদেরকে এ বিষয়ে প্রস্তুতি নেয়ার মতো সময় দিবেন।

এ সময় জয়নুল আবেদীন বলেন, এটি একটি পলিটিক্যাল মামলা। রাজনৈতিক কারণে সরকার ও দুদক এর আপিল শুনানির জন্য তাড়াহুড়ো করছে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠায় আদালত। এর পর থেকে তিনি পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে কারান্তরীণ আছেন।

এ মামলায় তাকে ৫ বছরের সাজা দেয়া হয়েছে।

এ মামলায় খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া চার মাসের জামিন বহাল রেখে আপিল বিভাগ ১৬ মে রায় দেন। রায়ে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে পাঁচ বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে করা খালেদা জিয়ার আপিল নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে।

আরো পড়ুন :

কারামুক্তি কত দূর খালেদা জিয়ার
হাবিবুর রহমান, ২০ জুন ২০১৮
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পেলেও এখনো মুক্তি পাননি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আরো ছয় মামলায় তাকে জামিন নিতে হবে। এই ছয় মামলায় জামিন পেলে খালেদা জিয়ার কারামুক্তিতে আর বাধা থাকবে না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দী হওয়ার পর থেকে সাড়ে চার মাস ধরে গুরুতর অসুস্থ খালেদা জিয়ার কারামুক্তি পেতে এখন কুমিল্লার তিন মামলা, ঢাকার মানহানির দুই মামলা ও নড়াইলের এক মামলায় জামিন নিতে হবে। হাইকোর্ট এসব মামলায় জামিন আবেদনের দ্রুত শুনানি করতে বলায় ঢাকার দুই মামলায় জামিন আবেদনের শুনানি ২১ জুন নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া, নড়াইলের মামলাও দ্রুত শুনানি হবে বলে আশাবাদী আইনজীবীরা। আগামী ২৮ জুন এই মামলায় হাজিরার দিন ধার্য রয়েছে। খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার জানান, ওই দিন আমরা খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন করব।

এ ছাড়া, কুমিল্লার দুই মামলায় হাইকোর্ট খালেদা জিয়াকে জামিন দিয়েছেন। তবে সরকারপক্ষে ওই জামিন স্থগিত চাওয়ায় চেম্বার বিচারপতি তা স্থগিত করে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন। আগামী ২৪ জুন এ বিষয়ে আপিল বিভাগে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া নাশকতার অভিযোগে করা কুমিল্লার অপর একটি মামলাও বিচারিক আদালতে নিষ্পত্তি করতে বলেছেন হাইকোর্ট। ওই মামলায়ও নিম্ন আদালতে জামিনের দরখাস্ত দেয়া হয়েছে।

এই ছয় মামলায় জামিন পেলে খালেদা জিয়ার কারামুক্তিতে আর বাধা থাকবে না বলে জানান তার আইনজীবীরা। কারণ, খালেদা জিয়া তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। পুলিশের করা অন্য মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হতে পারে এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। যদিও ইতোমধ্যে খালেদা জিয়া বিভিন্ন মামলায় সময়মতো জামিন আবেদন করেও জামিন পাননি। আইনজীবীদের অভিযোগ- পুলিশ ও নি¤œ আদালতকে ব্যবহার করে সরকার নানারকম কারসাজি করেছে, যা কাম্য নয়।

কুমিল্লার দুই মামলায় গত ২৯ মে হাইকোর্ট খালেদা জিয়াকে জামিন দেয়ার পর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে আপিল বিভাগ জামিন স্থগিত করায় খালেদা জিয়ার অন্যতম প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছিলেন, বেগম খালেদা জিয়ার কারামুক্তি নির্ভর করছে সরকারের সদিচ্ছার ওপর। সরকার যদি তার কারাবাস দীর্ঘায়িত করতে চায় তাহলে আইনগতভাবে আমাদের কিছু করার নেই। আর সরকারের সদিচ্ছা হলে আজই তিনি মুক্তি পেতে পারেন। তিনি অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়ার কারাবাস দীর্ঘায়িত করার জন্য একের পর এক মামলা দিয়ে তাকে গ্রেফতার দেখানো হচ্ছে। সরকার তাকে জেলে রেখে নির্বিঘ্নে বাংলাদেশে বাকশাল কায়েম করতে চায়। তবে সেই স্বপ্ন কোনো দিনও সার্থক হবে না, সেটা আমরা বিশ্বাস করি।

খন্দকার মাহবুব হোসেনের ওই বক্তব্যের জবাবে একই দিন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সরকারের সদিচ্ছা না হলে খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন না, এ ধরনের বক্তব্য আদালত অবমাননাকর। কারণ, এ দেশে আদালত আছে। আদালত জামিন দিচ্ছে, আবার জামিন স্থগিতও করছে। মামলায় তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে এবং তথ্য-উপাত্তের ওপর নির্ভর করেই তাদের বক্তব্য দিতে হবে, যুক্তিতর্ক করতে হবে। মুখরোচক বক্তব্য দিয়ে কোনো লাভ হবে না।

এ বিষয়ে মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, আর ছয় মামলায় জামিন পেলে খালেদা জিয়ার কারামুক্তিতে কোনো আইনি বাধা থাকবে না। বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের কার্যক্রম যেভাবে চলমান তাতে যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে তিনি জামিনে মুক্তি লাভ করবেন। এটা খুব সহজেই অনুমান করা যায়।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় গত ১৬ মে খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া চার মাসের জামিন বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে নি¤œ আদালতের সাজা বাতিল চেয়ে বেগম খালেদা জিয়ার করা আপিল আবেদন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আপিল বিভাগের রায়ের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জানিয়েছিলেন- কুমিল্লা, নড়াইল ও ঢাকায় থাকা আরো ছয়টি মামলায় জামিন নেয়ার পরই খালেদা জিয়া জামিনে মুক্তি পাবেন। এ ছয়টি মামলা হলো- কুমিল্লায় তিনটি, ঢাকায় দু’টি এবং নড়াইলে একটি মামলা। বিশেষ মতা আইন এবং বিস্ফোরক আইনে কুমিল্লায় তিনটি মামলা করা হয়। আর ঢাকার দু’টি এবং নড়াইলের মামলা হচ্ছে মানহানির। এসব মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

আইনজীবীরা জানান, সব মিলিয়ে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৬টি মামলা রয়েছে। তবে ওই ছয় মামলা ছাড়া অন্যগুলোতে তিনি জামিনে আছেন।


আরো সংবাদ



premium cement
মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ সখীপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ট্রাম্পের বিচার নিয়ে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট চুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত আমদানি ব্যয় কমাতে দক্ষিণাঞ্চলের সূর্যমুখী তেলের আবাদ পাকুন্দিয়ায় গানের আসরে মারামারি, কলেজছাত্র নিহত আবারো হার পাকিস্তানের, শেষ সিরিজ জয়ের স্বপ্ন পাটকেলঘাটায় অগ্নিকাণ্ডে ৩ দোকান পুড়ে ছাই

সকল