অনৈতিক কাজের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক ও ছাত্রের মা আটক
- ডুমুরিয়া (খুলনা) সংবাদদাতা
- ২৫ মে ২০১৮, ১৮:২৩
অনৈতিক কাজের অভিযোগে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া কিশলয় বিদ্যানিকেতনের প্রধানশিক্ষক নাহিদুল ইসলাম ও তার এক ছাত্রের মাকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে এলাকাবাসী। বর্তমানে থানা হাজতে রয়েছেন দুজন। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এক ছাত্রের বাড়ি থেকে শিক্ষক নাহিদুলকে এলাকাবাসী হাতে নাতে ধরে পুলিশে দেয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ডুমুরিয়া উপজেলার কোমলপুর গ্রামের সেলিম সরদারের ছেলে রাহুল গুটুদিয়া কিশলয় বিদ্যানিকেতনে ১ম শ্রেণিতে পড়ে। রাহুলের বাবা সেলিম সরদার ৪ বছর ধরে মালয়েশিয়ায় থাকেন। বৃহস্পতিবার রাতে শিক্ষক নাহিদ সেলিমের স্ত্রী রোমা (২৫) এর ঘরে অবস্থান করেন। ঐ সময় রোমার ভাসুর আলাউদ্দিন বাইরে থেকে দরজা আটকে দিয়ে লোকজন খবর দেয়। তখন উপস্থিত লোকজন নাহিদকে ঘর থেকে বের করে উত্তম মাধ্যম দেয়। গভীর রাত পর্যন্ত চলে এ নিয়ে টানা হেঁচড়া। থানা পুলিশ খবর পেয়ে সে রাতেই রোমা ও নাহিদকে থানায় নিয়ে যায়।
তবে অনৈতিক সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে অভিযুক্ত রোমা বলেন আমার ছেলে শিক্ষক নাহিদুল ইসলামের কাছে পড়তো। স্কুল রমজানের ছুটিতে রাহুলের আর পড়া হচ্ছিল না। তাই পড়ালেখার খবর জানাতে আমি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধান শিক্ষক নাহিদকে ফোন করে বাড়ি ডেকে আনি। ভাসুরের সাথে আমার পূর্ববিরোধ আছে। ঘটনাটা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত।
এ বিষয়ে কিশলয় বিদ্যা নিকেতনের পরিচালক পিন্টু কুমার বিশ্বাস বলেন, বিদ্যালয়ের সুষ্টু পরিবেশ বজায় রাখতে শিক্ষক নাহিদুলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা মোঃ হাবিল হোসেন জানান, এ ব্যাপারে কেউ মামলা করতে রাজি হচ্ছে না। তাই আপাতত: ৫৪ ধারায় উভয়কে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
নড়াইলে ৫ মাদকবিক্রেতাসহ আটক ৩৯, ইয়াবা উদ্ধার
নড়াইল সংবাদদাতা
নড়াইলে চার মাদকবিক্রেতাসহ ৩৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত থেকে আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এর মধ্যে শহরের কুড়িগ্রামের কামরুল শেখের (২৮) কাছ থেকে ৯০ পিস ইয়াবা, নতুন বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে ১২পিস ইয়াবাসহ রেজাউল হোসেনকে (৬০), লোহাগড়া উপজেলার লংকারচর গ্রামের আতর শেখ (৩৫) এবং চরদৌলতপুরের চুন্নু ফকিরের (৩০) কাছ থেকে পাঁচ পিস করে ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম বলেন, মাদকবিক্রেতাদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। মাদকমুক্ত নড়াইল গড়তে সবার সহযোগিতা চাই। আপনাদের দেয়া তথ্য গোপন রেখে মাদকবিক্রেতা ও মাদকসেবীদের আইনের আওতায় আনা হবে। মাদকদ্রব্য, মাদকসেবী ও মাদক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা