পাইলস
রক্তপড়া (তাজা এবং অনেক সময় ফিনকি দিয়ে বের হয়ে আসা), মাঝে মাঝে রক্তপড়া, সাধারণত ব্যথা থাকে না, মাংসপিণ্ড ঝুলে পড়া, অনেক সময় শুধু মাংস ঝুলে পড়ে এবং চুলকানি হয়।
এনাল ফিশার
মলত্যাগে প্রচণ্ড ব্যথা, জ্বালা যন্ত্রণা, পায়খানা গায়ে লেগে রক্ত যাওয়া বা টিস্যু পেপারে রক্ত দেখা এবং হাতে গেজের মতো লাগা।
ফিস্টুলা
মাঝে মাঝে ব্যথা হওয়া, ফুলে যাওয়া, পুঁজ রক্ত পড়া, হাতের মধ্যে শক্ত কিছু একটা লাগা।
ক্যানসার
কোলনের ডান পাশে ক্যানসার- পেটের ডান পাশে ও নিচে সাধারণত চাকা নিয়ে রোগীরা আসে। শারীরিক দুর্বলতা বেশি থাকে।
কোলনের বাম পাশে- হঠাৎ খাদ্যনালী বন্ধ হয়ে পেট ফোলা নিয়ে এই রোগীরা আসে। বাম পাশের নিচের দিকে হলে পায়খানার সাথে মিশানো রক্ত নিয়ে রোগীরা আসতে পারে। অনিয়মিত পায়খানা, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি উপসর্গ নিয়েও রোগীরা আসে।
রেকটাম ক্যানসার
মলত্যাগের সময় রক্তপড়া (পায়খানার সাথে মিশানো) মলত্যাগের অভ্যাসের পরিবর্তন, ঘন ঘন মলত্যাগ, সব সময় মলত্যাগের ইচ্ছা এবং মলদ্বার খালি না হওয়া ইত্যাদি উপসর্গই প্রধান। পুরাতন হলে মলদ্বারে ব্যথা, মাজার ব্যথা, পায়ে ব্যথা নিয়েও আসতে পারে।
ছড়িয়ে পড়া ক্যানসার
পেটে পানি, পেটে চাকা, জন্ডিস, শ্বাসকষ্ট, কাশি, হাতে-পায়ে ব্যথা, মাজার ব্যথা ও ওজন কমে যাওয়া ইত্যাদি।
লেখক : বৃহদন্ত্র ও পায়ুপথ বিশেষজ্ঞ, প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, (অব:) কলোরেকটাল সার্জারি বিভাগ, বিএসএমএমইউ, ঢাকা।
চেম্বার : ইডেন মাল্টি-কেয়ার হসপিটাল, ৭৫৩, সাতমসজিদ রোড, (স্টার কাবাবসংলগ্ন) ধানমন্ডি, ঢাকা। ফোন : ০১৭৫৫৬৯৭১৭৩-৬
কলোস্টমি কেন করা হয়
মলত্যাগের পথ অর্থাৎ পায়ুুপথ ও মলদ্বার যখন কোনো রোগে নষ্ট হয়ে যায় তখন অপারেশন করে এই অংশটি কেটে ফেলে দিতে হয়। তারপর খাদ্যনালীর অবশিষ্ট অংশকে পেটের সাথে লাগিয়ে দেয়া হয়- যেখান থেকে পায়খানা বের হবে।
ব্যাগ লাগানোর নিয়ম
কলোস্টমির স্থানটির পাশের (৭-৮ সেমি/৩ ইঞ্চি) বেশ কিছু জায়গা পানি বা স্পিরিট দিয়ে পরিষ্কার করে শুকিয়ে ফেলতে হবে। চামড়ার ওপর যেন কোনোরূপ ময়লা না থাকে। এরপর যে অংশটি গায়ে লেগে থাকে সেটির মাঝখানের অংশটি কলোস্টমির আকৃতি অনুযায়ী কাটতে হবে। আঠাল অংশের ওপর একটি পাতলা কাগজ লাগানো থাকে তা উঠিয়ে ফেলতে হবে। মাঝখানে কাটা অংশের ভেতর দিকে চতুর্দিকে কলোস্টমি পেস্ট লাগাতে হবে। এরপর ওয়েফারটি পেটের সাথে লাগিয়ে এক মিনিট চেপে রাখতে হবে। কলোস্টমি ব্যাগটি এবার ওয়েফারের সাথে চাপ দিয়ে লাগিয়ে দিতে হবে। এই ব্যাগটি কখনো কখনো খুলে বাথরুমে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এই পুরো প্রক্রিয়াটি একজন কলোস্টমি কেয়ার নার্স আপনাকে দেখিয়ে দেবেন। যাদের স্থায়ী কলোস্টমি তাদের কখনো কোনো সমস্যা দেখা দিলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়। অনেকের বছরের পর বছর কোনো সমস্যা হয় না।
রোগীদের ভুল ধারণা
সাধারণ মানুষ মনে করেন, ব্যাগ লাগানো হলে তিনি আর কোনো কাজ করতে পারবেন না। রোগীদের জিজ্ঞাসা ব্যাগ লাগালে কয় দিন বাঁচব। আসলে ব্যাগ লাগানোর সাথে বাঁচা মরার কোনো যোগাযোগ নেই। রোগীর মৃত্যু হতে পারে ক্যান্সারের কারণে।
ব্যাগ লাগালে স্বাভাবিক কাজ করতে পারবেন কিনা?
সব ধরনের কাজ করতে পারবেন।
স্বামী-স্ত্রীর সাথে মেলামেশায় কোনোরূপ নিষেধ নেই। সন্তান ধারণেও কোনো নিষেধ নেই। অপারেশনের আগে সবাই খুব মন খারাপ করেন। এক থেকে দুই মাস পর রোগীদের যখন জিজ্ঞাসা করি আপনার কী কী অসুবিধা হয়, তখন প্রায় সবাই বলেন তেমন কোনো অসুবিধা হয় না।
কিছু কিছু খাবার বেশি গ্যাস তৈরি করে এবং দুর্গন্ধ বাড়ায় এমন খাবার খাওয়া উচিত নয়। যেমন- পেঁয়াজ, রসুন (অল্প খাবেন), ডিম, ফুলকপি, মুলা ইত্যাদি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা