২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শেখ জামালে বঞ্চিত শেখ রাসেলে আলোকিত

- ছবি : সংগৃহীত

এবারের লিগে সবার আলোচনায় বসুন্ধরা কিংসের কলিনড্রেস। রাশিয়া বিশ্বকাপে কোস্টারিকার জার্সী গায়ে খেলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে আসা বিদেশী ফুটবলারদের মধ্যে সবেেচয়ে হাই প্রোফাইলের, সুতরাং তাই তাকে ঘিরেই থাকবে স্পট লাইট।

এর বাইরে ঢাকা আবাহনীর সানেড চিজোবা, বেলফোর্ড এমনকি এবার বাজে সময় কাটানো ল্যান্ডিং দারবোয়েদের নিয়ে যতো আলোচনা ততটুকু কি পেয়েছেন রাফায়েল উডুইন?

অথচ এই নাইজেরিয়ান এবার বলতে গেলে একাই টেনে নিয়ে যাচ্ছেন শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে। ম্যাচের পর ম্যাচে গোল করছেন। যার ফল, শেখ রাসেল এখন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে। অবশ্য তা ঢাকা আবাহনীর সাথে যৌথভাবে। শেখ রাসেলের খেলে ফেলা ম্যাচ সংখ্যাও আবাহনীর চেয়ে একটি বেশী। ১৪ ম্যাচ শেষে শেখ রাসেলের পয়েন্ট ৩৩।

১৩ খেলা শেষ করে আবাহনী ৩৩ এবং শীর্ষে থাকা বসুন্ধরা কিংস ৩৭ পয়েন্ট যোগ করেছে ঝুলিতে। রাফায়েল শুধু দলকেই শিরোপার রেসে রাখেননি নিজেও চলে গেছেন গোল দাতার তালিকায় শীর্ষে। টানা দুই ম্যাচে জোড়া গোল করে তার স্কোর সংখ্যা এখন ১১।

গতবছর লে: শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবে ছিলেন রাফায়েল। তখন এই নাইজেরিয়ানকে প্রথমে খেলানো হতো না। প্রথম ম্যাচে মোহামেডানের বিপক্ষে গোল করলেও পরে তিনি একাদশের বাইরে। এরপর নয় ম্যাচ শেসে ফরাশগঞ্জের বিপক্ষে ৪ গোল করার পর সেই যে নিয়মিত হলেন আর বাদ দেয়া যায়নি তাকে। ফিরতি লিগে ১১ ম্যাচে ১১ গোল করে সর্বমোট নামে পাশে জমা করেন ১৬ গোল। ফিরতি লিগে হ্যাটট্রিক ছিল আরামবাগের বিপক্ষে।

এবার তাকে দলে টানে শেখ রাসেল। তাদের দলে অ্যালেক্স রাফায়েল নামে আরেক ফুটবলার ছিলেন। এবার মধ্যবর্তী দলবদলের সময় তাকে বিদায় করে দেন কোচ সাইফুল বারী টিটু। ফলে নতুন আসা ইউক্রেনের ভ্যালেরীর সাথে জুটি গড়তে হয়েছে রাফায়েলকে। অবশ্য এবার প্রথম পর্বে ১২ ম্যাচ মাত্র পাঁচ গোল করার পর রাফায়েল উডুইনের অবস্থান নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিল।

বুঝতে পারছিলেন বাদ পড়তে হতে পারে। এরপর হুঁশ হয়। ফলে এখন খুব সিরিয়াস। আরামবাগের বিপক্ষে শেষ ১০/১২ মিনিটে জোড়া গোল করে দলকে হার থেকে রক্ষা করে মূল্যবান জয় এনে দেন। গতপরশু ফের জোড়া গোল ব্রাদার্সের বিপক্ষে।

রাফায়েল সম্পর্কে কোচ টিটুর মূল্যায়ন, ‘ওর ব্যক্তিগত মুন্সিয়ানা আছে। টাইট সিসিউশনে বল নিয়ন্ত্রনে দারুন দক্ষ সে। সব চেয়ে বড় বিষয় রাফায়েলের ফিনিশিংটা চমৎকার। গোলটা সে চেনে। তবে বড় দুর্বলতা , সে কঠোর পরিশ্রমী নয়। তবে এখন সে সচেতন হয়েছে।’

রাফায়েলের ১১ গোল করার জন্য অবশ্য তাকে একক কৃতিত্ব দিলেন না টিটু। কোচের বক্তব্য, এই গোলগুলো টিম কম্বিনেশনের ফসল। উজবেক স্ট্রাইকার আজিজভ আলী শের এবং বর্তমানে যোগ হওয়া ভ্যালেরীরা তার গোলের যোগান দাতা। তবে রাফায়েলের দক্ষতা আছে গোল করার।’

এরপরেই এই স্ট্রাইকারের সমালোচনা তার মুখে। ‘রাফায়েল যদি প্রথম পর্বে ওভাবে গোল মিস না করতো তাহলে শীর্ষেই থাকতো শেখ রাসেল। বিশেষ করে বসুন্ধরার বিপক্ষে মিসগুলোর বড় মূল্য দিতে হয়েছে।’ টিটুর মতে, এখন ১৯ মে ঢাকা আবাহনী এবং বসুন্ধরা কিংসের খেলার উপর নির্ভর করছে আমাদের শিরোপা জয়ের সম্ভবনা।

রাফায়েলের পরেই ১০ গোল ঢাকা আবাহনীর সানডে চিজোবার। এই নাইজেরিয়ানও বলতে গেলে টানছেন বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। সাথে স্থানীয় নাবিব নেওয়াজ জীবন। তার গোল সংখ্যা নয়। রহমতগঞ্জের সিও জুনাপিও করেছেন ৮ গোল। দলকে রেলিগেশন থেকে রক্ষার দায়িত্বও এই কঙ্গোলিজের উপর।

মুক্তিযোদ্ধার আইভোরিকোস্টের বাল্লো ফামোসা এবং বসুন্ধরা কিংসের ব্রাজিলিয়ান মার্কোস ভিনিসিয়াসের দেয়া গোল সংখ্যাও আট করে। এদের পরেই স্থানীয় মতিন মিয়া। বসুন্ধরার এই ফরোয়ার্ড করেছেন ৭ গোল। আরামবাগের জাহিদ হোসেনও তার নামের পাশে জমা করেছেন ৭ গোল।


আরো সংবাদ



premium cement