২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মন্ত্রিসভায় তিনটি হজ প্যাকেজ অনুমোদন : বেড়েছে খরচ

দেশের বিদ্যুৎ খাতে আরো জাপানি বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনার সাথে জাপানের জেইআরএ কোম্পানির প্রেসিডেন্ট সাতশি ওনডার সৌজন্য সাক্ষাৎ : পিআইডি -

সরকারি ব্যবস্থাপনায় তিনটি প্যাকেজে হজ পালনের সুযোগ রেখে ‘হজ প্যাকেজ, ১৪৪১ হিজরি/২০২০ খ্রিষ্টাব্দ’-এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এবার হজ পালনে প্যাকেজ-১এ চার লাখ ২৫ হাজার টাকা এবং প্যাকেজ-২এ তিন লাখ ৬০ হাজার টাকা খরচ করতে হবে। আর প্যাকেজে-৩এ ব্যয় ধরা হয়েছে তিন লাখ ১৫ হাজার টাকা।
গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে হজ প্যাকেজ অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে এ অনুমোদনের কথা জানান।
গতবারের তুলনায় এবার প্যাকেজ-১এ খরচ বেড়েছে ছয় হাজার ৫০০ টাকা ও প্যাকেজ-২এ বেড়েছে ১৬ হাজার টাকা। গত হজে প্যাকেজ-১এর মাধ্যমে হজ পালনে খরচ হয় চার লাখ ১৮ হাজার ৫০০ টাকা। অপরদিকে প্যাকেজ-২এর মাধ্যমে খরচ হয় তিন লাখ ৪৪ হাজার টাকা।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ৩১ জুলাই (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সাথে হজচুক্তি অনুযায়ী, চলতি বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করার সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৭ হাজার ১৯৮ এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ২০ হাজার জন হজ করতে পারবেন। আবাসনের দূরত্ব অনুযায়ী হজ প্যাকেজগুলো করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘প্যাকেজ-১এর যাত্রীরা মসজিদুল হারাম চত্বরের সীমানা থেকে সর্বোচ্চ ৭০০ মিটারের মধ্যে, প্যাকেজ-২এর যাত্রীরা দেড় হাজার মিটারের মধ্যে এবং প্যাকেজ-৩এর যাত্রীরা মসজিদুল হারাম চত্বরের সীমানা থেকে দেড় হাজার মিটারের বেশি দূরত্বে অবস্থান করবেন।’
হজযাত্রীদের থাকা, খাওয়া, বিমানভাড়াসহ আনুষঙ্গিক সব খরচ ধরেই হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, ‘সরকারি ব্যবস্থাপনার প্যাকেজ তিনটির সাথে সামঞ্জস্য রেখে হজ এজেন্সিগুলো একাধিক প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারবে।’ তিনি বলেন, ‘বিমানের টিকিট বাবদ নেয়া অর্থ হজ এজেন্সি ব্যাংক থেকে উঠাতে পারবে না। হজযাত্রীর সংখ্যা অনুযায়ী সরাসরি পে-অর্ডারের মাধ্যমে এয়ারলাইন্সকে পরিশোধ করতে হবে এবং সৌদি আরবের বিভিন্ন সার্ভিস চার্জ ও পরিবহন বাবদ নেয়া অর্থ আইবিএএন (ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার)-এর মাধ্যমে সৌদি আরবে পাঠানো ছাড়া এজেন্সি তা উত্তোলন করতে পারবে না।’ এবার শতভাগ হজযাত্রীর সৌদি আরবের প্রি-অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন ঢাকায় সম্পন্ন করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘প্রত্যেক হজ এজেন্সি কমপক্ষে ১০০ জন এবং সর্বোচ্চ ৩০০ জন হজযাত্রী পাঠাতে পারবে। প্রতি ৪৪ জন হজযাত্রীর জন্য একজন করে গাইড রাখতে হবে। এ ছাড়া কোরবানির অর্থ ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করতে সৌদি সরকার পরামর্শ দিয়েছে। এ জন্য প্যাকেজ মূল্যের অতিরিক্ত ৫২৫ সৌদি রিয়ালের সমপরিমাণ অর্থাৎ ১২ হাজার ৭৫ টাকা সাথে নিতে হবে।’ বিমান বাংলাদেশ এবং সৌদিয়ার পাশাপাশি নাস এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে এবার হজযাত্রী পরিবহন করা নিয়ে আলোচনা চলছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বিমান ভাড়া এক লাখ ৩৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। গতবার একটা বিশেষ ছাড়ে ১০ হাজার টাকা কমানো হয়েছিল।’ এবার সবগুলো হজ ফ্লাইট ডেডিকেটেড (শুধুই হজযাত্রী পরিবহনের ফ্লাইট) করতে আলোচনা চলছে বলেও জানান তিনি।
দেশের বিদ্যুৎ খাতে আরো জাপানি বিনিয়োগের আহ্বান
বাসস জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আরো জাপানি বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং উন্নয়নমূলক কাজের সাথে সাথে বিদ্যুতের চাহিদাও দ্রুত বাড়ছে। কাজেই চাহিদা পূরণের জন্য আমাদের খাতটিতে আরো বিনিয়োগের প্রয়োজন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গতকাল অপরাহ্নে তার কার্যালয়ে (পিএমও) জাপানের সর্ববৃহৎ বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রতিষ্ঠান জিরা (জেইআরএ) কোম্পানির প্রেসিডেন্ট সাতশি ওনডা সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব সাংবাদিকদের বৈঠক সম্পর্কে অবহিত করেন। প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে জিরাসহ বিভিন্ন জাপানি কোম্পানির বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বৈঠকে দেশের বিদ্যুৎ খাতের সম্প্রসারণে তার সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপেরও উল্লেখ করেন।
জিরা প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন যে, তাদের কোম্পানি জাপানে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। যা দেশের মোট চাহিদার শতকরা ৫০ শতাংশ।
‘আমরা এই বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হচ্ছি,’ বলেন তিনি। সাতশি ওনডা প্রধানমন্ত্রীকে রিলায়েন্স বাংলাদেশ পাওয়ার এবং এলএনজি কোম্পানির যৌথ প্রকল্প সম্পর্কেও প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। যেটি দেশের মেঘনা ঘাটে একটি ৭১৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে। ‘এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ২০২২ সাল নাগাদ উৎপাদন শুরু হবে,’ উল্লেখ করেন তিনি। তারা ইতোমধ্যেই দেশের সামিট পাওয়ার লিমিটেডের সঙ্গে যৌথভাবে একটি ৩৩৫ মেগওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে উল্লেখ করে জিরা সভাপতি বলেন, ‘আমরা সামিটের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে আরো কয়েকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করতে চাই।’ সাতশি ওনডা বলেন, সামিট-জিরা মিতসুবিশি কনসোর্টিয়াম ইতোমধ্যে কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের জন্য সরকারের কাছে আগ্রহ প্রকাশ করে আগ্রহপত্র (ইওআই) জমা দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, পিএমও সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এবং সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহম্মদ আজিজ খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement
যশোর কারাগারে হাজতিদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ব্যাপক আতঙ্ক চিকিৎসার জন্য ঢাকা ছাড়লেন বিএনপি নেতা আমীর খসরু কুষ্টিয়াতে মসজিদ কমিটি নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫ চেয়ারম্যান তপন ও অজিত মেম্বারকে ধরিয়ে দিতে পারলে পুরস্কার ঘোষণা নারায়ণগঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় ১৪ ডাকাত সদস্য গ্রেফতার রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়াল যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশী শ্রমিকদের ভিসা সহজ করার আহ্বান প্রবাসী প্রতিমন্ত্রীর চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী না হয়ে অংশীদার হওয়া উচিত : শি জিনপিং ওকাব সভাপতি নজরুল ইসলাম, সম্পাদক জুলহাস আলম পাবনায় ১০ কোটি টাকার অনিয়মে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে চুয়েট ১১ মে পর্যন্ত বন্ধ, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত

সকল