১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪২৯, ০৮ রমজান ১৪৪৫
`

বিশ্ববিদ্যালয় তদারকিতে কঠোর নিয়ম মেনে চলুন : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফাস্তিনোর সাক্ষাৎ : পিআইডি -

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালগুলোর তদারকিতে কঠোরভাবে নিয়মকানুন অনুসরণ করতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আইনের বাইরে যাবেন না এবং দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তদারকি করার ক্ষেত্রে নিয়মগুলো কঠোরভাবে অনুসরণ করুন।’ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহর নেতৃত্বে ইউজিসির একটি প্রতিনিধিদল গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার সাথে সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। প্রধানমন্ত্রী এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজগুলোর প্রতিও নজরদারি বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউজিসি একটি আইন তৈরির মাধ্যমে শক্তিশালী করা হবে, ফলে এর সক্ষমতাও অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে।
সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নজরদারির ক্ষেত্রে তারা কঠোরভাবে আইন অনুসরণ করে থাকেন উল্লেখ করে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালগুলো পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অনিয়মের অনুমতি দেব না।’
প্রতিনিধিদলের সদস্যরা মঞ্জুরি কমিশনের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। অধ্যাপক শহীদুল বলেন, দেশে বর্তমানে ১৫৫টি সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। তিনি বলেন, তারা এর মধ্যে অন্তত ৩০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে অনিয়ম খুঁজে পেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো: নজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর সচিব সাজ্জাদুল হাসান এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বিএএফ সদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রদানের প্রস্তাব ইতালির। এদিকে ইতালির সফররত বিমান বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল অ্যালবার্তো রোসো বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ বিমান বাহিনী (বিএএফ) সদস্যদের প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার সকালে তার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে ইতালির বিমান বাহিনীর প্রধান এ প্রস্তাব দেন। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতালির বিমান বাহিনীর প্রধানকে তার দেশে ফাইটার হেলিকপ্টার ও পরিবহন বিমানের ওপর বিএএফ সদস্যদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানালে লেফটেন্যান্ট জেনারেল অ্যাবার্টো রোসো সম্মতি জানান। জেনারেল রোসো প্রধানমন্ত্রীকে জানান, বাংলাদেশে তার সফর অত্যন্ত সফল ও ফলপ্রসূ হয়েছে।
বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়নে ফিফার সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে : ফিফা সভাপতি
তার সংস্থা বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে ফেডারেশন ইন্টারন্যাশনাল ডি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (ফিফা) সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্বস্ত করেছেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়নে আমরা আমাদের সমর্থন এবং সহযোগিতা অব্যাহত রাখব।’ প্রধানমন্ত্রীর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে (পিএমও) গতকাল সকালে ফিফা সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এই আশ্বাস প্রদান করেন। বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রেস সচিব বলেন, কলকাতায় গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-ভারত বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের খেলাটি আলোচনায় উঠে আসে। সংস্থার সভাপতি ফিফার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষার জন্যও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) পরামর্শ দেন। প্রধানমন্ত্রী ফুটবলকে দেশের একটি জনপ্রিয় খেলা হিসেবে উল্লেখ করে তার দাদা এবং বাবাও ফুটবল খেলতেন বলে স্মরণ করেন।
‘সরকার সব মানুষের নিরাপদ জীবনযাপন নিশ্চিত করতে কাজ করছে’ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান সরকার সব সম্প্রদায়ের মানুষের মর্যাদাপূর্ণ ও নিরাপদ জীবনযাপন নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।
গারো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব ওয়ানগালা উদযাপন উপলক্ষে গতকাল দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে গারো সম্প্রদায়ের অনেকেই মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে স্বাধীনতা অর্জনে অবদান রেখেছেন।’ বাণীতে তিনি গারো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব ‘ওয়ানগালা’ উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে আনন্দ প্রকাশ করেন এবং গারো সম্প্রদায়ের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
‘একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জীব প্রযুক্তির জ্ঞান অপরিহার্য’ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জীব প্রযুক্তির জ্ঞান অপরিহার্য।
তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জীব প্রযুক্তির গবেষণা এবং গবেষণালব্ধ ফলাফলের বাস্তবায়ন জোরদার করতে হবে।
১৮ অক্টোবর ‘জাতীয় জীব প্রযুক্তি মেলা-২০১৯’ উপলক্ষে গতকাল দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশের একমাত্র বিশেষায়িত জীব প্রযুক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি (এনআইবি) দ্বিতীয়বারের মতো ‘জাতীয় জীব প্রযুক্তি মেলা-২০১৯’ আয়োজন করছে জেনে আমি আনন্দিত। এবারের প্রতিপাদ্য-‘টেকসই উন্নয়নে জীব প্রযুক্তি’ অত্যন্ত অর্থবহ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার মৌলিক চাহিদাপূরণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় দেশের বিজ্ঞানী ও গবেষকরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন বলে আমার বিশ্বাস। প্রধানমন্ত্রী ‘জাতীয় জীব প্রযুক্তি মেলা-২০১৯’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।


আরো সংবাদ



premium cement