২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ডিমের দাম বেড়েই চলেছে

উৎপাদন কমেছে ৩০ ভাগ
-

জুন-জুলাই মাসের কথা। খুচরা বাজারে ছয় টাকায় নেমে এসেছিল প্রতিটি ডিমের দাম। এই ছয় টাকার আড়াই টাকাই যেত বিভিন্ন পর্যায়ের মধ্যস্বত্বভোগীদের পকেটে। উৎপাদনকারী খামারি পেত তিন থেকে সাড়ে তিন টাকা। অথচ খাবার ও ওষুধের দাম বেশি হওয়ায় প্রতিটি ডিমের উৎপাদন খরচ পড়ে পাঁচ টাকার বেশি। ফলাফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলাতে ব্যর্থ হয়ে বন্ধ হয়ে গেছে দেশের হাজার হাজার মুরগির খামার।
তিন মাস যেতে না যেতেই পাল্টে যেতে থাকে দৃশ্যপট। কমতে থাকে ডিমের সরবরাহ। অর্থনীতির সাধারণ সূত্রেই চাহিদা-জোগানের গড়মিলের কারণে বাড়তে থাকে দাম। তিন মাসের ব্যবধানে খুচরা বাজারে ছয় টাকার ডিম এখন বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়। এক হালির দাম ৪০ টাকা। ডজন হিসেবে কিনলে পড়ছে ১৫০ থেকে ১২০ টাকা। সাধারণ মানুষের আমিশ সরবরাহকারী সবচেয়ে বড় উৎসটিও হয়ে পড়েছে ব্যয়বহুল।
বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) সভাপতি মসিউর রহমান এ প্রসঙ্গে নয়া দিগন্তকে বলেন, ডিমের দাম না পেয়ে গত এক বছরে অনেকেই খামার বন্ধ করে দিয়েছেন। তা ছাড়া এইচ৯এন১ ভাইরাসের সংক্রমণে ডিমের উৎপাদন কমে গেছে। সার্বিক বিচারে এক বছরে ডিমের উৎপাদন প্রায় ৩০ শতাংশ কমে গেছে বলে জানান তিনি। দেশে বর্তমানে ডিমের বাণিজ্যিক উৎপাদন দৈনিক প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ। বাণিজ্যিক উৎপাদন এবং গৃহপালিত মুরগি, হাঁস ও কোয়েল পাখির ডিম হিসাব করলে দৈনিক গড় উৎপাদন ৪ কোটি ৭১ লাখের ওপরে।
মসিউর রহমান বলেন, ২০১০ সালে দেশে মাথাপিছু দৈনিক ডিমের ব্যবহার ছিল ৭ দশমিক ২০ গ্রাম। ২০১৬ সালে এ পরিমাণ ৮৮ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৩ দশমিক ৫৮ গ্রাম। কিন্তু চাহিদা আরো বেশি। এ জন্য যে হারে খামার বাড়ানোর প্রয়োজন ছিল সে হারে বাড়ছে না। উল্টো নানা প্রতিকূলতার কারণে অনেকে খামার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। পরিস্থিতির উন্নয়নে ডিম ও মুরগির উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
বিভিন্ন পর্যায়ের ক্রেতা-বিক্রেতার সাথে কথা বলে জানা যায়, রোজার ঈদের পর ডিমের দাম কিছুটা বাড়লেও কোরবানির ঈদের পর তা কমে আসে। দুই সপ্তাহ আগে ৯৫ টাকা ডজন বিক্রি হওয়া ডিমের দাম এখন দাঁড়িয়েছে ১২০ টাকা। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দফায় দফায় দাম বেড়ে ডিম এখন অনেকটাই নি¤œ আয়ের মানুষের ক্রয় মতার বাইরে চলে গেছে। বাজারে কারো নজরদারি না থাকার কারণে ডিমের দাম দফায় দফায় বাড়ছে বলে অভিযোগ করছেন ক্রেতারা। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখন ডিমের চাহিদা খুব বেড়েছে। বাজারে ডিমের যে পরিমাণ চাহিদা রয়েছে, খামারিরা তা সরবরাহ দিয়ে পারছেন না। তাই সরবরাহের তুলনায় চাহিদা বেশি থাকায় ডিমের দাম বেড়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, শুধু ডিম বিক্রি করেন এমন ব্যবসায়ীরা প্রতি ডজন ডিম ১০৫ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি করছেন। এক সপ্তাহ আগেও এসব ব্যবসায়ী ৯৫ থেকে ১০০ টাকা ডজনে ডিম বিক্রি করেছেন। খুচরা পর্যায়ে মুদিদোকানে এক পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১১ টাকায়। আর হালি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪২ টাকায়। এসব ব্যবসায়ী এক ডজন ডিম বিক্রি করছেন ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়।


আরো সংবাদ



premium cement
যশোর কারাগারে হাজতিদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ব্যাপক আতঙ্ক চিকিৎসার জন্য ঢাকা ছাড়লেন বিএনপি নেতা আমীর খসরু কুষ্টিয়াতে মসজিদ কমিটি নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫ চেয়ারম্যান তপন ও অজিত মেম্বারকে ধরিয়ে দিতে পারলে পুরস্কার ঘোষণা নারায়ণগঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় ১৪ ডাকাত সদস্য গ্রেফতার রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়াল যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশী শ্রমিকদের ভিসা সহজ করার আহ্বান প্রবাসী প্রতিমন্ত্রীর চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী না হয়ে অংশীদার হওয়া উচিত : শি জিনপিং ওকাব সভাপতি নজরুল ইসলাম, সম্পাদক জুলহাস আলম পাবনায় ১০ কোটি টাকার অনিয়মে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে চুয়েট ১১ মে পর্যন্ত বন্ধ, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত

সকল