২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কসভো দখলের হুমকি সার্বিয়ার

-

বলকান অঞ্চলের মুসলিম দেশ কসভোয় সামরিক অভিযান চালানোর হুমকি দিয়েছে সার্বিয়া। সেনাবাহিনী গঠনের জন্য একটি আইন পাস করেছে সার্বিয়া, আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়েছে সার্বিয়া। গত শুক্রবার কসভোর পার্লামেন্টে ৫ হাজার সদস্যের একটি সেনাবাহিনী গঠনের আইন পাসের পক্ষে ভোট দেন এমপিরা। ৫ হাজার নিয়মিত সৈন্যের সাথে থাকবে আরো ৩ হাজার রিজার্ভ সেনা।

এক সময় সার্বিয়ার অংশ ছিলো মুসলিম অধ্যুষিত কসভো, দীর্ঘ লড়াই আর গণহত্যার শিকার দেশটি যুক্তরাষ্টের সহযোগিতায় অবশেষে স্বাধীন হয়েছে ২০০৮ সালে। কসভোর নাগরিকদের বেশিরভাগই জাতীগত আলবেনীয়। সার্বিয়া এখনো দেশটির স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেয়নি। কসভোর নিজস্ব সেনাবাহিনী গঠনের পদক্ষেপকে সার্বিয়া বলছে ‘বলকান অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার’ ওপর সরাসরি হুমকি। সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনা ব্রানাবিক বলেছেন, এর ফলে তাদের হাতে এখন একটি মাত্র উপায়ই আছে(সেনা অভিযান)।

কসভোর পার্লামেন্টের বর্তমান ১০৭ জন এমপির সবাই এই বিলটির পক্ষে ভোট দিয়েছেন। নিরাপত্তা বাহিনী সম্প্রসারণ সংক্রান্ত তিনটি খসড়া বিল পাস হয়েছে এই ভোটের মাধ্যমে।

স্বাধীন কসভোর সংবিধান প্রণয়নের সময়ই সেনাবাহিনী গঠনের বিধান রাখা হয়েছিলো, যদিও গত বছরে দেশটি সেনাবাহিনী গঠনের পদক্ষেপ নেয়নি।
কসভোর এই পদক্ষেপসে সমর্থন জানিয়ে বিলটিকে ঐতিহাসিক হিসেবে আখ্যা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা কসভোর সার্বভৌমত্ব রক্ষার অধিকারের পক্ষে আছে বলেও জানিয়েছে।

কসভোর প্রধানমন্ত্রী রামুশ হারাদিনাজ বলেছেন, নতুন সেনাবাহিনী সার্বিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহারের উদ্দেশ্য গঠন করা হচ্ছে না। তিনি বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠায় সার্বিয়ার সেনাবাহিনী এবার সঙ্গী পেতে যাচ্ছে যেটি হবে কসভোর সেনাবাহিনী।

সার্বিয়া আশঙ্কা করছে যেসব জাতিগত সার্ব কসভোয় রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী গঠন করা হচ্ছে, যদিও তেম আশঙ্কার কথা নাকচ করে দিয়েছে কসভো।

পার্লামেন্টে বিল পাসের পরদিন সার্বিয়ার প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা নিকোলা সিলাকভিচ বলেছেন, এর প্রতিক্রিয়া তার দেশ কসভোয় সেনা পাঠাতে পারে কিংবা দেশটিকে একটি অধিক্রিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করতে পারে। সার্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তারা এ বিষয়ে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত চান।


আরো সংবাদ



premium cement