৪ হাজার সামরিক মহড়া চালাবে রাশিয়া
- আনাদোলু
- ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০
সামরিক সমতা বাড়ানোর অংশ হিসেবে ২০১৯ সালে চার হাজার সামরিক মহড়া চালানোর ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। মঙ্গলবার রুশ প্রতিরামন্ত্রী সের্গেই শোইগু এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ইন্টারমিডিয়েট-রেঞ্জ নিউকিয়ার ফোর্সেস (আইএনএফ) নামের রুশ-মার্কিন পরমাণুচুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে যাওয়ার পরিকল্পনার পরিপ্রেক্ষিতে মস্কো এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০১৮ সালের ২১ অক্টোবর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনার কথা জানান। মঙ্গলবার মস্কোতে রাশিয়ার সামরিক ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সাথে আলাপকালে এ বিষয়ে কথা বলেন রুশ প্রতিরামন্ত্রী। তিনি বলেন, ২০১৯ সালে বিভিন্ন মাত্রার চার হাজার সামরিক মহড়া চালাবে রাশিয়া। সবচেয়ে বড় মহড়াটি হবে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ২০১৮ সালে সামরিক খাতে ৭১ হাজার ৬০০ কোটি ডলার ব্যয় করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশী মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৬০ লাখ ৩৫ হাজার ৪১৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
এ দিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র সীমিতকরণ চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন। ‘ইন্টারমিডিয়েট-রেঞ্জ নিউকিয়ার ফোর্স-আইএনএফ’ নামের ওই চুক্তি মেনে চলতে তিনি রাশিয়াকে ৬০ দিন সময় দিয়েছেন।
মঙ্গলবার ব্রাসেলসে সামরিক জোট ন্যাটোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক শেষে পম্পেও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আজ ঘোষণা দিচ্ছে যে, তারা রাশিয়ার ওই চুক্তি ভঙ্গের বাস্তব প্রমাণ পেয়েছে। রাশিয়া যদি পূর্ণ ও যাচাইযোগ্যভাবে ওই চুক্তিতে ফিরে না আসে তাহলে ৬০ দিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র তার বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহার করবে।’
তিনি বলেন, ‘অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বাধ্যবাধকতার ব্যাপারে রাশিয়ার প্রতারণাকে আমাদের অবশ্যই মোকাবেলা করতে হবে।’ পম্পেও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এখনো আশাবাদী। রাশিয়ার সাথে আমেরিকার এমন সম্পর্ক রয়েছে, যাতে দেশটি লাভবান হতে পারে। তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করার দায়িত্ব রাশিয়ার ওপর বর্তায়। শুধু তারাই এই চুক্তি বাঁচাতে পারে।’ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যদি রাশিয়া তাদের লঙ্ঘনের বিষয়টি স্বীকার করে এবং পূর্ণ ও যাচাইযোগ্য প্রক্রিয়ায় ফিরে আসতে চায়, তাহলে আমরা অবশ্যই সেই পদপেকে স্বাগত জানাব।’