২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পুতিনের হুমকি

ভ্লাদিমির পুতিন - ছবি : সংগ্রহ

রাশিয়ার ভূখণ্ড লক্ষ্য করে কোন হামলা হলে তা মুহূর্তেই জানতে পারবে দেশটির কর্মকর্তারা আর এর প্রতিশোধ হিসেবে তাৎক্ষণিকভাবেই নেয়া হবে পাল্টা হামলার ব্যবস্থা। এ জন্য সব প্রস্তুতিই সম্পন্ন রয়েছে। এমন হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, হামলাকারীদের নিশ্চহ্ন করে দেয়া হবে। 

রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অগ্রগামীতার কথা উল্লেখ করে পুতিন দাবি করেন, তার দেশ লক্ষ্য করে হামলা হলে মাত্র কয়েক সেকেন্ড লাগবে তা টের পেতে। রাশিয়ার সোচিতে ইন্টারন্যাশনাল পলিসি ফোরামে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, সম্ভাব্য আগ্রাসী শক্তির জানা উচিৎ রুশ ভূখণ্ডে হামলা চালালে নিশ্চিতভাবে এর জবাব দেওয়া হবে এবং আগ্রাসী শক্তি ধ্বংস হয়ে যাবে। রাশিয়াকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হলে আমরা কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারব এবং নিশ্চিত হওয়ার পরই পাল্টা হামলা চালাব।

সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষেত্রে তার দেশের সাফল্যের প্রশংসা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তিনি এ সম্পর্কে বলেছেন, অন্য দেশগুলো যেখানে আগামী দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যে সুপারসনিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে সেখানে আমরা এরইমধ্যে তা সম্পন্ন করে ফেলেছি।

বক্তৃতায় পুতিন তার দেশের পারমাণবিক অস্ত্রের পলিসি নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, হামলার শিকার হলেই কেবল পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করবে তার দেশ। তিনি আরও বলেন, আমরা তখনি কেবল পাল্টা হামলা চালানোর সময় পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করব যখন আমাদের আগাম সতর্কবার্তা দেওয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে যে রাশিয়ার দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুটে আসছে।

আরো পড়ুন:

মিয়ানমারের নৃশংসতা বিষয়ে তৈরী প্রতিবেদনের ওপর শুনানি করবে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমারের নৃশংসতা বিষয়ে সংস্থাটির তদন্ত দলের প্রধানের তৈরী করা প্রতিবেদনের ওপর আগামী সপ্তাহে শুনানি করার কথা রয়েছে। এ তদন্ত দল মুসলিম রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংসতা চালানোর ঘটনায় দেশটির সামরিক বাহিনীকে দায়ী করেছে। বৃহস্পতিবার কূটনীতিকরা একথা জানান।

যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্সসহ নয়টি দেশ মিয়ানমারের নৃশংসতা বিষয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে সংস্থার তদন্ত দলের দেয়া তথ্য শুনানি করার অনুরোধ জানায়। চীন এ আবেদনের বিরোধিতা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কেননা, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সাথে চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে এবং তারা নিরাপত্তা পরিষদের পদক্ষেপ থেকে দেশটিকে রক্ষা করতে চায়।

মিয়ানমারের আপত্তি সত্ত্বেও আগামী ২৪ অক্টোবর এ বৈঠকের দিন ধার্য করা হয়েছে। দেশটি জাতিসংঘের এ তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখান করেছে। জাতিসংঘের ওই দল গত মাসে একটি বিস্ফোরক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে মিয়ানমার পরিস্থিতি হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে তুলতে বা অ্যাডক আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহবান জানানো হয়।

ওই মিশন জানায়, রাখাইন রাজ্যে গণহত্যা চালানোর দায়ে মিয়ানমারের কমান্ডার-ইন-চিফসহ দেশটির শীর্ষ জেনারেলদের বিরুদ্ধে অবশ্যই তদন্ত করে তাদের বিচার করতে হবে। তবে গত বছরের দমন অভিযান চলাকালে নৃশংস ঘটনায় মিয়ামারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ দেশটি প্রত্যাখান করেছে। সামরিক বাহিনীর ওই দমন অভিযানে বাধ্য হয়ে সাত লাখের বেশী রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

এ সপ্তাহে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে দেয়া এক পত্রে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত হাউ দো সুয়ান জানান, তার সরকার পরিষদে এ মিশনের চেয়ারম্যানের শুনানির আবেদন ‘জোরালোভাবে প্রত্যাখান’ করেছে। ব্রিটেন, ফ্রান্স, পেরু, সুইডেন, আইভরিকোস্ট, নেদারল্যান্ড, পোল্যান্ড, কুয়েত ও যুক্তরাষ্ট্র এ বৈঠকের অনুরোধ জানায়।


আরো সংবাদ



premium cement