০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মইনুল ইসলাম খানের গানে ফাবিহা

-

বিশিষ্ট সঙ্গীত পরিচালক মইনুল ইসলাম খান সাধারণত কোনো সঙ্গীতশিল্পীর কণ্ঠ তার মনে দাগ না কাটলে তার জন্য সুর সৃষ্টি করেন না। কিছুদিন আগে কনকচাঁপার একটি স্টেজ শোতে অস্ট্র্রেলিয়ায় গিয়েছিলেন মইনুল ইসলাম খান। সেখানে গিয়েই নিউ ক্যাসলে পরিচয় হয় প্রবাসী বাংলাদেশী শিল্পী ফাবিহা জামান সিদ্দিকের সাথে। তার কণ্ঠে গান শুনে মুগ্ধ হন মইনুল। মইনুল তখনই তাকে কথা দিয়েছিলেন, তার জন্য সুর সৃষ্টি করবেন। হলোও ঠিক তাই। এরই মধ্যে ফাবিহা দেশে এসেছেন বেড়াতে। এসেই ফাবিহা তার জীবনের প্রথম দু’টি মৌলিক গানে কণ্ঠ দিলেন। গান দুটি হচ্ছেÑ ফেরদৌস হোসেন ভূঁইয়ার লেখা ‘আমার চক্ষু পুড়ে গেছে’ এবং কবির বকুলের লেখা ‘মন যদি চায়’। দু’টি গানের মধ্যে ‘আমার চক্ষু পুড়ে গেছে’ গানটির স্টুডিও ভার্সনে মিউজিক ভিডিও করে ফাবিহার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল ‘ফাবিহা সিদ্দিক’-এ প্রকাশ করা হবে। ফাবিহা প্রসঙ্গে মইনুল ইসলাম খান বলেন, ‘অস্ট্র্রেলিয়ায় যখন ফাবিহার গান প্রথম শুনি, তখনই আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম। তখনই তাকে কথা দিয়েছিলাম তার জন্য গান করব। অস্ট্রেলিয়াতে ফাবিহার জন্ম হলেও বাংলাদেশের প্রতি, বাংলা গানের প্রতি তার দুর্নিবার আকর্ষণ, ভালোলাগা আমাকে মুগ্ধ করেছে। দু’টি গানই অসাধারণ গেয়েছে ফাবিহা। আমি আশা রাখতেই পারি, গানে ফাবিহার ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল।’ ফাবিহার বাবা ডা: সাব্বির সিদ্দিক জানান, তার নানা রথীন্দ্র কান্ত ঘটক চৌধুরী ছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সরাসরি ছাত্র। তার নানী রানী ঘটক চৌধুরী রেডিতে গাইতেন। ফাবিহার বাবার নানা-নানীর সূত্রেই ফাবিহার গানের প্রতি রয়েছে প্রবল আগ্রহ। ফাবিহা বলেন, ‘আমি সত্যিই ভীষণ কৃতজ্ঞ মইনুল আঙ্কেলের কাছে। কারণ আমি জানি তিনি এ দেশের একজন কিংবদন্তি সঙ্গীত পরিচালক। সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে আমি একেবারেই নতুন। কিন্তু তারপরও তিনি আমার জন্য গান করেছেন। এটা আমার জন্য সত্যিই অনেক বড় পাওয়া।


আরো সংবাদ



premium cement