০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫
`


নতুন করে আলোচনায় চঞ্চল-তিশা

-

মডেলিং নাটক চলচ্চিত্র প্রতিটি মাধ্যমেই সফল জুটি চঞ্চল চৌধুরী ও নুসরাত ইমরোজ তিশা। নাটক-বিজ্ঞাপনের বাইরে সিনেমায় নিয়মিত অভিনয় করলেও মূলত তারা নাটকেরই মানুষ। তাদের নিয়ে এবার চলছে নতুন আলোচনা। কারণ এবার তারা বহুরূপে পর্দায় এসেছেন। চমকে দিয়েছেন দর্শকদের। চঞ্চল-তিশা জানালেন এবার তারা জুটি বেঁধেছেন সিনেমাটিক সিরিজ বিজ্ঞাপনচিত্রে। সম্প্রতি রবি আজিয়াটা লিমিটেডের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তারা। রবির বিভিন্ন সামাজিক ও পণ্য প্রচারণামূলক কার্যক্রমে তাদেরকে দেখা যাবে নিয়মিত। দুই বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনচিত্রে অংশ নিয়েছেন দু’জন। নতুন বিজ্ঞাপন চিত্র যা তৈরি করা হয়েছে মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটিকে কেন্দ্র করে। অন্য অপারেটরের প্রবলেমগুলো তুলে ধরতে। চঞ্চল চৌধুরী হাজির হয়েছেন বিয়ে বাড়িতে ভিডিও করা এক কর্মী, টুরিস্ট, নেতা ও নারী চরিত্রে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, দর্শক সব সময়ই নতুনের প্রতি বেশী আগ্রহী। তাই চরিত্রের ক্ষেত্রে সে বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। কাজের ব্যস্ততার বিষয়ে চঞ্চল জানান, আপাতত নতুন কোনো কাজ করছেন না। কারণ রবির সাথে আটটি টিভিসিতে চুক্তিবন্ধ হয়েছেন। তিনি বলেন, এখানে প্রতিটি চরিত্রই ভিন্ন ধরনের। চঞ্চল রবির শুভেচ্ছাদূত হয়েছেন, দুই বছর তাদের সাথে কাজ করবেন। এ সময় তারা বিজ্ঞাপনচিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির কিছু প্রচারে অংশ নেবেন। বিজ্ঞাপনের অন্য শিল্পী তিশা। তিনি পুলিশ অফিসার, গৃহকর্ত্রী, উপজাতি রমণী ও বিয়েবাড়ির এক উচ্ছল তরুণীরূপে পর্দায় হাজির হয়েছেন দর্শকদের জানাতে জে রবিতে আসলে ‘নো প্রবলেম’।
তিশা জানান, তিনি আগেও এ প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছাদূত ছিলেন। এখন আবারো চুক্তি বন্ধ হলেন। আপাতত মোট যে আটটি বিজ্ঞাপনচিত্রে অভিনয় করার কথা তার চারটির প্রচার চলছে। বাকিগুলো কী ধরনের হবে কিংবা কী চরিত্রে থাকবেন সে বিষয়ে আগেই তিনি কিছু বলতে চাননি। এরই মধ্যে চারটি বিজ্ঞাপনচিত্র দেশের প্রায় প্রতিটি চ্যানেলে প্রচার হচ্ছে। বিজ্ঞাপনগুলোর টাইটেল হচ্ছে ‘নীরব ঘাতক’, ‘ভণ্ড প্রেমিক’, ‘নিখোঁজ সংবাদ’ ও ‘গোডাউনে শোডাউন’। আর এ চারটি বিজ্ঞাপনে চাররূপে হাজির হতে দেখা যাচ্ছে চঞ্চল ও তিশাকে। এ বিষয়ে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, আর দশটা বিজ্ঞাপনের মতো নয়, পুরনো বাংলা চলচ্চিত্রের আদলে তৈরি হয়েছে বিজ্ঞাপনগুলো। এর আগে আমি কিছু বড় প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করেছি। সামাজিক কিছু প্রতিষ্ঠানের হয়েও কাজ করেছি। এখন বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করছি, নিঃসন্দেহে এটি ভালো লাগার ব্যাপার। নতুন নতুন অভিজ্ঞতা হচ্ছে। তিশা বলেন, এর আগে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আর এনজিওর শুভেচ্ছাদূত হয়েছি। যেকোনো প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছাদূত হয়ে সেই প্রতিষ্ঠান কিংবা পণ্যের প্রচার করা আনন্দের। নতুন কাজটিও বেশ উপভোগ করছি। প্রতিটি বিজ্ঞাপনই আমার নিজের বেশ পছন্দ হয়েছে। অনেকে কাজ দেখার পর প্রশংসাও করেছেন।’ তারা জানান, এসব বিজ্ঞাপনে দর্শকরা বিজ্ঞাপনের পরিবেশের আমেজ উপভোগ করবেন ও বিজ্ঞাপনগুলো দেখার সময় বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের প্রচলিত সংলাপগুলো শুনতে পারবেন। বলেন, আরো চমক আছে। প্রচার শুরু হলে এলে দর্শকরা দেখতে পাবেন। তাই আপাতত সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না।


আরো সংবাদ



premium cement