২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সংসদ নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহারে ভুলত্রুটির কথা স্বীকার করলেন সিইসি

ইভিএম
কে এম নূরুল হুদা - ফাইল ছবি

সদ্য শেষ হওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারে কোথাও কোথাও ভুলত্রুটি ছিল, অসুবিধা ছিল বলে স্বীকার করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। তিনি বলেন, এজন্য ফলাফল দিতে দেরি হয়েছে।

আজ বুধবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইটিআই ভবনে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং ইভিএম ব্যবহারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শীর্ষক প্রশিক্ষণ উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশ করে সিইসি বলেন, ‘ইভিএমের ওপরে আমাদের আস্থা, বিশ্বাস নানা কারণে-এ কথা আপনাদের সামনে আমরা বারবার বলেছি। যত্নসহকারে এর প্রশিক্ষণ নেবেন এবং প্রশিক্ষণ দেবেন। নতুন একটা পদ্ধতি বলে এর কোথাও কোথাও কোনো ভুলভ্রান্তি হয়, মানুষের মধ্যে আস্থার সঙ্কট সৃষ্টি হয়। সেটা আপনাদের ওপর নির্ভর করে।’

সদ্যসমাপ্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬টি নির্বাচনী এলাকায় আমরা ইভিএম ব্যবহার করেছি। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি সেটা কোথাও কোথাও ভুলত্রুটি ছিল, অসুবিধা ছিল। সে অসুবিধাগুলো ‘নতুন একটা পদ্ধতি প্রয়োগের সময় হতে পারে। একেবারে হতে পারে না-এটা আমি বলব না। তবুও আপনাদের সাবধানতা, সতর্কতা যদি বেশি থাকত, তাহলে সেরকম ভুল হওয়া উচিত ছিল না।’

আমরা বলেছিলাম, ‘এটা এমন একটা সিস্টেম যে আধাঘণ্টা, একঘণ্টার মধ্যে জনগণের কাছে তুলে দেব। আমরা সেটি পারিনি। কেন পারিনি সে কারণগুলো নির্ধারণ করতে হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে কী ভুল ছিল সেগুলো শনাক্ত করতে হবে। সেগুলো সংশোধন করতে হবে।’

ইভিএম ব্যবহার করতে পারলে নির্বাচনে যে অনিয়ম হয় তার বেশিরভাগ অনিয়ম বন্ধ হয়ে যাবে বলেও জানান সিইসি কে এম নূরুল হুদা।

তিনি বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনের সাথে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কাঠামোগত দিক থেকে খুব একটা পার্থক্য নেই। স্থানীয়ভাবে হওয়ায় এই নির্বাচনগুলো আরও বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়। আমি আবারও আশা করব যেভাবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনায় আপনাদের ভূমিকা স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ, দৃঢ় ছিল, এবারও আপনারা সেরকম স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ থাকবেন।’


আরো সংবাদ



premium cement