২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`
গণসংযোগে বাম নেতৃবৃন্দ

‘দুর্নীতি ও লুটপাটে নিমজ্জিত দেশ’

‘দুর্নীতি ও লুটপাটে নিমজ্জিত দেশ’ - সংগৃহীত

রাজধানীতে বিভিন্নস্থানে নির্বাচনী প্রচারণায় বাম জোটের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ক্ষমতার পালা বদল হলেও সাধারণ মানুষের মুক্তি আসেনি। মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়নি। দুর্নীতি ও লুটপাটে নিমজ্জিত দেশ। এমপিগিরি এখন ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। এর থেকে মুক্তি পেতে মহাজোট-জোট-ফ্রন্টের বাইরে বাম গণতান্ত্রিক জোটের প্রার্থীদেরকে বিজয়ী করে ক্ষমতায় আনতে হবে।

ঢাকা-১৫ নির্বাচনী আসনে বাম গণতান্ত্রিক জোট-এর প্রার্থী ডা. আহম্মদ সাজেদুল হক রুবেলের কাস্তে মার্কার ও ঢাকা-৮ আসনের বাম গণতান্ত্রিক জোট-এর মই মার্কার প্রার্থী প্রকৌশলী শম্পা বসুর সমর্থনে আজ ঢাকায় গণসংযোগ করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। এসময় ৯৯% মানুষের স্বার্থরক্ষায় বাম জোটের প্রার্থীদের ভোট দিতে আহবান জানান সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। অপরদিকে ভোটের দিন নির্ভয়ে ভোট দেয়ার ব্যবস্থার দাবি জানান বাসদ সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান।

এদিকে বুধবার সকাল সাড়ে দশটায় মিরপুরের শেওড়াপাড়া এলাকায় মণিপুর স্কুলের সামনে থেকে ও বেলা সাড়ে বারোটায় ফকিরাপুল পানির ট্যাংক-এর সামনে থেকে অনুষ্ঠিত গণসংযোগে অংশ নেন সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাসদ’র সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, সিপিবি’র সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের কেন্দ্রীয় বজলুর রশীদ ফিরোজ, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় নেতা নজরুল ইসলাম, নারী নেত্রী লক্ষ্মী চক্রবর্তী, রওশন আরা রুশো, ঢাকা-১৫ আসনের কাস্তে মার্কার প্রার্থী ডা. আহম্মদ সাজেদুল হক রুবেল, ঢাকা-৮ আসনের মই মার্কার প্রার্থী প্রকৌশলী শম্পা বসু, সিপিবি নেতা খান আসাদুজ্জামান মাসুম, সেকেন্দার হায়াৎ, বাসদ নেতা জুলফিকার আলী প্রমুখ।

গণসংযোগের সময় অনুষ্ঠিত কয়েকটি পথসভায় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। এসময় মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম আরো বলেন, সাধারণ মানুষের উপার্জিত সম্পদ ১% মানুষ ভোগ করছে। এই ১% লুটেরাদের প্রতিনিধি হলো মহাজোট-জোট ও ফ্রন্ট। আর সাধারণ ৯৯% মানুষের প্রতিনিধি হলো বাম গণতান্ত্রিক জোট। তিনি আসন্ন নির্বাচনে ৯৯% মানুষের স্বার্থরক্ষায় বাম জোটের প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি ব্যবস্থা বদলের সংগ্রামে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অপশক্তিকে পরাস্ত করারও আহ্বান জানান।

খালেকুজ্জামান ভোটের দিন সকল মানুষকে নির্ভয়ে ভোট দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, জনগণকে ভোটাধিকার বঞ্চিত করে গণতন্ত্র রক্ষা করা যায় না। তিনি বলেন, শুধুমাত্র ক্ষমতার পরিবর্তন নয়, নীতির পরিবর্ত ছাড়া দেশের মানুষের মুক্তি নিশ্চিত করা যাবে না। বাম জোট নীতির পরিবর্তনের সংগ্রামে নেমেছে। জনগণকে এই সংগ্রামে এগিয়ে এসে নিজের বিজয়কে নিশ্চিত করতে হবে।

রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, তথাকথিত বড় দলগুলোর নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নে যে নীতিহীনতা দেশবাসী দেখলো এটি হলো এসব দলের নীতিহীন রাজনীতির নগ্ন রূপ। ক্ষমতায় থাকতে ও ক্ষমতায় যেতে হেন কাজ নেই যা তারা করতে পারে না। আজ তাই মানুষকে সচেতন হয়ে নীতিহীন অপশক্তিকে ‘না’ ও নীতিনিষ্ঠ শক্তিকে ‘হ্যাঁ’ বলতে হবে।

বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, সারাদেশে মহাজোট-জোটের প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় নির্বাচন কমিশন নীরব। তারা সকলের জন্য সমসুযোগ নিশ্চিত করতে পারছে না। টাকা ও পেশীশক্তির কাছে নির্বাচন ব্যবস্থা বন্দি হয়ে আছে। বাম জোট নেতৃবৃন্দ শেওড়াপাড়া এলাকায় ও পরবর্তীতে ফকিরাপুল এলাকায় গণসংযোগ ও মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।


আরো সংবাদ



premium cement