১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলকদ ১৪৪৫
`


বখাটের উৎপাতে দুই স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

দোষীদের আইনের আওতায় আনা হোক

-

শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ধর্ষকদের বিরুদ্ধে লড়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে কয়েক দিন আগে দুনিয়া থেকে চিরবিদায় নিলেন ফেনীর সোনাগাজীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি। তারই মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজের যৌন হয়রানি এবং শেষ পর্যন্ত পুড়িয়ে মারার নৃশংস প্রচেষ্টার ফলে ভয়াবহভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়ে কয়েক দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করেও বাঁচতে পারেননি তিনি। এই মর্মান্তিক ঘটনার পর এখন সারা দেশে চলছে নুসরাত হত্যার বিচার দাবি এবং নারী-শিশু ধর্ষণ ও হত্যার ক্রমবর্ধমান বর্বরতা আর এসব রোধে রাষ্ট্রের সীমাহীন উদাসীনতা, নৈতিক অবক্ষয় এবং এ ধরনের বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের শাস্তি দান থেকে আড়াল করার ব্যাপক প্রতিবাদ। চলছে মানববন্ধনসহ নানা ধরনের প্রতিবাদ কর্মসূচি। এর পরও থামছে না এ ধরনের ঘৃণ্য অপরাধ। বরং প্রতিদিনই দেশের কোথাও-না-কোথাও এসব ঘটছে।
সর্বশেষ খবর হচ্ছে, বখাটেদের নিপীড়ন ও দৌরাত্ম্য সহ্য করতে না পেরে গাজীপুর ও বরিশালে দু’জন স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে পত্রিকাকে জানিয়েছে তাদের পরিবার। এসব ঘটনায় গত শুক্রবার থানায় মামলা ও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে কাউকে গ্রেফতারের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
বরিশালে আত্মহত্যাকারী স্কুলছাত্রী তাকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদে চিরকুট লিখে চিরবিদায় নিয়েছে। সে গত বুধবার সন্ধ্যায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। তার মা জানানÑ বিদ্যালয়ে যাতায়াতের সময় গ্রামের রোমান ও তার সহযোগীরা দীর্ঘ দিন ওকে কুপ্রস্তাবসহ বিভিন্নভাবে নিপীড়ন করে আসছিল। বখাটেরা প্রায়ই তাদের মোবাইল ফোন দিয়ে তার সাথে কথা বলতে চাইত। এ কাজে নিষেধ করা হলে তাদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করত। চিরকুটে লেখা ছিল, ‘আজ আমাকে একজন একটা খারাপ কথা বলেছে, শুধু আমাকেই নয়, আপুকেও বলেছে। কথাটা মিথ্যা; তাই মানতে পারিনি। তাই পৃথিবী থেকে অনেক দূরে চলে গেলাম। আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।’ অপর দিকে গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীর আত্মহত্যার কারণও ভিন্ন কিছু নয়। স্কুলে যেতে-আসতে প্রায়ই মানিক ও রিপন শিমলাকে উত্ত্যক্ত করত। ঘটনার দিনে ওরা তাকে বাজে কথা বলে অপবাদ দিয়েছে। অপমান সহ্য করতে না পেরে সে আত্মহত্যা করেছে।
যৌন হয়রানির শিকার হয়ে এ ধরনের ঘটনা অহরহ ঘটে চলেছে। সময়ের সাথে এর তীব্রতা কেবলই বাড়ছে। সরকার ও সমাজ তা রোধে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। অথচ ঘটনা ঘটলেই সরকারের পক্ষ থেকে গৎবাঁধা সুরে বলা হয় ‘জড়িতদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না’। কিছু দিন গণমাধ্যমে এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার পর সব কিছু যেন থেমে যায়। দোষীদের শাস্তির আওতায় আর আনা হয় না। অনেক সময় দেখা যায়, এসব ঘটনার সাথে মূলত ক্ষমতাসীন দলের লোকই জড়িত। তখন ক্ষমতাসীন মহল তাদের রক্ষায় যেন উঠেপড়ে লেগে যায়। ফলে এ ক্ষেত্রে বিচারহীনতার অপসংস্কৃতি চালু হয়েছে। কিন্তু আমরা অনুধাবন করতে পারছি না, এর পরিণতি কত ভয়াবহ। এ নিয়ে আর কোনো ধরনের শিথিলতা প্রদর্শনের সুযোগ নেই। প্রয়োজনে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে এসব অপকর্মে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করতে হবেই।


আরো সংবাদ



premium cement
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে বিএনপির সমাবেশ শুরু টঙ্গীতে ৩ তলার ছাদ থেকে পড়ে বিএনপি নেতার ছেলের মৃত্যু মালদ্বীপ থেকে সব সৈন্য প্রত্যাহার করেছে ভারত জামিন পেলেন কেজরিওয়াল, তবে ভোটগণনার দিন থাকতে হবে জেলেই পরকীয়া প্রেমিক যুগলের গলায় জুতার মালা : চেয়ারম্যান বরখাস্ত সমাবেশে যোগ দিতে নয়াপল্টনে জড়ো হচ্ছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা রংপুরে রেয়াত পদ্ধতি চালুসহ ৪ দফা দাবিতে মানববন্ধন নতুন কোচের সন্ধানে বিসিসিআই, তাহলে কি দ্রাবিড়ের বিদায়! থাইল্যান্ডে এ বছর হিটস্ট্রোকে ৬১ জন প্রাণ হারিয়েছে : সরকার নির্বাচন শেষ হলে আরো সত্য ঘটনা সামনে আসবে, ধর্ষণের অভিযোগ প্রসঙ্গে শাহজাহান রাণীনগরে সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ গ্রেফতার ৪

সকল