২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট -২০১৯

অভিযোগগুলো তদন্ত করে দেখা দরকার

-

গত বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ প্রকাশ করেছে এর ‘বাংলাদেশ : ভায়োলেন্ট রিপ্রেশন অব অপজিশন’ শীর্ষক প্রতিবেদন। এ রিপোর্টে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিরোধীদের দমনে ব্যাপক ধরপাকড় হয়েছে বলে সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই মানবাধিকার সংস্থা।
সংস্থাটি প্রতিবেদনে বলেছে, জবাবদিহিতার পরিবর্তে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা নিপীড়ন, নির্যাতন, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যায় যুক্ত ছিল। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, সাংবাদিক, বেসরকারি সংস্থার লোকজন এবং শিক্ষার্থীরাও এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ২০১৮ সালে এ নির্বাচনে বিরোধী দলের সদস্যদের ওপর হামলা, ভোটারদের ভীতিপ্রদর্শন এবং নির্বাচন কর্মকর্তাদের পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ রয়েছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়াবিষয়ক পরিচালক ব্রাড অ্যাডামস বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারে; কিন্তু তা করার জন্য সরকার মুক্তমতকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করেছে এবং বিরোধী দলের হাজার হাজার সমর্থকের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। মনে হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার জন্য নিজের নাগরিকদের অধিকারের অপব্যবহার করেছে।
প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, মাদকবিরোধী অভিযানে নিরাপত্তাবাহিনী ১০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করে এবং হাজার হাজার লোককে গ্রেফতার করেছে। শিক্ষার্থী আন্দোলনে ছাত্রছাত্রীরা ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকদের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন এবং পুলিশ হেফাজতেও তাদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়। নির্বাচনের আগে সরকার শত শত বিরোধী রাজনৈতিক সমর্থককে নাটকীয় অভিযোগে আটক করে। এ ছাড়া ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট ব্যবহার করে সরকারের সমালোচকদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম ফটোগ্রাফার শহিদুল আলম।
রিপোর্ট মতে, কর্তৃপক্ষ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও জোরপূর্বক অন্তর্ধানের ক্ষেত্রে নিরাপত্তাবাহিনীর জবাবদিহি আদায়ে ব্যর্থ হয়েছে। এ ছাড়া যৌন নির্যাতন, ধর্ষণ এবং এসিড হামলার ক্ষেত্রে নারীদের সুরক্ষা আইন সঠিকভাবে প্রয়োগেও সরকার ব্যর্থ হয়েছে।
আমরা অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে পারি, যখনই সরকারের বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী মানবাধিকার সংস্থাগুলো এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে, তখনই সরকারের পক্ষ থেকে এসব প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে বিবৃতি দেয়া হয়েছে, নয়তো সংবাদ সম্মেলন ডেকে সে কথা জানিয়ে দেয়া হয়েছে। ব্যর্থ সরকারের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখার কিংবা তদন্ত করে দেখার তাগিদ বোধ নেই সরকারের মধ্যে। অতি সম্প্রতি নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের কথা উল্লেখ করে টিআইবি যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, সে ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। এ প্রতিবেদনের সত্যাসত্য যাচাই না করে সরকারপক্ষ ও নির্বাচন কমিশন পত্রপাঠ প্রত্যাখ্যান করেছে। আমরা মনে করি, এ প্রবণতার অবসান হওয়া দরকার। বরং প্রয়োজন অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা। এসব অভিযোগের ব্যাপারে আত্মোপলব্ধি প্রয়োজন। সরকারের স্বার্থেই তা করা দরকার। আশা করি, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এই প্রতিবেদনের বেলায় এ ধরনের একটি উদাহরণ অন্তত সৃষ্টি হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
মিয়ানমারের জাতীয় গ্রন্থাগারে বাংলাদেশ দূতাবাসের বই অনুদান ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশী প্রভুদের দাসত্ব করছে : কাদের ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু সুলতান মাহমুদকে বাঁচাতে সাহায্যের আবেদন গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি হামলায় নিহত ১৫ মুজিবনগরে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১৩ বাগেরহাটের রামপালে ট্রাকের চাপায় নিহত ৩ ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভে উত্তাল পূর্ব আফ্রিকায় প্রবল বৃষ্টি ও বন্যা, কমপক্ষে ১৫৫ জনের প্রাণহানি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রশ্নবিদ্ধ তথ্য প্রচারের নিন্দা ডিআরইউর ভয়াবহ দুর্ঘটনা, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন উগ্র ইসরাইলি মন্ত্রী শেরে বাংলার সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন

সকল