২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
মনোনয়ন নিয়ে সঙ্ঘাত-সংঘর্ষ

নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা

-

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়াকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে সঙ্ঘাত ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, এ ধরনের ঘটনা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ক্ষমতাসীন দলের একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশীর সমর্থকদের মধ্যে মূলত এসব সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনগুলো প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীনভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের মধ্যে এমন ধারণা বদ্ধমূল হয়েছে, দলের মনোনয়ন পেলেই বিজয় নিশ্চিত। ফলে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য তারা মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়নপত্র দেয়ার পর থেকে দেশে ােভ-বিােভ বাড়ছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা অবরোধ ও ঝাড়ুমিছিল করা হচ্ছে। দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় বঙ্গবন্ধু এভিনিউ ও ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনেও বিুব্ধরা এসে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীর পে দলীয় মনোনয়ন দাবি করছেন। ২৫ নভেম্বর থেকে দলের মনোনীত প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেয়া শুরু করে আওয়ামী লীগ। এ পর্যন্ত ২৩১ জনকে নৌকার প্রার্থী ঘোষণা করে চিঠি দেয়া হয়। এর মধ্যে কোনো কোনো আসনে দুইজন প্রার্থীকেও মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।
সারা দেশে অন্তত ৪০টি নির্বাচনী আসনে ােভ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা। এ ধরনের ঘটনার পরিপ্রেেিত আশঙ্কা হচ্ছে, জোট-মহাজোটের প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পর ােভ-বিােভ আরো বাড়তে পারে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেছেনÑ যিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হবেন, তাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে। তার দাবিÑ জরিপের ওপর ভিত্তি করে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। তাই এবার বিদ্রোহী মানেই আজীবন বহিষ্কার। অতীতের কথা বাদ। এবার আর সে সুযোগ থাকবে না। কিন্তু এমন ঘোষণা মাঠে কতটা প্রভাব পড়বে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ, অতীতে এভাবে ঘোষণা দেয়ার পরও বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার পর দলে নেয়া হয়েছে।
ক্ষমতাসীন দলের নেতারা সঙ্ঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা সম্পর্কে বলে থাকেনÑ বড় রাজনৈতিক দলে এমন সঙ্ঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রচর্চা ও শৃঙ্খলার অভাবে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। এ ধরনের সঙ্ঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য মোটেও অনুকূল নয়। নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ রাখতে ক্ষমতাসীন দলকে এখন দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement