২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
এবার ঈদযাত্রায় নানা দুর্ভোগ

কর্তৃপক্ষের দায়িত্ববোধ বাড়লে দুর্ভোগ কমবে

-

প্রতিবারই ঈদের সময় শহর বা কর্মস্থল থেকে ঘরমুখো অজস্র মানুষের দুর্ভোগ ও হয়রানির অন্ত থাকে না। এবারো সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলছে। কিন্তু কেন? প্রত্যেক ঈদ মওসুমে প্রিয় পরিজনের সাথে ঈদ করার আনন্দ-উৎসাহ ম্লান হয়ে যায় পথে পথে একের পর এক ভোগান্তির সম্মুখীন হয়ে। অথচ প্রশাসন যথাসময়ে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে কড়া নজরদারি অব্যাহত রাখলে এই অবাঞ্ছিত পরিস্থিতি এড়ানো যায়।
বিভিন্ন দৈনিক খবর দিচ্ছে, দেশের অন্তত তিনটি মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটে যানবাহনের ধীরগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। তদুপরি, দেশের দু’টি প্রধান ফেরি রুট, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া এবং মাওয়া তথা শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি রুটে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। একটি সহযোগী দৈনিক প্রথম পাতায় সচিত্র প্রতিবেদনে গতকাল লিখেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ৭ ঘণ্টা বন্ধ। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কেও যানজট। ধীরগতিতে চলছে গাড়ি। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও মাওয়া রুটের ফেরিঘাটে অচলাবস্থা। সব মিলিয়ে স্মরণকালের ভোগান্তি দিয়ে শুরু হলো এবারের ঈদযাত্রা।’ এই দুঃসংবাদের সাথে মর্মান্তিক প্রহসনের জ্বালা যোগ করেছে মন্ত্রীর কথা। সড়ক পরিবহনমন্ত্রী গতবারের মতো এবারো বলেছেন, ‘এবার ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে এবং ভোগান্তি হবে সহনীয়।’ এ দিকে ভুক্তভোগীরা তাদের দীর্ঘ ও তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে আশঙ্কা করছেন, ঈদে বাড়ি যাওয়া ও ফেরার পথে হয়তো সবার জন্য অপেক্ষা করছে অসহনীয় দুর্ভোগের দুঃসহ যন্ত্রণা।
প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল থেকে প্রধান তিন মহাসড়ক দিয়ে যানবাহন রাজধানীতে ঢুকতে বা বের হতে পারেনি। এর ফলে ঢাকা মহানগরী বাস্তবে স্থবির হয়ে পড়েছিল। বিকেলের পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করে। গাজীপুরে গার্মেন্টকর্মীরা তাদের দাবি-দাওয়া আদায়ের জন্য অবরোধ করে রাখায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দিনভর যান চলাচল ছিল বন্ধ। অপর দিকে, দেশের প্রধান মহাসড়কে অর্থাৎ ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে, অনেক আগে থেকেই যানজটে যাত্রীরা অশেষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। তদুপরি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বিশেষত সাভার পর্যন্ত বিষম যানজট লেগেই থাকে। এর ওপর আছে পদ্মার ফেরি পার হওয়ার বিড়ম্বনা। ফলে প্রধানত দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের কষ্ট সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
পত্রপত্রিকার আরো খবর, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অব্যাহত দীর্ঘ যানজট দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসাবাণিজ্যে অচলাবস্থার সৃষ্টি করেছে। ঢাকা-কুমিল্লা ৯৭ কিলোমিটার মহাসড়কে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে যানজট চলে আসছে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ২৫০ কিলোমিটার দূরত্ব ৫ ঘণ্টায় অতিক্রম করার কথা, অথচ এতে সময় লেগে যাচ্ছে ১৪ থেকে ১৮ ঘণ্টা।
আমরা আশা করি, জনগণের দুর্ভোগ আশু অবসানের স্বার্থে সরকার অবলিম্বে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নিয়ে যানজট নিরসনের ব্যবস্থা করবে। তা হলেই প্রশাসনের দায়িত্ব সচেতনতার পরিচয় পাওয়া যাবে।


আরো সংবাদ



premium cement