২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
  লিজ ও দখলের কবলে মধুপুর বন

দ্রুত বন সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে হবে

-

দেশের তৃতীয় বৃহত্তম বনাঞ্চল মধুপুর বন। এটি জাতীয় সম্পদ হিসেবে চিহ্নিত এবং সেই বিবেচনায় বনটি দায়িত্বশীলতার সাথে সংরক্ষণ করার কথা। বাস্তবে সেভাবে সংরক্ষণ করা হচ্ছে না। এই বনের ভূমি দখল করে একটি প্রভাবশালী মহল চাষাবাদ করছে। গাছ কেটে উজাড় করে ফেলছে। অনেকেই বনাঞ্চল দখল করে চাষ করছে কলা, আনারস, হলুদ, লেবুসহ অন্যান্য ফসল। এর ফলে বনাঞ্চলের পরিবেশই শুধু ক্ষুণœ হচ্ছে না, উজাড় হয়ে যাচ্ছে বনের আসল গাছগাছালি। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বনাঞ্চলের পরিবেশ। যারা জবরদখল করে বন ধ্বংস করে চলেছে তারা একশ্রেণীর প্রভাবশালী। অপর দিকে আরেকটি প্রভাবশালী মহল লিজ নিয়ে নিজেদের ইচ্ছেমতো স্থাপনা তৈরি করে অবৈধভাবে বনাঞ্চল ধ্বংস করে চলেছে। আরেকটি মহল এনজিও হিসেবে পরিচিত সামাজিক বনায়নের আওতায় বনাঞ্চল গ্রাস করে নিজেদের ইচ্ছেমতো চাষাবাদ করে চলেছে। সামাজিক বনায়ন বলতে তারা ধরে নিয়েছে নিজেদের ইচ্ছেমতো চাষবাস করা, অন্যভাবে বনসম্পদ দখল করে ভোগ করা। এসব লিজ নেয়ার ক্ষেত্রে কয়েকটি এনজিও অগ্রসর ভূমিকা পালন করলেও তারা লিজের শর্ত পূরণ করছে না। তারা অন্যভাবে বনাঞ্চল ব্যবহার করে লাভবান হচ্ছে। অপর দিকে বনাঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
সুন্দরবন ও চট্টগ্রামের বনাঞ্চলের বাইরে ঢাকার কাছাকাছি তৃতীয় বৃহত্তম এই মধুপুর বনটি সংরক্ষণ করা জরুরি। এখানে কিছু উপজাতি বসবাস করে, তারাও বনাঞ্চল ধ্বংসে ভূমিকা পালন করছে। তারপরও কর্তৃপক্ষের নজর পড়ছে না।
আমরা মনে করি, দখল ও লিজের নামে মধুপুর বন ধ্বংসের এই প্রবণতা রোধ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। একই সাথে চিহ্নিত যে মহলটি বনাঞ্চল ধ্বংসে ভূমিকা পালন করছে, তাদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত বনভূমি পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিশেষ দৃষ্টি দেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। আশা করি, এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে মধুপুর বনাঞ্চল সংরক্ষণের কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement