৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


তেজগাঁও সড়কটি আবার ট্রাকের দখলে

দ্রুত দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নিতে হবে

-

রাজধানীর তেজগাঁও সড়কটি আবার ট্রাকের দখলে চলে গেছে। মাত্র আড়াই বছর আগে সড়কটি দখলমুক্ত করেছিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ড-সংলগ্ন রেলগেট থেকে সাতরাস্তা পর্যন্ত সড়ক আবার দখল করে নিয়েছে ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ড ভ্যান। এসব গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা হয় রাস্তার দুই ধারে। একই সড়কের ওপর গাড়ি মেরামতের কাজও শুরু করা হয়েছে।
প্রায় ১০০ ফুট প্রশস্ত রেলগেট-সাতরাস্তা সড়ক ধরে ফার্মগেট ও কাওরান বাজার এলাকা থেকে তেজগাঁও, মহাখালী ও বনানীর দিকে যেতে হয়। গুলশান-নিকেতনে যাওয়ার জন্যও এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই রাস্তা ব্যবহার করে তেজগাঁও এলাকার তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়, একটি মেডিক্যাল কলেজ, জাতীয় নাক-কান-গলা ইনস্টিটিউট এবং কয়েকটি গণমাধ্যমের অফিসও। এর বাইরে সরকারি-বেসরকারি অফিসগামীদের অনেকের যাতায়াতের সড়ক এটি। এ ছাড়া এটি ফার্মগেট ও তেজগাঁও এলাকার কমপক্ষে ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের প্রধান সড়ক।
আড়াই বছর আগে সড়কটি ছিল বিভীষিকাময়। তখনকার মেয়র মরহুম আনিসুল হকের ঐকান্তিক প্রয়াসে দখলমুক্ত করার পর জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছিল। ডিএনসিসির এই কাজের প্রশংসা করেছিল নাগরিক সমাজ। আড়াই বছর পর আবার সড়কটি ট্রাকের দখলে চলে যাওয়া শুধু দুঃখজনক নয়, প্রশাসনের ব্যর্থতার এক বড় ধরনের নজিরও নিঃসন্দেহে। এই ব্যর্থতা মেনে নেয়া যায় না।
আমরা আশা করি, আবার এ সড়ক ও ফুটপাথ দখলমুক্ত করতে জনস্বার্থকে প্রাধান্য দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষ কার্যকর উদ্যোগ নেবে। এ ব্যাপারে যতটা কঠোর হওয়া সম্ভব, কর্তৃপক্ষের উচিত ততটাই কঠোর পদক্ষেপ নেয়া। সেই সাথে বলতে হয়, সিটি করপোরেশনের নিয়মিত কোনো বাহিনী নেই। এ কারণে তাদের পক্ষে শক্তি প্রয়োগ করা সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে সরকার ও প্রশাসন তাদের পর্যাপ্ত সহযোগিতা দেয়ার কোনো বিকল্প নেই। তাই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে প্রশাসনকে আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসতে হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement

সকল