২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`
ঢাকায় আবাসনে ‘মাইক্রোহোম’ ধারণা নিয়ে মালয়েশিয়ান বিনিয়োগকারীরা

‘অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশিরা সোনার প্লেটে বসে খাবার খাবেন’

-

অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশিরা সোনার প্লেটে বসে খাবার খাবেন বলে মন্তব্য করে গ্রিনল্যান্ড-তিতিজায়ার গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর তান শ্রী দাতো লিম সুন পেং বলেছেন, মালয়েশিয়ান বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান গ্রিনল্যান্ড-তিতিজায়ার গ্রুপ বাংলাদেশের আবাসন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী। তারা ঢাকায় কর্মজীবীদের জন্য ‘মাইক্রোহোম’ তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সাথে বৈঠককালে তিনি এ আগ্রহের কথা জানান।

মালয়েশিয়ান বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান গ্রিনল্যান্ড-তিতিজায়ার গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর তান শ্রী দাতো লিম সুন পেং’এর নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদল এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. সুলতান আহমেদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব উম্মে সালমা তানজিয়া, রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক উজ্জ্বল মল্লিকসহ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তান শ্রী দাতো লিম সুন পেং বলেন, মাইক্রোহোম হবে একটি সমন্বিত ব্যবস্থা যেখানে অফিস সুবিধার পাশাপাশি একই স্থানে আবাসন ব্যবস্থা, বিনোদনের সুবিধাসহ জীবনধারণের সব ব্যবস্থা থাকবে। ঢাকার মতো ঘনবসতিপূর্ণ শহরে অবিবাহিত ও ছোট একক পরিবারের জন্য ‘মাইক্রোহোম’ ধারণাটি অত্যন্ত সময়োপযোগী হবে। ইতোমধ্যে ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে আবাসনখাতে ‘মাইক্রোহোম’ ধারণা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছে মালয়েশিয়ান বিনিয়োগ প্রতিনিধিদল। অল্প সময়ে বাংলাদেশের এত উন্নয়ন দেখে মালয়েশিয়ান বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধিদল ঢাকার আবাসনখাতে বিজনেস টু বিজনেস অথবা পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের আওতায় বিভিন্ন বিনিয়োগের প্রস্তাবও দেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ও আকর্ষণীয় নতুন ধারণা হচ্ছে তরুণ কর্মজীবীদের জন্য ‘মাইক্রোহোম’ তৈরির প্রস্তাব।

এসময় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম মালয়েশিয়ান প্রতিনিধিদলের উদ্দেশে বলেন, বাংলাদেশের সাথে মালয়েশিয়ার অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। বাংলাদেশ এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের রোল মডেল। তিনি বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের সব সুযোগ-সুবিধা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিশ্চিত করছেন। সরকার ১২০টির অধিক অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে। মালয়েশিয়ান কোম্পানি চাইলে রাজউকের পূর্বাচল, ঝিলমিল ও তুরাগ প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে পারে।


আরো সংবাদ



premium cement