৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


বহুতল ভবন হেলে পড়ার অভিযোগ, বাসিন্দাদের ভবন ত্যাগের নির্দেশ

সাভারের ব্যাংক কলোনীতে হেলে পড়া ভবন - নয়া দিগন্ত

সাভার পৌর এলাকার ব্যাংক কলোনীতে একটি বহুতল ভবন অন্য একটি বহুতল ভবনের দিকে হেলে পড়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় সাভার পৌর কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভবনের বাসিন্দাদের দ্রুত ভবন ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে সাভার পৌর এলাকার ব্যাংক কলোনীতে জিয়াউর রহমান নামক এক বাসিন্দার ছয়তলা বাড়িটি পাশের নাজিমুদ্দিনের ছয়তলা ভবনের উপর হেলে পড়েছে বলে দেখা যায়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভবনটির বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার জন্য সাভার পৌরসভা থেকে চিঠির মাধ্যমে নির্দেশ দেয়া হয়।

হেলে পড়া ছয়তলা বাড়ির ১২ টি ফ্ল্যাটের মধ্যে ৫টি ফ্ল্যাট ভাড়া থাকেন কয়েকটি পরিবার। এ ঘটনায় ওই বাড়িটির আশেপাশের ও ভবণের ভাড়াটিয়াদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এদিকে হেলে পড়া ভবনটি দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় জমিয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন- সাভার পৌর মেয়র আলহাজ্ব আব্দুল গণি, সাভার পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার শরীফুল ইমাম, সাভার ফায়ার সার্ভিসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য হেলে পড়া ভবনটির মালিককে না পেয়ে কেয়ারটেকার রবিউল ইসলামের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

সাভার ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার লিটন আহমেদ বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখেছি। তবে এ বিষয়ে সম্পূর্ণ তদারকি করছেন পৌরসভার মেয়র এবং প্রকৌশলীবৃন্দ।

সাভার পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব আব্দুল গণি বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বুয়েট বিশেষজ্ঞ টিম পরীক্ষা করার পর ভবনটি কি করা হবে সে ব্যাপারে জানা যাবে।

সাভার পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার শরীফুল ইমাম বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, ভবনটি হেলে পড়ে নাই। কিছু নিয়ম ভঙ্গ করে একটির উপর আরেকটি ভবন করেছে। এর পরেও যেহেতু জনশ্রুতি আছে সে জন্য আমরা ভবন মালিককে চিঠি দিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, ভবন মালিককে আমরা বলেছি বুয়েটের বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী দিয়ে তাকে প্রমাণ করতে হবে যে, তিনি সঠিক আছেন।

আরো পড়ুন : সম্ভাব্যতা যাচাই ছাড়াই ১৬ তলা ভবন নির্মাণ
হামিদ সরকার, (১১ মার্চ ২০১৯)

সম্ভাব্যতা যাচাই ছাড়াই শুধু সমীক্ষা প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে ঢাকায় অবস্থিত সরকারি কর্মচারী হাসপাতালটির ভবন ১৬ তলায় ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করা হচ্ছে; যা ৫০০ বেডে উন্নীতকরণ করা হবে। ২৫ কোটি টাকার বেশি প্রাক্কলিত ব্যয়সংবলিত সব বিনিয়োগ প্রকল্প গ্রহণের আগে আবশ্যিকভাবে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের বিধান রয়েছে।

কিন্তু হাসপাতালের মতো একটি সুউচ্চ ভবন নির্মাণে সেটা করা হয়নি বলে প্রকল্প প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা হয়েছে। প্রকল্পে ভবন ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের চেয়ে মেডিক্যাল যন্ত্রপাতি কিনতে ব্যয় হবে বেশি। আর প্রকল্পটি প্রায় ৩৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে অনুমোদনের জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় (একনেক) উপস্থাপন করা হচ্ছে বলে একনেক সূত্রে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর ফুলবাড়িয়াতে সরকারি কর্মচারীদের জন্য একটি হাসপাতাল রয়েছে। হাসপাতালটি ৫ম তলা থেকে ১৬ তলা পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কিন্তু প্রস্তাবিত এই প্রকল্পের ওপর কোনো বিস্তারিত সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়নি। একটি সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রণয়ন করা হয়েছে।

সরকারি খাতে উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন, প্রক্রিয়াকরণ, অনুমোদন ও সংশোধন পদ্ধতির আইন প্রতিপালন করা হচ্ছে না বেশির ভাগ উন্নয়ন প্রকল্পের ক্ষেত্রে। আইনের অনুচ্ছেদ ৪.০ অনুযায়ী ২৫ কোটি টাকার বেশি প্রাক্কলিত ব্যয় সম্পন্ন বিনিয়োগ প্রকল্প গ্রহণের আগেই সম্ভাব্যতা যাচাই আবশ্যিক। আবার প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) থেকে আপত্তি দেয়া হলেও বিভিন্ন সংস্থা তা আমলে নিচ্ছে না।


আরো সংবাদ



premium cement