২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ম্যারেজ রেজিষ্ট্রারের অপকর্ম!

ম্যারেজ রেজিষ্ট্রারের অপকর্ম! - ছবি : সংগৃহীত

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়ন ম্যারেজ রেজিষ্ট্রারের বিরুদ্ধে ভুয়া তালাকনামা সৃজনের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের ডাঙ্গাহাতিমোহন গ্রামের আলম মোল্যার মেয়ে নিছারন বেগম ওরফে তন্নির (২২) সাথে খামার মাগুরা গ্রামের শামছেল খানের ছেলে সৌরব খান (২৫) বিয়ের হয়। বিয়ের পর থেকে সুখেই সংসার চলছিল। তবে কিছু দিন পর পারিবারিক কলহের জের ধরে নিছারন বেগম ওরফে তন্নি বাবার বাড়িতে অবস্থান নেন। এ সুযোগে জামালপুর ইউনিয়ন ম্যারেজ রেজিষ্ট্রার ও নলিয়া গ্রামের মৃত হাই মোল্যার ছেলে ইসহাক আলী মোল্যার সাথে যোগসাজসে তার সহযোগিতায় অন্য মহিলাকে নিছারন বেগম ওরফে তন্নি ও তার অভিভাবক সাজিয়ে ২০১৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ভুয়া তালাকনামা সৃজন করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে বেরিয়ে পড়ে ম্যারেজ রেজিষ্ট্রারের অপকর্ম।

নিছারন বেগম ওরফে তন্নি জানান, জামালপুর ইউনিয়ন ম্যারেজ রেজিষ্ট্রার ও নলিয়া গ্রামের মৃত হাই মোল্যার ছেলে ইসহাক আলী মোল্যার সাথে যোগসাজসে তার স্বামী সৌরব খান ও তাদের পরিবারের লোকজন ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তার ও অভিভাবকদের অনুপস্থিতিতে তার স্বাক্ষরযুক্ত ভুয়া তালাকনামা সৃজন করেন। বিষয়টি তার চাচা সালাম মোল্যা ম্যারেজ রেজিষ্ট্রার ইসহাক আলী মোল্যার কাছে জিজ্ঞাসা করলে তিনি প্রকাশ করেন, ভুয়া অভিভাবক সাজিয়ে তালাক দিয়েছেন, বিষয়টি জানাজানির পর এখন বুঝতে পারছি। এ ব্যাপারে বালিয়াকান্দি থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

ম্যারেজ রেজিষ্ট্রার ইসহাক আলী মোল্যা জানান, তারা ভুয়া কনে ও অভিভাবক সাজিয়ে কাজটি করেছেন বিষয়টি আগে বুঝতে পারেনি।

উল্লেখ্য, জামালপুর ইউনিয়ন ম্যারেজ রেজিষ্ট্রার ইসহাক আলী মোল্যার বিরুদ্ধে বাল্যবিয়ে পড়ানো, ভুয়া তালাকনামা সৃজনসহ নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।

বালিয়াকান্দি থানা পুলিশের অভিযানে ইয়াবাসহ একজন গ্রেফতার

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রোববার সন্ধ্যায় ইয়াবাসহ একজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতের নাম হাসিব শেখ (১৮)। তার পিতার নাম, শহিদ শেখ। বাড়ী বালিয়াকান্দি গ্রামে।

বালিয়াকান্দি থানার এএসআই সোহেল রানা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার এস,আই নুর মোহাম্মদ, এএসআই সোহেল রানা সঙ্গীয় ফোর্সসহ বালিয়াকান্দি শহরের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম এলাকা থেকে ১১পিছ ইয়াবাসহ হাসিব শেখকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ব্যাপারে এএসআই সোহেল রানা বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেছে।

প্রেমিকাকে যৌনপল্লীতে বিক্রির চেষ্টা; অতঃপর চম্পট প্রেমিক!
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) সংবাদদাতা

গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে বিক্রির উদ্দেশে আনা জেমি খানম (১৫) এক কিশোরী অল্পের জন্য রক্ষা পেল। সে নেত্রকোনা জেলার মহনগঞ্জ উপজেলার বড়ান্ত গ্রামের মৃত জাকারিয়ার মেয়ে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ধারণা, তাকে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে বিক্রির জন্য আনা হয়েছিল। তবে অবস্থা বেগতিক তার সাথে আসা প্রেমিক চম্পট দিয়ছে।

এ ঘটনায় সহযোগিতার দায়ে রোববার দুপুরে এলাহি মিয়া (২৫) নামের এক যুবকের এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সে কিশোরগঞ্জ জেলার কোটিয়াদি উপজেলার পশ্চিম চাওলা গ্রামের মো. মিলন মিয়ার ছেলে। এলাহি সাভার এলাকায় অটোরিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে।


উদ্ধার হওয়া কিশোরী জানায়, সে নেত্রকোনো জেলার বড়ান্ত আদর্শ বিদ্যালয় থেকে গত বছর জেএসসি পাস করেছে। ৭ বছর আগে তার বাবার মৃত্যু হয়। তার মা নিয়ে ঢাকা সভার এলাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরির সুবাদে সেখানে বসবাস করত। গত ৬ মাস আগে তার মা পুনরায় বিয়ে করে অন্য সংসারে চলে যায়। এতে তারা ৩ ভাই-বোন অসহায় হয়ে পড়ে। বেঁচে থাকার তাগিতে সে লেখাপড়া ছেড়ে সাভার এলাকার এসকে কবির মাস্টার গার্মেন্টসে কাজ নেয়, ওই এলাকায় বসবাস করে। একপর্যায়ে সাভার পানপাড়া এলাকার বাবুল শেখের ছেলে অভি শেখের (১৮) সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারী অভি তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে জানায়, আপাতত তার পরিবার এ বিয়ে মেনে নেবে না। তাই গোয়ালন্দের দৌলতদিয়ায় তার এক খালাবাড়ি আছে। সেখানে তারা বিয়ে করবে। অভির এ প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায় জেমি।

এদিকে গত শনিবার অভি তার বন্ধু এলাই মিয়ার সাথে জেমিকে দৌলতদিয়ায় পাঠিয়ে দিয়ে বলে, তোমরা দৌলতদিয়ায় ঘাট নদী পার হয়ে গেল আমার খালা এ তোমাদের নিয়ে যাবে। এলাহি ও জেমি দৌলতদিয়া এসে একটি খাবার হোটেলে বসে খাওয়া-দাওয়া করে সেখানেই অভি’র জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। হোটেল কর্মচারীদের সন্দেহ হলে তারা পাশ্ববর্তী নৌপুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে অভির ফোনে কল করে কথা বলে। ঘটনায় পুলিশ জড়িয়ে পড়েছে অভি বুঝতে পেরে ফোন কেটে দিয়ে মোবাইল বন্ধ করে ফেলে। শনিবার সন্ধ্যায় গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ সেখানে পৌঁছে তাদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, ধারণা করা হচ্ছে ওই কিশোরীকে বিক্রির জন্যই কৌশলে দৌলতদিয়ায় আনা হয়েছিল। রোববার দুপুরে আটককৃতদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) আবদুল্লাহ আল মামুন আটক এলাহিকে এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন এবং কিশোরীকে তার বৈধ অভিভাবকের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন


আরো সংবাদ



premium cement