দুর্বৃত্তদের আঘাতে মারাত্মক আহত হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাতক্ষীরার কিশোর ভ্যানচালক শাহীন বর্তমানে ভালো আছে। তার অবস্থার আরো উন্নতি হয়েছে। শাহীনের পরিবার ও চিকিৎসকদের সাথে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।
আজ বুধবার দুপুরে শাহীনের চাচা মনসুর আলী জানান, ‘শাহীনের অবস্থার আরো উন্নতি হয়েছে। হাত-পা নাড়ছে। আগের চেয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়াও স্বাভাবিক হচ্ছে। আপনারা দোয়া করবেন আমার ভাতিজার জন্য। নিজে নিজে মা-বাবাকে ডাকছে সে।’
জানতে চাইলে শাহীনের জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডা: অসীত চন্দ্র সরকার জানান, ‘শাহীন ভালো আছে। তার হৃদযন্ত্রের জিসিএস কাল ছিল ১১তে, আজ সেটি ১২ থেকে ১৩তে উন্নীত হয়েছে।’
তিনি জানান, ‘শাহীন কালকের চেয়ে ডাকে আজ আরো ভালো রেসপন্স করতে পারছে। নিজেই শ্বাস নিতে পারছে। তবে আমরা অক্সিজেন এখনো খুলিনি। দোয়া করবেন। আল্লাহ ভরসা।’
এর আগে সোমবার বিকেলে শাহীনকে দেখতে এসে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক বলেন, তার ওষুধপত্র, চিকিৎসা যা যা প্রয়োজন হাসপাতাল থেকে সব দেয়া হচ্ছে। তার প্রতি আমাদের বিশেষ নজর আছে। প্রধানমন্ত্রীও তার খোঁজ-খবর নিচ্ছে।
গত সোমবার সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান এক ব্রিফিংয়ে বলেন, শাহীনের উপর হামলার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হচ্ছে, যশোরের কেশবপুর উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের নাঈমুল ইসলাম (২৪), সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার আলাইপুর গ্রামের এরশাদ ওরফে নুনু মিস্ত্রি (৬৫), সাতক্ষীরা সদর উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ গ্রামের বাকের আলী (৪৫)। একই সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া ভ্যানটিও উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার নাইমুলসহ আরো তিনজন গোপন সভা করে। এরপর নাঈমুলের মুঠুফোনে কল দিয়ে ভ্যানচালক শাহীনকে বলে শুক্রবার কলারোয়ায় একটা ভাড়া আছে। তুই সকালে কেশবপুর বাজারে চলে আসিস। এ সময় তারা শাহীনকে সাড়ে ৩০০ টাকা দেবে বলে জানায়। সকালে তারা একসাথে শাহিনের ভ্যানে করে কেশবপুর হাসপাতালের সামনে দিয়ে সরসকাটি হাম জামতলা মোড়ে ফাঁকা জায়গায় পৌঁছে থামাতে বলেন। এরপর তারা ভ্যানটি তাদের দিয়ে শাহীনকে বাড়ি ফিরে যেতে বলেন। এ সম্পর্কে কাউকে কিছু বললে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। শাহীন রাজি না হলে তারা শাহিনের মাথায় ও শরীরে এলোপাতাড়ি আঘাত করে তাকে পাট ক্ষেতে ফেলে দেয়। পরে ওরা চারজন ভ্যানটি নিয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে রওনা দেন ঝাউডাঙ্গা বাজারে। তারা প্রথম বাকের আলীর কাছে চারটি ব্যাটারি ৬ হাজার ২৩০ টাকায় বিক্রি করেন। এরপর তারা কলারোয়া উপজেলার মির্জাপুর মোড়ে গিয়ে আরশাদের কাছে ৭ হাজার ৫০০ টাকায় ভ্যানটি বিক্রি করেন। পরে তারা সবাই টাকা ভাগাভাগি করে শেষ করে চলে যান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা