২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

এবার মেয়ে সম্পর্কে যা বললেন সুরেশ তেলের মালিক

সৈকত পাল ও লিমা সাহা। যাদের প্রেম সিনেমার কাহিনীকেও হার মানায়। - ছবি: সংগৃহীত

অসুস্থ মেয়েকে উদ্ধার করে তাকে মানসিক চিকিৎসা করানোর দাবি জানিয়েছেন সুরেশ সরিষার তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অন্নপূর্ণা অয়েলের স্বত্বাধিকারী সুধীর চন্দ্র সাহা। তিনি অভিযোগ করেন, একটি কুচক্রী মহল মানসিক অসুস্থ তার মেয়েকে অপহরণের নাটক করে প্রায় চল্লিশ কোটি টাকার সম্পত্তি দখলের ষড়যন্ত্র করছে।

শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, তার একমাত্র মেয়ে লিমা সাহা নরসিংদী সরকারি কলেজের ছাত্রী ছিল। ওই সময় নরসিংদীর জনৈক ইতি রানী পাল তার ছেলে সৈকত পালকে পরিকল্পিতভাবে লিমার পেছনে লেলিয়ে দেন। সৈকত তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মাদকাসক্ত করে। মাদকের ছোবলে ধীরে ধীরে মানসিক ও শারীরিক অসুস্থ হয়ে পড়ে লিমা। তাকে সুস্থ করতে গুলশানের বীকন পয়েন্ট নামে একটি চিকিৎসাকেন্দ্রে ডাক্তার দেখালে চিকিৎসকেরা তাকে ‘নিমফোমানিয়া’ রোগী বলে শনাক্ত করেন। এর মধ্যে মাস্টার্স পাস করার পর সৈকত পালদের প্ররোচনায় লিমা একাই ভারত যেতে চায়।

বিষয়টি সন্দেহের ভেবে বাবা সুধীরও সাথে যান। কিন্তু বাবাকে দেখেইে মেয়ে গালাগাল শুরু করে। পরে ভারতে গেলে সেখান থেকে ইমিগ্রেশন কর্তপক্ষ তাদের ফেরত পাঠায়। দেশে ফিরে বিমানবন্দরে নেমে সৈকতপালের ভগ্নিপতি শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বিজয় রায়ের সহযোগিতায় ইমিগ্রেশন না করে বের হয়ে যায় লিমা। পরে শুল্ক গোয়েন্দার সহকারী কমিশনারের সহায়তায় মেয়েকে উদ্ধার করেন পিতা। এরপর লিমা সাহাকে বিয়ে করেছে বলে দাবি করে সৈকত পাল। তার পর থেকে মেয়েকে আর খুঁজে পাননি তিনি।

সুধীর সাহা বলেন, ইতি রানী পাল ও তার পরিবার তার প্রায় ৪০ কোটি টাকার সম্পত্তি দখলের লক্ষ্যে একমাত্র মেয়েকে ব্যবহার করে ষড়যন্ত্র করছে। তার লিমা মানসিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় তার সুচিকিৎসা দরকার। তাকে উদ্ধার করে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে তিনি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি, র‌্যাবের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সবার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 

আরো দেখুন : আভিজাত্যের বিরুদ্ধে প্রেমের লড়াই, মুখোমুখি বাবা মেয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

মিথ্যা মামলা, হত্যা ও অপহরণের হুমকি এবং হয়রানি থেকে বাঁচতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন অসহায় এক কন্যা। গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নিজের বাবার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন কন্যা লিমা সাহা (২৮)।

লিখিত বক্তব্যে লিমা বলেন, তার বাবা সুরেশ সরিষার তেল কোম্পানির কর্ণধার সুধীর চন্দ্র সাহা। বাবার অমতে নিজের পছন্দের ছেলে সৈকত পালকে ভালোবেসে বিয়ে করায় তাকেসহ তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে প্রতিনিয়ত হত্যা ও অপহরণের হুমকি দিচ্ছে তার বাবা। মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এতে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন অবরুদ্ধ জীবনযাপন করছেন। বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন সবাই।তিনি তার ও শ্বশুরবাড়ির লোকদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় মন্ত্রীসহ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে স্বামী সৈকত ছাড়াও স্বজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

লিমা বলেন, কলেজে পড়ার সময় সহপাঠী সৈকতের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। সৈকতদের চেয়ে তার বাবার আর্থিক অবস্থা ভালো এবং পারিবারিক পদবি ভিন্ন হওয়ায় শুরু থেকে সম্পর্কটি মানতে চাননি তিনি। সৈকতকে ভুলে যাওয়ার জন্য তাকে দুই বছরের বেশি গৃহবন্দী করে রাখা হয়। নিয়মিত মারধর করা হতো। শেষমেশ জোর করে ভারতে নিয়ে বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে তিনি ভারতীয় পুলিশের সহায়তায় বাংলাদেশে ফিরে আসেন। শাহজালাল বিমানবন্দরে নেমে বাবার কাছ থেকে পালিয়ে গিয়ে গত ২৪ মে বিয়ে হিন্দু রীতি অনুযায়ী রেজিস্ট্রির মাধ্যমে সৈকতকে বিয়ে করেন। 

তিনি আরো বলেন, গত ১২ জুন সৈকতকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার বাবা ভাড়াটিয়া গুণ্ডা বাহিনী পাঠিয়েছিল। তারা ঢাকার নিউমার্কেটের ১ নম্বর গেটের সামনে একটি নোয়া মাইক্রোবাসের ভেতরে সৈকতকে উঠানোর সময় পুলিশ ও জনতার রোষানালেপরে। পরে নিউমার্কেট থানা পুলিশ তাদের কয়েকজনকে আটক করে।ওই ঘটনায় একটি মামলাও করা হয়। 

উল্লেখ, নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা অপহরণেরওই মামলায় সুধীর চন্দ্র সাহাকে গত ১২ আগস্ট তিন দিনের রিমান্ডে নেয় নিউমার্কেট থানা পুলিশ।


আরো সংবাদ



premium cement