০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীতে নারী নিপীড়নের অভিযোগ 

ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীতে নারী নিপীড়নের অভিযোগ  - সংগৃহীত

নারীর ক্ষমতায়ন এবং নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার। কিন্তু সেখানে প্রতিষ্ঠিত একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্তা ব্যক্তি বিরুদ্ধে নারী নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিকার চেয়ে নারীর ক্ষমতায়নের কারিগর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলা চিঠি লিখিছেন ভুক্তভোগারী।

অভিযোগ মতে, বেসরকারি খাতের অন্যতম বীমা প্রতিষ্ঠান গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী ও গ্রীন ডেল্টা সিকিউরিটিজ কোম্পানী (জিডিএসএল) যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন কর্মরত নারীরা। কয়েকজন কর্মকর্তারা প্রতিষ্ঠানটি কর্মী নারীদের সঙ্গে রক্ষীতার মতো ব্যবহার করছেন। এর মধ্যে গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াফি শফিকুল মিনহাজ খানের (ওয়াফি এসএম খান) যৌন নিপীড়নের কারণে অনেকেই ইতোমধ্যে চাকরী ছেড়ে চলে গেছেন। এখন আর কোম্পানীর অভ্যন্তরে নেই, যা এখন অনেকেরই জানা।

আরও বলা হয়, ওয়াফি এসএম খানের কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক নারী কর্মকর্তাকে শাস্তিমূলক মতিঝিল শাখায় বদলী করা হয়েছে। জিডিএসএলে কর্মরত হোসনে আরা নামে এক কর্মকর্তাকে নানা প্রলভন দেখিয়ে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন ওয়াফি এসএম খান।

এ নিয়ে গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীতে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা চলছে। চাকরী হারানোর ভয়ে যৌন নিপীড়নের শিকার কোনো নারী ওয়াফি শফিকুল মিনহাজ খানের বিরুদ্ধে টু-শব্দ করার সাহস পান না। এছাড়াও গ্রীন ডেল্টা সিকিউরিটিজ লি: এর সিইও সাবিনা ইয়াসমিন সীমুকেও কুপ্রস্তাব দেয় এবং তাকে সাথে করে থাইল্যান্ডে যাওয়ার প্রস্তাব দিলে সীমু তা প্রত্যাখ্যান করাই, তাকে চড়-থাপ্পড় মেরেছেন বলে জানা গেছে।

তথ্য মতে, ওয়াফি এসএম খানের নারী কেলেঙ্কারির খবর এখানেই প্রথম নয়। এর আগে স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকে কর্মরত অবস্থায় ফারিয়া আফজাল নামের এক কর্মকর্তার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তীতে উর্ধ্বতণ কর্মকর্তা এবং পরিবারের চাপে তাকে বিয়েও করেন। বিয়ের পরও ওয়াফি শফিকুল মিনহাজ খানের চরিত্রের উন্নয়ন ঘটেনি। এই চারিত্রিক ত্রুটির কারণে ফারিয়া আফজালের সঙ্গে ওয়াফী শফিকুল মিনহাজ খানের সংসার টেকেনি।

এরপর পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তীতে চাপে পরে দুই কন্যা সন্তানের দায়িত্বসহ চৌধরী রুপা’র নামে একজনকে বিয়ে করেন তিনি। বর্তমানে ঐ সংসারও ভেঙ্গে যাবার উপক্রম হয়েছে বলে সূত্রে জানা যায়। এ বিষয়ে ওয়াফি এসএম খানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেস্টা করে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

আরো পড়ুন : সন্তান সম্ভাবা নারীর উপর ঝাপিয়ে পড়লো ভাড়াটিয়া
নয়া দিগন্ত অনলাইন ০৮ অক্টোবর ২০১৮, ১৭:৪৭

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে নবীনগর হাউজিংয়ের একটি বাসায় সন্তান সম্ভাবা এক নারীকে (১৯) যৌন নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক মেহেদীকে (২২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে ওই নারীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে গত রোববার দুপুর একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় মঙ্গলবার ভুক্তোভোগী ওই নারীকে মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।

গৃহবধূর স্বজনরা জানান, রোববার দুপুরে তার স্বামী কাজের জন্য বাসার বাইরে ছিলেন। বাসায় একা ছিলেন দেড় মাসের সন্তান সম্ভাবা ওই নারী। এসময় পাশের বাসার ভাড়াটিয়া মেহেদী তাদের রুমের দরজায় কড়া নাড়ে। পরে ওই নারী দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে মেহেদী রুমের ভেতর ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। বাধা দিলে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে মেহেদীর হাঁটুর আঘাত লাগে ওই নারীর পেটে। এতে রক্তপাত শুরু হয় তার। দুপুরের খাবার খেতে এসে গৃহবধূর স্বামী এ ঘটনা দেখতে পান। পরে মেহেদীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে নিয়ে তিনি স্থানীয় হাসপাতালে যান। হাসপাতাল থেকে পরে থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন তারা। এলাকায় প্রভাব থাকায় আটক অবস্থা থেকে বের হয়ে মেহেদীও থানায় যায় ওই দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে। পুলিশ তখন মেহেদীকে গ্রেফতার করে। গতকাল স্থানীয় ক্লিনিক থেকে ওই গৃহবধূকে ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়।

ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামী জানান, তিনি পেশায় একজন নির্মাণ শ্রমিক। তার স্ত্রী একজন গৃহিণী। ১০-১২ দিন আগে তারা গ্রাম থেকে ঢাকায় এসে নবীনগর হাউজিংয়ের ওই বাসায় ভাড়া ওঠেন।

মোহাম্মদপুর থানার ওসি মোঃ জামাল উদ্দিন মীর ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্ত যুবক মেহেদীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আরো পড়ুন : কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করে ভিডিও রাখলো শ্রমিকলীগ নেতা
বগুড়া অফিস ০৫ অক্টোবর ২০১৮, ২২:০১

তুফান কান্ডের পর বগুড়ায় আবারো এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারন করেছে শাহিনুর রহমান নামের এক শ্রমিকলীগ নেতা। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।

ধর্ষক শাহিনুর একজন পরিবহন ব্যবসার সাথেও জড়িত।


গ্রেফতারের পর ধর্ষনের ঘটনা পুলিশের কাছে সে স্বীকার করেছে বলে জানা গেছে। বুধবার রাতে বগুড়া শহরের চারমাথা বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত পরিবহন ব্যবসায়ী শাহিনুর রহমান (৪৫) বগুড়া জেলা যুব শ্রমিকলীগের সাধারন সম্পাদক ও বগুড়া শহরের কাটনারপাড়া এলাকার মৃত ওয়াজেদ আলীর পুত্র। সে বগুড়া-ময়মনসিংহ ও বগুড়া -রাজশাহীসহ বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ঝটিকা পরিবহনের মালিক।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষিত কলেজ ছাত্রীকে শাহিনের সাথে গত ২৯ সেপ্টেম্বর পরিচয় করিয়ে দেয় তারই এক বন্ধু। এরপর ওই কলেজ ছাত্রীকে জোরপূর্বক গাড়ীতে তুলে ফুলতলা এলাকার একটি হোটেলে নিয়ে যায় শাহিন। এরপর জোরপূর্বক নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষন করে শ্রমিকলীগ নেতা শাহিন।

এমনকি ঘটনা ফাঁস না করতে হুমকি দিয়ে নিজের মোবাইল ফোনে ধর্ষনের ঘটনার ভিডিও ধারন করে শাহিন।

পরে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে শাজাহানপুর থানায় গিয়ে ধর্ষন মামলা করে ওই কলেজ ছাত্রী। মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে বগুড়া ডিবি পুলিশ শাহিনকে রাতেই গ্রেফতার করে। শাহীন শ্রমিকলীগ নেতা হলেও কোটিপতি ব্যবসায়ী। এর আগেও সে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানা গেছে।

বগুড়া ডিবি পুলিশের ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, বুধবার বগুড়ার শাজাহানপুর থানায় সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর সরকারী এম মনসুর আলী কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সম্মান শেষবর্ষের ছাত্রী (২৪) শাহিনুর রহমানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। ওই মামলার প্রেক্ষিতে রাতেই শহরের চারমাথা এলাকা থেকে ধর্ষক শাহিনুর রহমানকে আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার ধর্ষককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

শাজাহানপুর থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, কলেজ ছাত্রীর দায়ের করা মামলার এজাহারে আসামি ধর্ষক শাহিনুর রহমানকে তাঁর পূর্বপরিচিত হিসেবে উল্লেখ করা হয়। গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে তাঁকে প্রলোভন দেখিয়ে শহরের ফুলতলা এলাকার সিয়েস্তা নামক একটি হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়।

উল্লেখ্য, গত বছর বগুড়া শহর শ্রমিকলীগের তৎকালীন আহবায়ক তুফান সরকার এক কিশোরীকে ধর্ষন করে। এ ঘটনা ফাস হলে তার স্ত্রী ও স্ত্রীর বড় বোন পৌর কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকি ধর্ষিতা কিশোরী ও তার মাকে বেধড়ক মারপিট করে মাথা ন্যাড়া করে দেয়।

এরপর থানায় মামলা দায়ের করা হলে ধর্ষক তুফান , তার স্ত্রী , শ্বশুর , কাউন্সিলর রুমকিসহ ১০জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে সময় এ ঘটনায় দেশে বিদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। পরে তুফানকে ক্ষমতাসীন দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

তদন্ত শেষে আদালতে আসামীদের নামে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। ধর্ষক তুফানসহ কাউন্সিলর রুমকি এখনও কারাগারে রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
জামালপুরে ট্রাক উল্টে চালক নিহত ভালুকায় রাইদা কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ কক্সবাজারের পাহাড়ি ছরায় গোসল করতে নেমে ২ শিশুর মৃত্যু কাঁঠালিয়ায় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতিকে অব্যাহতি রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় সহযোগিতার জন্য ওআইসি সদস্যদের প্রতি আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর রাফা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নেয়ার আদেশে হামাসের প্রতিক্রিয়া হিলি বন্দর দিয়ে ১৪ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর ওপর : মন্ত্রী রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় ওআইসি’র সহযোগিতা চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী টর্চার সেলে শিশু-বৃদ্ধদের পেটাতেন মিল্টন : হারুন গাজা ত্যাগ করবে না ইউএনআরডব্লিউএ

সকল